কলকাতা থেকে সব উড়ান
তুলে নিল কিংফিশার

লকাতা থেকে উড়ান তুলে নিল কিংফিশার। শনিবারে কলকাতা থেকে তাদের একটিও উড়ান চলেনি। যাঁরা আগে থেকে কিংফিশারের অভ্যন্তরীণ উড়ানের টিকিট কেটে রেখেছিলেন, শনিবার তাঁদের অন্য সংস্থার উড়ানে তুলে দেওয়া হয়েছে। সমস্যায় পড়েছেন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের যাত্রীরা। ঢাকা ও ব্যাঙ্কক যাওয়ার জন্য যাঁরা টিকিট কেটেছিলেন, তাঁদের জন্য কোনও ব্যবস্থা করছে না কিংফিশার। ফলে, আর্থিক ক্ষতি স্বীকার করে তাঁরা টিকিট বাতিল করে অন্য সংস্থার টিকিট কাটছেন।
বিমানসংস্থা সূত্রে খবর, কিংফিশারের সদর দফতর মুম্বই থেকে শনিবার কলকাতায় কর্মী-অফিসারদের বার্তা পাঠিয়ে বলা হয়েছে, কলকাতা থেকে আপাতত কোনও উড়ানই চলবে না। কবে থেকে আবার উড়ান শুরু হবে, আদৌ হবে কি না, সে নিয়ে কিছু বলা হয়নি সেই বার্তায়। তবে, কম্পিউটার বুকিং-এর ক্ষেত্রে ৩ মার্চের পর কলকাতা থেকে উড়ানের টিকিট এখনও পাওয়া যাচ্ছে। সারা দেশে বিমানসংস্থার মোট বিমানের সংখ্যা ৬৬ থেকে ১৮-তে এসে ঠেকেছে। কয়েক মাস আগেও কলকাতা থেকে নিয়মিত তিনটি এটিআর বিমান এবং একটি বড় এয়ারবাস বিমান যাতায়াত করত। ইদানীং সংখ্যাটি কমে একটি এটিআর-এ ঠেকেছিল। শনিবার থেকে কলকাতা বিমানবন্দরের ১৪ নম্বর হ্যাঙ্গার (বিমান রাখার গ্যারেজ)-এ সেই বিমানটি রাখা হয়েছে। ট্রাভেল এজেন্ট ফেডারেশনের পূর্বাঞ্চলের চেয়ারম্যান অনিল পাঞ্জাবি শনিবার বলেন, “শুনছিলাম, সোমবার থেকে উড়ান বন্ধ করে দেবে। কিন্তু, দু’দিন আগেই সব উড়ান তুলে নিল। আমরা অবশ্য কিছু দিন আগে থেকেই কিংফিশারের উড়ানে যাতায়াত না করার জন্য যাত্রীদের অনুরোধ করছিলাম।” শনিবার সকাল থেকেই কিংফিশারের উড়ান ঘিরে নাটক শুরু হয় কলকাতা বিমানবন্দরে।
সকালে কিংফিশারের উড়ানে বাগডোগরা যাওয়ার জন্য যাত্রীরা বিমানবন্দরে পৌঁছে শোনেন উড়ান যাবে না। তাঁরা টাকা ফেরত চান। কর্মীরা টাকা দিতে না চাওয়ায় যাত্রীরা বিমানবন্দর থানায় যান। পরে কিংফিশারের কর্মীরা টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেন। বিমানবন্দরের এক কর্তা জানিয়েছেন, মাস ছ’য়েক আগেও কর্তৃপক্ষের কাছে কিংফিশারের প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বকেয়া ছিল। টাকার পরিমাণ এখন আরও বেড়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.