কোচবিহার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সেই দুটি যমজ শিশুকন্যার এক জনের মৃত্যু হয়েছে শুক্রবার সকালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃত শিশুটির নাম অঙ্কিতা দাস। অনিন্দিতার অবস্থাও ভাল নয়। ওই ঘটনার পরে ফের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। জেলা স্বাস্থ্য কর্তাকে অভিযোগ লিখিত জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মৃত শিশুর পরিবারের লোকজন। এ দিকে একই অভিযোগ তুলে ঘটনার তদন্তের দাবি করে কোচবিহার জেলা যুব কংগ্রেসের তরফে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের শোকজের চিঠি শুক্রবার অভিযুক্ত চিকিৎসককে পৌছে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে সোমবার সকালের মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন কর্তৃপক্ষ। কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মানিকলাল দাস অঙ্কিতার মৃত্যু চিকিৎসায় গাফিলতির জন্য হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “গাফিলতির অভিযোগ ঠিক নয়। ডায়েরিয়ার সমস্যা থেকে অঙ্কিতার মস্তিষ্কে সংক্রমণ হয়েছিল। এ জন্য শিশু দুটিকে রেফার করার কথা বলা হয়। বাড়ির লোক রাজি না হওয়ায় এখানে রেখে সাধ্যমত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক জন ভুল করেছেন বলে সবাই সেটা করবেন এমনটা ভাবা ঠিক নয়।” মৃত শিশুর পরিবারের অভিযোগ, বুধবার রাতে যমজ দুটি শিশুর চিকিৎসা বন্ধ রাখেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বন্ড দিতে রাজি না-হওয়ায় তাদের ‘রেফার’ করার কথা বলা হয়। গোলমাল এড়াতে কিছু সময় পরে ফের চিকিৎসা শুরু হলেও খামতি মেটানো যায়নি। মৃতের বাবা মনোরঞ্জন দাস বলেন, “এ দিন সকালে ইসিজি করার পরে চিকিৎসক অঙ্কিতাকে মৃত বলে জানান। বুধবার রাতে বন্ড দিতে রাজি না-হওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসকরা আমার দুই মেয়ের চিকিৎসা বন্ধ করে দেন। রাতে ওই গাফিলতি না-হলে মৃত্যু এড়ানো যেত। কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ভাবে ওই অভিযোগ জানাব।” যুব কংগ্রেসের পক্ষে অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, “শুরু থেকে চিকিৎসার গাফিলতি না-হলে অঙ্কিতাকে বাঁচানো যেত। আমরা ঘটনার তদন্ত চেয়ে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি।” শুক্রবার অঙ্কিতা মারা গেলে নতুন করে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ ওঠায় স্বাস্থ্য কর্তাদের মধ্যে অস্বস্তি বাড়ে। এই পরিস্থিতিতে এ দিন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেছে ন “কর্তৃপক্ষের শো-কজ চিঠি অভিযুক্ত চিকিৎসকের বাড়িতে পৌচ্ছে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর দিতে বলা হয়েছে।” |