সব কিছু ঠিকঠাক চললে, আসন্ন বিজয় হাজারে ট্রফিতে (রঞ্জি এক দিনের টুর্নামেন্ট) ওপেন করতে দেখা যাবে বাংলা অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। শনিবার বাংলার চূড়ান্ত দল নির্বাচনী সভা শেষে তেমন কথাই জানা গেল। আগামী সোমবার ওড়িশার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করছে বাংলা। দেশের হয়ে দীর্ঘ দিন ওপেন করা সৌরভ এ বার আবার ইনিংসের শুরুতে যাচ্ছেন বাংলার হয়ে। বাংলা দলে বিশেষ চমক নেই। অভিজ্ঞ-তারুণ্যের মিশেলেই টিম হয়েছে। জানা গেল, ওড়িশার বিরুদ্ধে প্রথম এগারোয় দেখা যেতে পারে প্রতিশ্রুতিমান ব্যাটসম্যান জয়জিৎ বসুকে। এ দিন জয়জিতকে নেটে বেশ কিছুক্ষণ আলাদা করে সময় দেন সৌরভ। কিছু পরামর্শ দিতেও দেখা যায়। ব্যাটিং লাইন আপ নিয়ে চিন্তায় না থাকলেও বোলিং কম্বিনেশন কী হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় নির্বাচকরা। শহরে বৃষ্টির পর ইডেনের পিচে ভিজে ভাব এখনও আছে। অশোক দিন্দা-সামি আহমেদের সঙ্গে তৃতীয় পেসার হিসাবে সৌরভ সরকারকে জুড়ে দেওয়া যায় কি না, সেই ভাবনা-চিন্তাও চলছে। কারণ, আইসিসি-র নতুন নিয়ম অনুযায়ী ওয়ান ডে-তে ইনিংসে দু’টো নতুন বল ব্যবহার হবে। মনে করা হচ্ছে, সৌরভ সরকারের ইনসুইং সে ক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে। রঞ্জি ট্রফিতে একটি ম্যাচ খেলে বাদ পড়া অফস্পিনার সৌরাশিস লাহিড়িকেও ফেরানো হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রথম এগারোয় তিনি থাকবেন কি না এখনও নিশ্চিত নয়। এ দিকে, এ দিনই শহরে ঢুকে পড়ল ওড়িশা।
বাংলার ১৬ জনের দল: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (অধিনায়ক), ঋদ্ধিমান সাহা, অনুষ্টুপ মজুমদার, জয়জিৎ বসু, শুভময় দাস, অর্ণব নন্দী, সৌরাশিস লাহিড়ি, লক্ষ্মীরতন শুক্ল, সঞ্জীব সান্যাল, ইরেশ সাক্সেনা, সামি আহমেদ, অশোক দিন্দা, সৌরভ সরকার, দেবব্রত দাস, অরিন্দম ঘোষ, শ্রীবৎস গোস্বামী।
|
এশীয় গ্রাঁ প্রি তিরন্দাজি টুর্নামেন্টে তিনটে সোনার পাশাপাশি তিনটে রূপো এবং একটা ব্রোঞ্জ পদক পেল ভারত। ‘রিকার্ভ’ এবং ‘কম্পাউন্ড’ ভারতের মিক্সড দল দু’টো সোনা জেতে। এ ছাড়াও কম্পাউন্ড বিভাগ থেকে একটি সোনা আসে। আসে দু’টো রৌপ্য পদক এবং ব্রোঞ্জও। শনিবার কম্পাউন্ড বিভাগে দুই ভারতীয়র মধ্যেই পদকের যুদ্ধ চলছিল। চিত্তিবোমা জিগনাস এবং জাতীয় চ্যাম্পিয়ন রজত চৌহ্বানদু’জনের পয়েন্টই দাঁড়ায় সমান-সমান। কিন্তু ‘বুলস আই’-এর বেশি কাছে তির থাকায় শেষ পর্যন্ত সোনা জেতেন জিগনাস। ব্রোঞ্জ প্লে অফে একটুর জন্য পদক হাতছাড়া করেন ঋতুল চট্টোপাধ্যায়। ১৪৩-১৪৭ পয়েন্টে ভিয়েতনামের প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে হেরে। রিকার্ভে প্রথম সোনা তোলে ভারত। জয়ন্ত তালুকদার, লাইশরাম বোম্বাইলা দেবীর টিম হারিয়ে দেন জাপানি প্রতিপক্ষকে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ভারত জেতে ১৪৩-১৪২।
|
ফিলিপিনস বনাম পাকিস্তান ডেভিস কাপ টাই পাকিস্তান আয়োজন করার অনুমতি না পেলে ভারতে খেলতে চান সে দেশের শীর্ষ টেনিস খেলোয়াড়রা। লেবাননে গিয়ে লেবাননকে হারিয়ে আসার পরে ডেভিস কাপের নিয়ম অনুযায়ী এ বার ফিলিপিন্সের বিরুদ্ধে টাই আয়োজন করার কথা পাকিস্তানের। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে গত দু’বছরে পাকিস্তান থেকে সমস্ত ডেভিস কাপ ম্যাচ সরিয়ে নিয়েছে আইটিএফ। সে ক্ষেত্রে ফিলিপিন্সের বিরুদ্ধে টাই লাহোরে হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই। পাকিস্তান টেনিস সংস্থার সচিব মুমতাজ ইউসুফ জানিয়েছেন, পাকিস্তানকে নিরপেক্ষ কেন্দ্র বাছার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। “আমরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলেছি। ওদের মধ্যে বেশির ভাগই ভারতে খেলার পক্ষপাতী,” বলেছেন তিনি। পাকিস্তানের এক শীর্ষ টেনিস খেলোয়াড় আইসাম-উল-হক বলেছেন, “ভারতের পরিবেশ অনেকটা আমাদের দেশের মতো। নিজেদের পছন্দের সারফেসে প্র্যাক্টিস করার সুযোগও পাব। ভারতের ঘাসের কোর্ট আমাদের খুব সাহায্য করবে।”
|
আই লিগ দ্বিতীয় ডিভিশনে গড়াপেটার যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে আর হিমা কোচ সুব্রত ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে আইনি পথে যাওয়ার হুমকি দিল ইউনাইটেড সিকিম। শনিবার ইউনাইটেড সিকিম ম্যানেজার অরুণাভ ভট্টাচার্য বললেন, “গড়াপেটার অভিযোগ তুলে আমাদের ক্লাবের নাম খারাপ করা হচ্ছে। আমরা ঠিক করেছি, আর হিমা এবং তাদের কোচের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।” ফেডারেশনের কাছেও আর হিমার এবং সুব্রত ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছে ভাইচুংদের ক্লাব। এ দিন অবশ্য সরকারি ভাবে পদত্যাগ করলেন আর হিমা কোচ সুব্রত ভট্টাচার্য।
|
কলকাতা জার্নালিস্টস ক্লাব আয়োজিত ফাইভ-এ-সাইড মিডিয়া ফুটবলে রানার্স হল আনন্দবাজার পত্রিকা। ১২ টিমের টুর্নামেন্টের ফাইনালে শনিবার তারা ০-১ গোলে হারল একদিনের কাছে। গোল করেন বিভাস দে। এর আগে সেমিফাইনালে আনন্দবাজার পত্রিকা বনাম সংবাদ প্রতিদিনের ম্যাচ নির্ধারিত সময়ে শেষ হয় ১-১ গোলে। সংবাদ প্রতিদিনের হয়ে প্রথম গোল করেন দীপক পাত্র এবং আনন্দবাজারের হয়ে গোল শোধ করেন সুমিত ঘোষ। টাই ব্রেকারে আনন্দবাজার জেতে ৫-২ গোলে। আনন্দবাজারের বাকি গোলদাতা প্রবাল ধর, সুমিত ঘোষ, বিমল দাস ও সঞ্জীব দাস। সংবাদ প্রতিদিনের হয়ে গোল করেন দুলাল দে। বৈদ্যুতিন মিডিয়ায় চ্যাম্পিয়ন চ্যানেল টেন। পুরস্কার দেন সুব্রত ভট্টাচার্য ও মেহতাব হোসেন।
|
পাকিস্তানকে ৩-০ হারিয়ে একদিনের সিরিজ জিতল ইংল্যান্ড। তৃতীয় একদিনের ম্যাচে তারা ন’উইকেটে হারাল আফ্রিদিদের। প্রথমে ব্যাট করে ২২২-এ শেষ হয় পাকিস্তান। কেভিন পিটারসেনের অপরাজিত ১১১ এবং কুকের ৮০-এর সৌজন্যে সহজেই জেতে ইংল্যান্ড। |