স্কুল-কলেজে তো ছাত্র হিসেবে খুব ভাল ছিলেন?

হিরণ: হ্যাঁ। উলুবেড়িয়া হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক। তার পর রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংলিশ অনার্স পাশ করি। ম্যানেজমেন্ট কোর্স, এবং ল’কোর্সও করেছি।

জন্ম কোথায়, ছেলেবেলাটা কেমন কেটেছে?

হিরণ: জন্মেছি উলুবেড়িয়ায়। বাবা স্কুলে মাস্টারি করতেন। তখন মাটির রাস্তা ছিল, ইলেকট্রিসিটি ছিল না। দুরন্তপনা ছিল, ধান খেতের মধ্যে দৌড়ে বেড়িয়েছি। পুকুরের ধারে যে গাছগুলো হেলানো অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকত তাতে উঠে ডিগবাজি খেয়ে জলে পড়তাম। সে এক মজার দিন ছিল। এখন যখন ছোটবেলার কথা মনে পড়ে, তখন ভাবি সেই সময়টা একটা স্বপ্নের জগৎ ছিল। সকালে উঠে বাসি রুটি চায়ে ডুবিয়ে ব্রেকফাস্ট সারতাম। ওখানে থাকতে থাকতেই বাবা-মা মারা যান। তার পর কলকাতায় আসি।

মানিকতলার আশ্রমের দিনগুলো কেমন ছিল?
হিরণ: এককথায় দারুণ। ওখানে থাকার কারণটা ছিল, থাকা-খাওয়াটা ফ্রি। তার দরুন অবশ্য আশ্রমের সমস্ত কাজ করে দিতে হত, বাজার করা, ফুল তোলা, আশ্রম পরিষ্কার করা।
মুম্বইতে চাকরি খোঁজার সময়টা কেমন কেটেছিল?
হিরণ: আমার জীবনে এক জন ভগবানের মতো মানুষ এসেছিলেন শ্যামলকান্তি রায়। তাঁর থ্রুতেই মুম্বইয়ের এক অ্যাডভোকেটের সঙ্গে পরিচয় হয়। তাঁর একটা ৬/৮ মাপের একটা ঘর ছিল। তিনি সেখানেই দিনেরবেলা প্র্যাক্টিস করতেন। সেই চেম্বারেই চেয়ার-টেবিল এক পাশে সরিয়ে রাত কাটাতাম। তার পর রিলায়্যান্সে চাকরি পেলাম।

খুব স্ট্রাগল করতে হয়েছে তা হলে?

হিরণ: হ্যাঁ। ছোটবেলা থেকেই প্রচুর স্ট্রাগল করেছি। আমাদের বাড়ির আর্থিক অবস্থা মোটেই ভাল ছিল না। আমরা অনেক ভাইবোন। সারা সপ্তাহে এক দিন আমরা ডিম খেতে পেতাম। তাও আবার অর্ধেকটা। ডিমের কুসুম ভাগাভাগি নিয়ে বাড়িতে বোনের সঙ্গে কত ঝগড়া। এখন এইট প্যাকস করতে গিয়ে দিনে আঠারোখানা ডিম খাচ্ছি। সেই জীবন আর এই জীবন দুটো দু’রকম, কিন্তু দুটোই এনজয়েবল।

ফিজিক তো ভালই ছিল, হঠাৎ এইট প্যাকস বানাতে গেলেন কেন?

হিরণ: আমার নতুন ছবি ‘মাচো মস্তানা’র জন্যই বানালাম। তা ছাড়া ছোটবেলার একটা স্বপ্নও ছিল।

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পার্সোনাল জিম ব্যবহার করলেন? যোগাযোগ হল কী ভাবে?

হিরণ: আমরা তো প্রতিবেশী। দাদার অনুষ্ঠান ‘কে হবে কোটিপতি’তে গিয়ে কথা প্রসঙ্গে বলেছিলাম, আমার নেক্সট ছবির জন্য এইট প্যাকস বানাতে হবে। তখন দাদা বললেন, ‘এইট প্যাকস বানাতে গেলে তো দিনে ৩-৪ ঘণ্টা কনসেনট্রেট করতে হবে, পাবলিক জিমে এটা করা খুব মুশকিল, আমার পার্সোনাল জিমটা ব্যবহার করতে পারো।’

রিলায়্যান্সের মতো ভাল চাকরি ছেড়ে অভিনয়ে এলেন কেন?

হিরণ: আমার জীবনের ইন্সপিরেশন হল, উত্তমকুমারের ‘নায়ক’। একটা জায়গায় উত্তমকুমার ভাবছেন, ফিল্মে যাব, না চাকরিটাই করব? তা ছাড়া গীতার একটা লাইন আছে না: তুমি কোথা থেকে এসেছ জানো না, মৃত্যুর পর তুমি কোথায় যাবে তাও জানো না। জন্মের পর আর মৃত্যুর আগে মাঝের এটুকু সময় তোমার নিজের। এর জন্য কীসের পরিতাপ? আমার তাই মনে হল, একটাই তো জীবন, দেখি না কী হয়।

আপনার জীবনটাই তো একটা সিনেমার মতো?

হিরণ: (হাসি) তা বলতে পারেন।

জীবনে কোনও দুঃখজনক ঘটনা, যা আজও নাড়া দেয়?

হিরণ: বাবা-মা মারা যাওয়ার পর আমার ওপরের দিদি পাগল হয়ে যায়। আমি তখন বম্বে থেকে কলকাতা শিফ্ট করেছি। ‘নবাব নন্দিনী’ রিলিজ করেছে। পোস্টারে আমার ছবির ওপর হাত দিয়ে আপন মনে কী যেন বলে চলেছে। তিন বছর ধরে চিকিৎসা চালিয়ে এখন ঠিক আছে।

আপনার ফার্স্ট ব্রেক ‘নবাব নন্দিনী’। তা ওই ছবির পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তীর সঙ্গে পরিচয় কী ভাবে?
হিরণ: ২০০৫ সালের ষষ্ঠীর দিন মুম্বই থেকে হরনাথদাকে ফোনে বললাম, আপনার ছবিতে আমি হিরো হতে চাই। উনি বললেন, ‘কলকাতায় এসে এক বার দেখা করো, কথা হবে। পরের দিন সকালেই দেখা করলাম। উনি অবাক, কাল সকালে মুম্বই থেকে... আজ সকালে কলকাতা! ওঁর বাড়িতে সায়ন্তনী ঘোষ গিয়েছিলেন কোনও একটা কাজে। হরদা ওঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী রে, ছেলেটা চলবে?’ সায়ন্তনী বললেন, ‘হ্যাঁ, হ্যাঁ চলবে।’ যেমন করে মেয়ে দেখে, আমাকেও সে ভাবে হরদা দেখলেন চশমাটা খোলো তো একটু, একটু হেঁটে দেখাও তো। বিভিন্ন পোজে কিছু ছবি হরদা মোবাইল ক্যামেরায় তুলে রাখলেন। তার পর রেগুলার টাচে ছিলাম। ২০০৭-এর ফেব্রুয়ারি মাসে ‘নবাব নন্দিনী’র কাজ শুরু হল। সুযোগ পেলাম।

অবসর কাটান কী ভাবে?

হিরণ: কবিতা লিখি, গান শুনি, সিনেমা দেখি, আনন্দবাজারের রবিবাসরীয়টা পড়ি।

আপনি নাকি গায়কও?

হিরণ: (হা হা হা হাসি) হ্যাঁ। স্ত্রী অনিন্দিতার অ্যালবামে আমিও কয়েকটা গান গেয়েছি।
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন ঠিকানা চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের
ঘাসে ঢাকা ব্রিগেডে ভুল স্বীকারের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়ানোর আহ্বানে যখন সিপিএম সমর্থকরা জড়ো হবেন, তখনও কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে তাঁদের পায়ের নীচের মাটি তৃণমূলে ভরা!
প্রদীপ্ত পালিত। হেদুয়া

খবরে কাগজে সিপিএমের রাস্তায় নেমে চাঁদা তোলার ছবি দেখে মনে হচ্ছে ‘শেঠ’দের এ বার পথে নামতে হচ্ছে। এ তো ‘লক্ষ্মণ’ ভাল নয়!
প্রতুল। টালিগঞ্জ

জেনারেলের বয়স নিয়ে এত দিন ধরে ঝামেলা চলছে, পড়তে পড়তে আমাদেরই বয়স বেড়ে গেল! প্রথম দিকটা ভাল মনে পড়ে না!
সোমা বিশ্বাস। দুর্গাপুর

ক: বল তো, সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের সঙ্গে আজকের ভ্যাল্টেন্টাইন রোমিয়োদের তফাত কী?
খ: প্রথম জনের রাজদ্রোহিতার অপরাধে মাথা কাটা গিয়েছিল। আর আজ প্রেমিকার রেস্তোরাঁর বিল মেটাতে এদের পকেট কাটা যাচ্ছে!

অরূপরতন আইচ। কোন্নগর

কর্নাটক বিধানসভায় দুষ্টু ছবি দেখার সময় তিন প্রাক্তন মন্ত্রী ধরা পড়লেন। এই তিন জনের ধরা পড়ার ভিডিয়োটাকে কি ‘ট্রিপল-ex’ ভিডিয়ো বলে ধরা হবে?
শ্রবণা সেনগুপ্ত। সাহাগঞ্জ

তৃণমূল সরকার যে ভাবে গোটা শহরটাকে গ্রিসের পতাকার মতো সাদা-নীল রং করছেন, ভয় হয় অর্থনীতির হালও একই রকম হবে না তো?
শুভব্রত চট্টোপাধ্যায়। বেহালা চৌরাস্তা

ক: হ্যাঁ রে, এই সুশান্ত ঘোষকে আঁকড়ে ধরে সিপিএম কোন লাইন নিচ্ছে?
খ: স্যালাইন!

হীরালাল। কলেজ স্ট্রিট
ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচের নাম ডানকান কেন রাখা হয়েছিল বা কে রেখেছিলেন জানি না। এখন তো দেখছি তার আবদার আর হাবভাব দু’কান কাটা মানুষের মতো!
দেবব্রত ঘোষ। সল্ট লেক
যখনই আমরা ভাবছি শীতের ‘চন্দ্রবিন্দু’ প্রাপ্তি হল, অমনি সে গাইছে: ‘এ ভাবেও ফিরে আসা যায়।’
রনজিৎ মুখোপাধ্যায়। মুরাগাছা

জলের ওপর স্টিমার চালাচ্ছেন চালান। কিন্তু দয়া করে দলের ওপর স্টিমরোলার চালানোটা বন্ধ করুন।
রাতুল। সিউড়ি

সৌমিত্র মিত্র
সালটা খুব সম্ভবত ১৯৮৫। রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়িতে দু’টি রবীন্দ্রসন্ধ্যা। উদ্যোক্তারা আমার মারফত ঋতু গুহকে আমন্ত্রণ জানালেন। অত্যন্ত ‘মুডি’ ঋতুদি এককথায় সম্মত হেলন। দাবদাহে গোটা উত্তরবঙ্গ তখন পুড়ছে। শিলিগুড়ির অনুষ্ঠান শেষ করে আমরা জলপাইগুড়িতে। উদ্যোক্তারা একটি অতিথিশালায় থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন। সেটি কোনও মতেই বাসযোগ্য নয়। ব্যস, ঋতুদির মুড নষ্ট। সাফ জানিয়ে দিলেন, গান গাইবেন না। এতক্ষণ হইচই করে থাকার পর আমাদের কপালেও ভাঁজ পড়ল। শেষমেশ জলপাইগুড়ি ক্লাবে থাকার ব্যবস্থা হল।
রাতে গান শেষ হওয়ার পর আমরা জলপাইগুড়ি ক্লাবে ফিরে এলাম। ব্রিটিশ আমলে তৈরি চমৎকার প্রশস্ত ঘর, সামনে বারান্দা। বারান্দায় আমাদের গল্প শুরু হল। আর সেই মুহূর্তে শুরু হল অঝোর ধারায় বৃষ্টি। সমস্ত উত্তাপ কেটে গিয়ে এক স্নিগ্ধ বাতাবরণ। আর সেই মুহূর্তে এক অনন্য অভিজ্ঞতায় স্নাত হলাম আমরা। একের পর এক গান গেয়ে চলেছেন ঋতু গুহ। মনে পড়ে, শুরু করেছিলেন ‘ডাকছি যে তাপিত জনে...’ তার পরে ‘নির্জন রাতে নিঃশব্দ চরণপাতে...’, ‘আমি সন্ধ্যাদীপের শিখা...’ এক অনন্ত রবীন্দ্র ভুবন। এবং এক বারও গীতবিতানের পাতা না উল্টিয়ে। রাত কত তখন কারও খেয়াল নেই। হঠাৎ কে যেন বললেন, অনেক রাত হল, কাল ভোরে তো আপনাদের ট্রেন। ঋতু গুহর গলায় আবার গান— কার বাঁশি নিশিভোরে বাজিল। অন্য আর একটি সন্ধে। শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিনে তাঁর কর্নেল বিশ্বাস রোডের বাড়িতে ঋতু গুহর গান। সুভাষ মুখোপাধ্যায়, গীতা বন্দ্যোপাধ্যায় সে সন্ধ্যায় হাজির। এখানেই ঋতু গুহ গাইলেন, ‘বাজাও আমারে বাজাও...’ মালকোষ রাগে। আবার ‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই...’, তাল ছাড়া। ভুলিনি।
বহু দিন আগে বলে গিয়েছিল প্যালা,
ক্রিকেট এক ঝিঁঝিঁ খেলা।
মাঠের মধ্যে দাঁড়ানো ওই পেয়ার,
সন্দেহ হয় আসলে ভ্যাম্পায়ার।
তা নইলে কেন গোটা এক বল গিলে,
আমাদের জয় টাইয়ে আটকে দিলে?
ঘুঁটে মালা দাবিদার: প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় আম্পায়ার
শিক্ষাকে রাজনীতি মুক্ত করা না গেলেও,
রাজনীতিকে শিক্ষা মুক্ত করা হচ্ছে!

প্রদীপ সেন, বোলপুর
ক্ষমা চাইছি
আমি তখন পড়াশোনা শেষ করে চাকরির পরীক্ষা দিচ্ছি। একটি বিমা সংস্থায় কল পেয়ে হাজির হলাম পরীক্ষা দিতে, আসানসোলের একটি স্কুলে। সেখানে পরিচয় হল একটি ছেলের সঙ্গে, সেও পরীক্ষা দিতে এসেছে। এসেছে হাওড়া থেকে, মামাকে নিয়ে। শুনলাম অনেক পরীক্ষা দিয়েছে, হয়নি। বয়স অনুযায়ী দু’মাস পর সরকারি চাকরি আর পাবে না। সায়েন্সের ছাত্র হিসেবে অঙ্কে ভয় নেই, যত ভয় জেনারেল নলেজে। আমি আর্টসের, তাকে অভয় দিয়ে চুক্তিবদ্ধ হলাম। শর্ত, সে অঙ্ক কষে আমায় দেখাবে। আমিও জেনারেল নলেজ প্রস্তুত করে দেখাব তাকে। রোল নম্বর দেওয়া নেই, একই বেঞ্চে বসলাম দু’জনে। চুক্তি অনুযায়ী পরস্পরের অনুকরণ করলাম। শুধু শেষের পাঁচটা প্রশ্ন নিজে লিখেও, কী মনে হল, ওকে বললাম জানি না। প্রথম লিস্টেই চাকরি পেলাম আমি, ওর নাম নেই, চাকরি হয়নি। আজও তাই নিজেকে ক্ষমা করতে পারিনি।
মালবিকা নন্দী, বাঁকুড়া

মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন বিভাগ।
চারিদিক থেকে কানে আসা নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু
করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের।

ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান।
ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১
 



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.