কাছাকাছি পরীক্ষা কেন্দ্র থাকলেও তা পেরিয়ে পরীক্ষার্থীদের যেতে হবে আরও ৫ কিলোমিটার দূরে। ওই সিদ্ধান্ত জানার পরেই পরীক্ষা কেন্দ্র বদলের দাবিতে প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শকের দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল চাঁচল-২ এলাকার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। মালদহের চাঁচল-২ চক্রের স্কুল পরিদর্শকের দফতরে শুক্রবার দুপুরে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। ওই চক্রের পরিদর্শক শুভঙ্কর মুখোপাধ্যায় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার চাঁচল-২ কেন্দ্রের সেন্টার ইনচার্জ। দু’ঘন্টা ধরে ঘেরাওয়ের পরে সেন্টার ইনচার্জের আশ্বাস পেয়ে ঘেরাও তুলে নেয় পরীক্ষার্থীরা। চাঁচল-২ কেন্দ্রের সেন্টার ইনচার্জ তথা স্কুল পরিদর্শক শুভঙ্কর মুখোপাধ্যায় বলেছেন, “কোনও স্কুলের পরীক্ষা কেন্দ্র কোথায় হবে তা সেন্টার কমিটির সভায় বসেই ঠিক হয়। সমস্যা মেটাতে সেন্টার কমিটির সভায় আলোচনা করা হবে।” চাঁচলের দুটি ব্লকে মোট ১৪টি উচ্চমাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। তার মধ্যে চাঁচল-১ ব্লকে ৯টি এবং চাঁচল-২ ব্লকে ৫টি স্কুল রয়েছে। চাঁচল-১ ব্লকের ৫টি পরীক্ষা কেন্দ্র ও চাঁচল-২ ব্লকে পরীক্ষা কেন্দ্র একটিই। ওই ১৪টি স্কুলের পরীক্ষার্থীদের জন্য কেন্দ্র এমন ভাবে সাজান হয়েছে যাতে একটি ব্লকের পরীক্ষার্থীদের অন্য ব্লকের পরীক্ষা কেন্দ্র যেতে হয়। চাঁচল-২ ব্লকের বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তাঁদের পরীক্ষা দিতে প্রতিদিন গড়ে ১০-১৫ কিলোমিটার দূরে যেতে হবে। অথচ এলাকাতেই বীরস্থলিতে নয়া কেন্দ্র হয়েছে। ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ চাঁচল-২ এলাকার স্কুল শিক্ষকেরাও। চাঁচল-২ এলাকার গোবিন্দপাড়া হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মমতাজ আলি বলেন, “এত দিন এই ব্লকে কোনও কেন্দ্র ছিল না। এ বছরই প্রথম বীরস্থলি হাই স্কুলে কেন্দ্র করা হয়েছে। তা হলে আর এলাকার পরীক্ষার্থীর সমস্যা মিটল কোথায়?” সমস্যার কথা সর্বস্তরে জানিয়েছি। ফল মেলেনি।” একই সঙ্গে গোবিন্দপাড়া স্কুল ব্লকের কেন্দ্রস্থলে হওয়া সত্ত্বেও কেন বীরস্থলিতে কেন্দ্র করা হল সেই প্রশ্নও তুলেছেন একাধিক স্কুলের প্রধানশিক্ষকেরা। বীরস্থলি হাই স্কুলে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতির দাবিতে এ দিন সেন্টার ইনচার্জকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান পরীক্ষার্থীরা। সমস্যা না মিটলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে বলে তাদের তরফে হুমকি দেওয়া হয়েছে। |