ত্রিদেশীয় সিরিজে অস্ট্রেলীয়দের জন্য সপ্তাহটা খুব সাদামাঠা গেল। দু’টো ম্যাচে দু’টো হার। সঙ্গে আবার অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক চোটও পেল। সব মিলিয়ে রবিবার গাব্বায় নামার আগে চাপে পড়ে গেল আয়োজকরা।
নির্বাচকরা যে ভাবে ক্লার্কের জায়গায় অধিনায়ক নির্বাচন করল, সেটা বেশ অদ্ভুত লাগল। ডেভিড ওয়ার্নার টিমের সহ-অধিনায়ক। ক্লার্ক না থাকলে তো ওরই অধিনায়ক হওয়ার কথা। কিন্তু তার বদলে নির্বাচকরা পন্টিংকে নেতা বাছল। আর এটা হল আর্গস রিভিউ-তে সহ অধিনায়কের দায়িত্ব বাড়ানো নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর। আমি মনে করি ক্লার্ককে দু’টো ম্যাচের জন্য নেতৃত্ব দিলে খুব খারাপ হত না। ওর জন্য ভাল সুযোগও থাকত। মনে হয় নির্বাচকরা ভেবেছেন, ওয়ার্নার এখনও তৈরি নয়।
আর্গাস রিভিউতে আরও বলা হয়েছিল যে, নির্বাচক, প্লেয়ার আর প্রচারমাধ্যমের মধ্যে যোগাযোগের রাস্তাটা আরও পরিষ্কার হওয়া দরকার। এ ক্ষেত্রে যে সেটা হয়নি তার প্রমাণ ব্র্যাড হাডিন। নির্বাচকরা বলছে, হাডিনকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। কিন্তু হাডিন নিজে বলছে, ওকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এটা পরিষ্কার যে হাডিনই ঠিক বলছে, কিন্তু যে ভাবে ভুল তথ্য গোটা ব্যাপারটাকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে তুলেছে তাতে ওকে একটু দিশেহারাও লাগছে। এই দু’টো ঘটনা নির্বাচকদের বুঝিয়ে দিল যে, একটা পরিছন্ন যোগাযোগ থাকা জরুরি।
অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং মোটেই বিস্ফোরণ ঘটায়নি। বোলাররা কখনও আগুনে, কখনও ঠান্ডা। মিচেল স্টার্ক শুরুটা ভাল করেছিল, কিন্তু এখন আর ওকে তত ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছে না। প্যাট কামিন্স আর জেমস প্যাটিনসন না থাকায় যে ফাঁকটা তৈরি হয়েছিল, সেটা এখন টের পাওয়া যাচ্ছে।
এই সপ্তাহের দুই সেরা পারফর্মার অবশ্যই গৌতম গম্ভীর আর মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। দ্বিতীয় জন শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া সফরে নিজের জাত চেনাল। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ধোনি বুঝিয়ে দিল, ওর উপর ভরসা করে নিশ্চিন্ত থাকা যায়। শেষ ওভারে ১২ রান তুলল, হাতে দু’বল রেখে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও আবার একই কাজ প্রায় করে ফেলেছিল। ধোনিকে দু’টো ম্যাচেই অসম্ভব ঠান্ডা দেখিয়েছে। যেটা ওর টিমের পক্ষে পরের ম্যাচগুলোর জন্য বেশ ভাল খবরই বলতে হবে।
এটা এখন মোটামুটি পরিষ্কার যে, টুর্নামেন্টের তিনটে দলই ধারে-ভারে একে অন্যের খুব কাছাকাছি। শ্রীলঙ্কাকেও অনেক সঙ্ঘবদ্ধ দেখাচ্ছে। দীনেশ চণ্ডীমলকে দেখে ভাল লাগল। |