...তা হলেই কেশ জম্পেশ
বিষ্যৎ মানুষটির এগজ্যাক্ট ছবিটি কি জানা আছে? যাঁরা এখনও জানেন না, তাঁরা সত্যিই ভাল ঘুমোচ্ছেন, কিন্তু বেশি দিন তাঁদের এই সুখনিদ্রা বজায় থাকবে না। কারণ, এক দিন তাঁরা জানবেন যে ভবিষ্যতের মানুষটির মাথায় চুল, চোখের পাতা এই সব কিছুই থাকবে না। এ সমস্ত মানুষের জীবনের অপ্রয়োজনীয় বস্তুর তালিকায় পরিণত হবে এবং পৃথিবীর তাবৎ ডাক্তারকুল এই বিষয়ে এক মত পোষণ করেছেন। তাঁদের মতে ভুরু ছাড়া মানুষের কোনও কিছুই প্রয়োজনীয় নয়, কারণ, মাথায় ঘাম হলে সেটি সরাসরি চোখে পড়লে চোখ জ্বালা করবে। ভুরু সরাসরি ঘাম চোখে আসতে দেয় না। চুলের আদপে কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। এই শুনে যাঁদের মাথায় টাক তাঁরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও পার্লার মালিকগণ রেরে করে তেড়ে আসবেন।
চুলে রং লাগানো, কলপ দেওয়া নতুন পদ্ধতি নয়। বাংলায় অন্তত কয়েকশো বছরের পুরনো। এখন তার মাত্রা অনেক বেড়েছে। আগে চুল পাকা শুরু হত কম পক্ষে পঁয়তাল্লিশের পর থেকে। কিন্তু এখন সেই গড় বয়স কমে দাঁড়িয়েছে পঁচিশে। সুতরাং কালারিং ছাড়া গতি নেই। কালার দু’ভাবে করা সম্ভব। চুলে হেনা লাগিয়ে বা বাজারে যে রং পাওয়া যায়, সেগুলি ব্যবহার করে।

হেনার গুণ
• আপনি একটি ভেষজ জিনিস ব্যবহার করছেন।
• স্ক্যাল্পে একটি ঠান্ডা ও মসৃণ ভাব অনুভূত হয় যা আমাদের মাথার চুলকানি, ফুসকুড়ি ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে।
• উকুনের বৃদ্ধিকে কম করে।
• চুলে একটা চকচকে ভাব থাকে।
• রুক্ষ খসখসে প্রাণহীন চুলকে সজীব করে, অর্থাৎ চুলের জেল্লা বজায় থাকে।
• আপনি একটি প্রথাগত প্রাচীন পদ্ধতি ব্যবহার করছেন এই ভেবে মানসিক স্বস্তি পান।

অপগুণ
আধুনিক হেয়ার স্টাইলিস্টরা মনে করেন মাথায় হেনা করা ঠিক নয়। কারণ, চুল হেনার জন্য বেশি উঠে যায়। কারণ চুলের গোড়ায় হেনা জমে যাচ্ছে, ভাল ভাবে পরিষ্কার হয় না। ফলে দীর্ঘ দিনের জমে থাকা হেনা ঠিক ভাবে রক্ত সঞ্চালনে বাধা দেয় এবং কোনও ঠিক পরিচর্যা এবং বৃদ্ধি কোনওটাই হয় না, ফলে চুল দ্রুত উঠে যেতে থাকে। হেনা অপেক্ষা কালার করা অনেক ভাল। অবশ্যই নামী কোম্পানির অ্যামোনিয়া মুক্ত কালার ব্যবহার করতে হবে। বাজার চলতি যে কোনও কালার ব্যবহার করলে বিপদ আরও বাড়বে।


স্ট্রেটনিং সারাংশ
স্ট্রেটনিং এখন সবাই করাচ্ছেন। খুব কম জন আছেন, যাঁদের চুল স্ট্রেটনিংয়ের আওতার বাইরে। স্ট্রেটনিং একটি এমন ধরনের হেয়ার স্টাইল, যা যে কোনও বয়সে, যে কোনও মুখের ধরনে অপূর্ব মানায়। প্রাচ্য, পাশ্চাত্য সব ধরনের পোশাকের সঙ্গে মানানসই। কিন্তু চুল যত দিন স্ট্রেট থাকবে, আপনাকে যত্নআত্তির বিষয়ে খুবই সচেতন থাকতে হবে। কারণ যে অধিক মাত্রার তাপ দিয়ে চুল স্ট্রেট করা হয়, তা চুলের পক্ষে খুব ক্ষতিকারক। চুলের গোড়ায় এতখানি তাপ বিশেষ ক্ষতি করে। স্ট্রেট লুকটি চলে যাওয়ার পর চুল প্রাণহীন হয়ে পড়ে, মাত্রাতিরিক্ত চুল ওঠা শুরু হয়, চুলের গুণগত মান অত্যন্ত খারাপ হয়ে যায়, চুলগুলি কাঠির মতো হয়ে যায়, চুলের তলা ফাটতে আরম্ভ করে। যখন আপনার চুল স্ট্রেট থাকছে, তখন সপ্তাহে দু’দিন হট অয়েল ট্রিটমেন্ট-এর পর ভেপার দেওয়া এবং শেষে শ্যাম্পু করা উচিত। এই তিনটি ধাপ মানলে চুল বেশি উঠবে না এবং অবশ্যই এক দিন প্রোটিন প্যাক লাগাতে হবে। সাময়িক স্ট্রেটনিং করালে ক্ষতির পরিমাণ কম হবে। স্টাইলের সঙ্গে কিছু পরিচর্যা করলে ক্ষতির সম্ভাবনা কিছুটা কমে।
• রাতে শোওয়ার আগে এক গ্লাস দুধ খান।
• ভেজা চুল আঁচড়াবেন না। চুলের গোড়া আলগা থাকে বলে চুল সহজেই উঠে যায়।
• ড্রায়ার ব্যবহার করলেও ড্রায়ারটি দূর থেকে ধরবেন।
• চুলের গোড়া বেশি শক্ত করে বাঁধবেন না।
• এক দিন অন্তর ভেষজ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
• সপ্তাহে এক দিন যে কোনও একটি প্রোটিন প্যাক ব্যবহার করুন। বাজার থেকে কিনতে পারেন, বা বাড়িতেও তৈরি করতে পারেন। যেমন দই, বেসনের প্যাক বা মুসুর ডাল বাটা যে কোনও একটি হলেই হবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.