গাব্বায় কিন্তু আবার বাউন্স সামলাতে হবে ধোনিদের
সিডনিতে শ্রীলঙ্কা বোনাস পয়েন্ট-সহ অস্ট্রেলিয়াকে হারানোয় ত্রিদেশীয় সিরিজ কিন্তু জমে গিয়েছে! এখন থেকে বাদবাকি প্রতিটা ম্যাচ তিনটে দলের কাছেই অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেল। মনে পড়ছে, আমার আগের একটা কলামে লিখেছিলাম যে, ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট নিয়ে আকর্ষণ তৈরি হওয়ার জন্য বাকি দুই দলের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সমান তালে টক্কর দেওয়াটা খুব জরুরি। এবং মাহেলা অ্যান্ড কোম্পানি ঠিক সেটাই করে দেখাচ্ছে।
এই মুহূর্তে পরিস্থিতি যে রকম, তাতে ব্রিসবেনের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভারতের যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই মাঠে নামা উচিত। পয়েন্ট তালিকায় এক নম্বরে থাকা ধোনি-বাহিনীকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট আরও খুলে দেওয়ার জন্য মরিয়া থাকবে অস্ট্রেলিয়া। সেটা হলে তিনটে দলের যে কেউ বেস্ট অব থ্রি ফাইনালে যেতে পারে। টুর্নামেন্ট গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভারতের বোলিং আর ফিল্ডিং অনেক ধারালো আর ঝকঝকে হয়েছে। তবে ব্যাটিং নিয়ে এখনও কিছু সমস্যা আছে। তার উপর এই টুর্নামেন্টে গাব্বায় এটাই ভারতের প্রথম ম্যাচ। গাব্বার পিচের বাউন্সের সঙ্গে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের কিন্তু খুব দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে। গম্ভীর, কোহলি আর ধোনি রানের মধ্যে থাকলেও এ বার বাকিদের করে দেখাতে হবে।
রোটেশন নীতি ঠিকঠাক মানা হলে ব্রিসবেনে মনোজ তিওয়ারির খেলা উচিত। এই সিরিজে ছেলেটা একটা সুযোগের জন্য ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করে আছে। রবিবার সুযোগটা পেলে মনোজকে সেটা পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে। ও যেন ভারতের হয়ে নিজের শেষ ইনিংসে সেঞ্চুরি করার আত্মবিশ্বাসটাকে সামনে রেখে গাব্বায় খেলতে নামে। কয়েক বছর আগে ব্রিসবেনে নিজের শেষ ইনিংসে কী ভাবে ব্যর্থ হয়েছিল, তা নিয়ে ফালতু ভাবার কোনও দরকার নেই।
শ্রীলঙ্কানরা যেখানে এই সিরিজে প্রতিটা ম্যাচের সঙ্গে নিজেদের আরও গুছিয়ে তুলেছে, সেখানে ঠিক উল্টোটা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রে। অস্ট্রেলিয়ানদের দেখে রীতিমতো নড়বড়ে লাগছে। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে। অস্ট্রেলীয় ব্যাটিং যেন হঠাৎ করে ঘুমিয়ে পড়েছে! ডেভিড হাসিকে বাদ দিলে আর কেউ ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেনি। ডেভিড ওয়ার্নারও এক্কেবারে চুপ মেরে গিয়েছে। আমার মনে হয় এর বড় কারণ, প্রতিপক্ষ টিমের বোলাররা ওকে থামানোর সফল ফর্মুলাটা পেয়ে গিয়েছে-- শরীরের কাছে বল করো এবং গতির হেরফের ঘটাও। আর তাতেই ওয়ার্নার আটকে যাচ্ছে। অন্য দিকে, এক দিনের ক্রিকেটে নিজেদের ফর্ম হাতড়ে বেড়াচ্ছে রিকি পন্টিং আর মাইক হাসি।
পন্টিং আর হাসির রান পাওয়াটা কিন্তু জরুরি। কারণ তা না হলেই ওদের বিরুদ্ধে গলাগুলো আরও জোরদার হবে। আসলে ক্রিকেট কেরিয়ারের শেষের দিকে পৌঁছে গেলে সাধারণত এমনটাই হয়ে থাকে। তাই মনে রাখতে হবে যে ‘বুড়ো’দের ধারাবাহিকতা বাকিদের তুলনায় সব সময় অনেক বেশি হওয়া চাই। মাইকেল ক্লার্কের চোটটা অস্ট্রেলিয়ার দুর্দশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এ দিকে, ব্যাটিং বিপর্যয়ের প্রভাব অস্ট্রেলীয় বোলিংয়ের উপরেও পড়তে শুরু করেছে। যদিও এ পর্যন্ত তিনটে দলের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার আক্রমণই সেরা। তবু ব্যাটসম্যানরা বোর্ডে রান তুলতে না পারলে যে কোনও বোলিং আক্রমণকেই সাধারণ দেখায় আর অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রেও সেটাই হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া দলের মধ্যে এই মুহূর্তে যে স্নায়ুর চাপ আর অস্বস্তিটা দেখছি, তার পুরো সুযোগ নিয়ে ভারতের উচিত আজ নিজেদের জয় নিশ্চিত করা। তাতে তিন ম্যাচের ফাইনালের দিকে বড় করে পা বাড়িয়ে রাখা যাবে।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.