প্রিমিয়ার লিগ সকার নিয়ে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা চলছিলই। এ বার কলকাতা লিগ নিয়েও তৈরি হল জট। এতটাই যে, সূচি তৈরি করে ফেললেও নানা বাধা ও ঝামেলায় তা ঘোষণাই করতে পারছে না আই এফ এ।
ঝামেলা অন্য মাত্রা পেয়েছে শনিবার বিকেলে আই এফ এ-র বিরুদ্ধে মোহনবাগান কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করে দেওয়ায়। ভবানীপুর ক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে সহসচিব সৃঞ্জয় বসু বলে দিয়েছেন, “আই এফ এ ঠুটো জগন্নাথ। ফেডারেশন থেকে কিছু আদায় করতে গেলে সেই মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলকেই চাপ সৃষ্টি করতে হয়। তা হলে এ রকম পেরেন্ট বডি থেকে কি লাভ?”। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, “আই এফ এ-তে আগুন লাগার ঘটনার যথাযথ তদন্ত চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশ কমিশনারের হস্তক্ষেপ চেয়ে সোমবার চিঠি দেবে মোহনবাগান।”
আই এফ এ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় এ দিন ছিলেন মুম্বইতে। তাকে রাত পর্যন্ত ফোনে ধরা যায়নি। ফলে পাওয়া যায়নি, মোহনবাগানের ‘তোপের’ উত্তর। সরকারিভাবে সূচি না জানালেও শহরের বাইরে যাওয়ার আগে উৎপলবাবু বলে গিয়েছেন, ১ মার্চের মধ্যেই লিগ শেষ করে দেবেন। যে সূচি তিনি তৈরি করেছেন, তাতে ইস্টবেঙ্গলের খেলা দেওয়া হয়েছে ২৪ ফেব্রুয়ারি (টালিগঞ্জ) ও ২৭ ফেব্রুয়ারি (মহমেডান)-এর সঙ্গে। মোহনবাগানের খেলা ২৫ ফেব্রুয়ারি (টেকনো এরিয়ান) ও ১ মার্চ (প্রয়াগ ইউনাইটেড)-এর সঙ্গে। কিন্তু চ্যাম্পিয়নের লড়াইতে যেহেতু দুই প্রধানের পার্থক্য মাত্র এক পয়েন্টের সেই জন্য ঝুঁকি নিতে রাজি নন দু’দলের কর্তারাই। মোহনবাগান অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত বলে দিলেন, “জাতীয় শিবিরের ছয় জন ফুটবলারকে না পেলে প্রয়াগের সঙ্গে শেষ ম্যাচ খেলব না আমরা। আর ইস্টবেঙ্গল এবং আমাদের শেষ ম্যাচ দিতে হবে একই দিনে। যাতে কোনও গড়াপেটা না হয়।” আর ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, “২২ ফেব্রুয়ারি আমাদের অনুশীলন শুরু হবে। ২৪ তারিখ ম্যাচ খেলব কী করে? তবে খেলব কি না সেটা ঠিক করবেন আমাদের কোচই। তিনি ফিরলে কথা বলব।” খেতাবের প্রশ্নে যারা প্রধান ফ্যাক্টর সেই প্রয়াগ ইউনাইটেডও ২৩ ফেব্রুয়ারি শুরুর ম্যাচে এরিয়ানের বিরুদ্ধে খেলতে চাইছে না। সচিব অলোকেশ কুণ্ডু বললেন, “আমাদের তো অনুশীলন বন্ধ। প্রচুর চোট-আঘাত। খেলব কী করে?” তবে সব দলের কর্তারাই জানিয়ে দিয়েছেন আই এফ এ শিল্ড খেলবেন। কোনও সমস্যা নেই। আই এফ এ শিল্ড শুরু করতে চাইছে ৪ মার্চ। কিন্তু সেটা নিয়েও নানা প্রশ্ন। সব মিলিয়ে লিগ-শিল্ড নিয়ে বেশ সমস্যায় আই এফ এ। |