সূর্যোদয় মূক ও বধির হোমের এক আবাসিককে চাকরি দিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক ভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। হোমের আবাসিক মূক ও বধির ২২ বছরের ওই যুবকের নাম ক্যানিং পান্থ। ১৯৯৯ সালে বাড়ি থেকে হারানোর পর দক্ষিণবঙ্গের ক্যানিং থানা এলাকা থেকে মূক ও বধির ওই কিশোরকে উদ্ধার করেছিল পুলিশ। আদালতের নির্দেশে তখন থেকেই হোমে তিনি। জেলা পরিষদের অতিরিক্ত নির্বাহী আধিকারিক দিব্যেন্দু দাস বলেন, “ক্যানিংকে জেলা পরিষদের তরফে চাকরি দেওয়ার ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত য়েছে। অর্থ কমিটির পরবর্তী বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।” অর্থ কমিটির কর্মাধ্যক্ষ তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোক্তার আলি সর্দার জানান, হোম কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে ক্যানিংকে চাকরি দেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়ে আসছিলেন। সেই মতো ক্যানিংকে চাকরি দিতে তাঁরা উদ্যোগী। ২০০৫ সাল থেকে ক্যানিং উত্তরবঙ্গ, রাজ্য ও জাতীয় স্তরের মূক ও বধিরদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রচুর পুরস্কার পেয়েছেন ক্যানিং। বর্তমানে তিনি হোমে বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি আবাসিকদের প্রশিক্ষণ দেন। ক্যানিং হোম পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কাজকর্মে পারদর্শী হওয়ায় তাঁকে হোম সংক্রান্ত কাজে নিয়োগ করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। হোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জেলা পরিষদের নিজস্ব আয় থেকেই তাঁর বেতন দেওয়ার ভাবনা চিন্তা হয়েছে। সূর্যোদয়ের অধ্যক্ষ পার্থসারথি দাস জানান, মূক ও বধিরদের স্বনির্ভর করতে সমাজের মূলস্রোতে ফেরানোর লক্ষ্যে হোমের বিদ্যালয়কে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উত্তীর্ণ করা, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করার দাবি জানানো হয়েছিল। তিনি বলেন, “আমরা খুশি। ক্যানিং চাকরি পেলে আবাসিকরা উৎসাহিত হবে।” |