প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেই সীমানার পাঁচিল তৈরির ইট চুরি করার অভিযোগ তুলে স্কুলে তালা ঝোলালেন ক্ষুব্ধ অভিভাবক-সহ এলাকার বাসিন্দারা। মালদহের রতুয়ার গোরক্ষা প্রাথমিক স্কুলে শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে স্কুলের ইট বাড়ি নিয়ে যান ওই প্রধান শিক্ষক। এদিন সকাল ১১টায় স্কুলে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অভিভাবক-সহ বাসিন্দারা। বিক্ষোভে এদিন স্কুলে পঠনপাঠন হয়নি। শিক্ষক, শিক্ষিকারা স্কুলে পৌঁছলেও ভিতরে ঢুকতে না-পেরে ফিরে যান। স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকারাও প্রতিনিয়ত দেরি করে স্কুলে আসায় পঠনপাঠন শিকেয় উঠেছে বলেও অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন অভিভাবকরা। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্ষদের রতুয়া চক্রের পরিদর্শক বৈশাখী রায় বলেন, “বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তারপরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অভিভাবক-সহ বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্কুলের সীমানার পাঁচিল তৈরির জন্য সর্বশিক্ষা মিশনের দেড় লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। সেই টাকায় পাঁচিল তৈরির কাজ চলছে। বৃহস্পতিবার রাতে প্রধান শিক্ষক হবিবুর রহমান দুটি ভ্যানে চাপিয়ে স্কুল থেকে ইট তার বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। ওই সময় তা দেখে ফেলেন বাসিন্দারা। অভিভাবক-সহ বাসিন্দাদের দাবি, প্রধান শিক্ষক ওই ইট কোথা থেকে আনা হল তার সদুত্তর দিতে পারেননি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, শুধু ইট নয়, ওই প্রধান শিক্ষক এর আগে কাউকে না জানিয়ে স্কুলের একটি নিমগাছ বিক্রি করে দেন। এ ছাড়া মিড-ডে মিলের খাবার নিয়েও বিস্তর অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকরা। এলাকার দুই অভিভাবক নুরুল ইসলাম, তাজমূল হকরা বলেন, “শিক্ষক, শিক্ষিকারা সময়মতো স্কুলে আসেন না। পঠনপাঠন শিকেয় উঠলেও প্রধান শিক্ষকের হুঁশ নেই।” প্রধান শিক্ষক অবশ্য তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, “ইট চুরি করার মিথ্যা বদনাম দেওয়া হচ্ছে। ইটের বিষয়ে কিছু জানি না। মনে হচ্ছে বিষয়টি সাজানো। বদনাম করতেই এসব করা হচ্ছে।” জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান রামপ্রবেশ মন্ডল বলেন, “দুর্নীতি কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। ওখানে কী হয়েছে তা খোঁজ নিয়ে তারপর যা করার করব।” |