রাজ্য অনড়ই সেজ-এ কেন আপত্তি, বুঝছে না ইনফোসিস
তাদের প্রকল্পকে বিশেষ আর্থিক অঞ্চলের (সেজ) তকমা দেওয়ার সুপারিশ করার ব্যাপারে রাজ্য সরকারের অনীহার কারণ বুঝতে পারছে না ইনফোসিস। তাদের বক্তব্য, এতে রাজ্যের তো হারানোর কিছু নেই, উল্টে বিপুল কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
রাজ্য সরকার অবশ্য বিশেষ আর্থিক অঞ্চল নিয়ে নিজেদের অবস্থানে এখনও অনড়। একই সঙ্গে, ইনফোসিসের লগ্নি যাতে হাতছাড়া না হয়, সে জন্যও চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। ‘সেজ’-এর তকমা ছাড়াই কী ভাবে সংস্থাকে সমান আর্থিক সুবিধা দেওয়া যায়, সেই পথ খুঁজছে রাজ্য সরকার।
সম্প্রতি হিডকোকে চিঠি দিয়ে ইনফোসিস জানিয়েছে, প্রকল্পটি ‘সেজ’-এর তকমা না-পেলে জমি ফেরত দিয়ে টাকা নিয়ে নেবে তারা। এই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে সংস্থার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও গ্লোবাল হেড (কমার্শিয়াল অ্যান্ড কর্পোরেট রিলেশনস) বিনোদ হামপাপুর ই-মেল বার্তায় বলেছেন, “এই প্রকল্প বিশেষ আর্থিক অঞ্চল হলে রাজ্যের কিছু হারানোর নেই। কারণ জমি অধিগ্রহণ আগেই হয়ে গিয়েছে। আমাদের হাতে দেওয়াও হয়েছে সেই জমি। ‘সেজ’-এর জন্য আমরা যে সব প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর ছাড় পাব, তা কেন্দ্র সরকারই দেবে। অন্য দিকে, এই প্রকল্পে রাজ্যের কর্মসংস্থান হবে।” সংস্থার আশা, রাজ্য সরকার বিশেষ আর্থিক অঞ্চলের জন্য প্রয়োজনীয় সুপারিশ কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়ে দেবে।
রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য জানাচ্ছেন যে, বিশেষ আর্থিক অঞ্চল নিয়ে সরকারের অবস্থান এখনও একই রয়েছে। তবে ইনফোসিসের জট ছাড়াতে জোরদার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। পার্থবাবুর কথায়, “এর আগেও ইনফোসিসের জমি জট ছাড়াতে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। কিন্তু ‘সেজ’ নিয়ে আমাদের দলীয় অবস্থান বদলানো যাবে না। তবে সেজ-এর জন্য সুপারিশ না করেও একই ধরনের সুবিধা ওদের কী ভাবে দেওয়া যেতে পারে, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে।” প্রকল্প হলে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির যে দাবি ইনফোসিসের তরফে করা হচ্ছে, তা মেনে নিচ্ছে রাজ্য সরকার। শুধু তা-ই নয়, ইনফোসিসের মতো ‘ব্র্যান্ড’ যে অন্য লগ্নি টানার পথও সুগম করবে, তা-ও মেনে নিচ্ছেন শিল্পমন্ত্রী। সেই কারণেই ইনফোসিসকে ধরে রাখতে তাঁরা তৎপর। পার্থবাবু জানান, রাজ্য সরকার শীঘ্রই ইনফোসিসের চিঠির উত্তর দেবে। যদিও সেটা কবে, তা স্পষ্ট করে বলেননি তিনি।
ইনফোসিসের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা চেয়ে কেন্দ্রের কাছে যে চিঠি পাঠানো হবে, তারও সময়সীমা জানাননি শিল্পমন্ত্রী। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, সেই চিঠির খসড়া তৈরির কাজ চলছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন ছাড়া তা চূড়ান্ত করা সম্ভব নয়। অন্য দিকে সংস্থার হাতেও সময় কম। কারণ চলতি আর্থিক বছরের মধ্যে ‘সেজ’ হিসেবে নথিভুক্ত না হলে কর ছাড়-সহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে সংস্থা।
বিশেষ আর্থিক অঞ্চলের তকমা ছাড়া সংস্থার পক্ষে যে ব্যবসা শুরু করা সম্ভব নয়, ক’দিন আগেই তা মোটামুটি স্পষ্ট করে দিয়েছেন ইনফোসিসের প্রাণপুরুষ নারায়ণমূর্তি। সম্প্রতি বেলুড়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে তিনি জানান, এ রাজ্যে কাজ শুরুর ব্যাপারে কিছু শর্ত পূরণ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন তাঁরা। কারণ প্রতিযোগিতার বাজারে অন্য সংস্থার তুলনায় কম সুবিধাজনক অবস্থায় কাজ করা সম্ভব নয়। এমনকী অন্য রাজ্যে ইনফোসিসের প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধার সঙ্গেও তুলনামূলক জায়গায় এ রাজ্যের ক্যাম্পাসকে থাকতে হবে বলে তিনি জানিয়েছিলেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.