|
|
|
|
টাকা কাটার দাবি |
হাজিরা দিয়েই সবেতন কর্মবিরতি ওয়েবকুটার |
নিজস্ব সংবাদদাতা• কলকাতা |
কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যথারীতি হাজির হলেন। হাজিরা খাতায় সইও করলেন। কিন্তু পঠনপাঠনে যোগ দিলেন না।
শুক্রবার এ ভাবেই সবেতন কর্মবিরতি পালন করলেন পশ্চিমবঙ্গ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (ওয়েবকুটা)-র সদস্যেরা। রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে এই কর্মবিরতি ষোলো আনা সফল বলে তাঁদের দাবি।
তবে ওই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এ দিনের বেতন কেটে নেওয়ার দাবিও উঠেছে।
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পদোন্নতি সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশিকা দ্রুত জারি করার দাবিতে এ দিন কর্মবিরতি পালন করা হবে বলে আগেই জানিয়েছিল ওয়েবকুটা। সংগঠনের একাংশ অবশ্য জানিয়ে দিয়েছিল, কর্মবিরতি আন্দোলনে যোগ দেবে না তারা। বাম-বিরোধী ওই অংশের শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়ম মেনে ক্লাস নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। তবু ওয়েবকুটার সাধারণ সম্পাদক তরুণ পাত্র এ দিন বলেন, “আমাদের কর্মবিরতি ১০০ শতাংশ সফল।”
কিন্তু হাজিরা খাতায় সই করে, বেতন নিয়ে কর্মবিরতি কেন? তরুণবাবুর ব্যাখ্যা, “কর্মবিরতি পালন করেছি। ধর্মঘট নয়। তাই কর্মক্ষেত্রে উপস্থিত থেকে, হাজিরা খাতায় সই করে সবেতন নিজেদের কর্মসূচি পালন করেছি।”
ওয়েবকুটার বাম-বিরোধী যে-অংশটি এ দিনের কর্মবিরতিতে যোগ দেয়নি, তারা আবার উল্টো দাবি করেছে। তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত ডেমোক্র্যাটিক টিচার্স ফর অটোনমি অ্যান্ড অ্যাকাডেমিক ফ্রিডম (ডিটিএএএফ)-এর আহ্বায়ক কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, “রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই স্বাভাবিক ভাবে ক্লাস হয়েছে। ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকা ক্লাস নিয়েছেন। সেই জন্য তাঁদের অভিনন্দন।” শুধু ওয়েবকুটার ওই অংশটি নয়, সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতিও কর্মবিরতি করেনি। ফলে সরকারি কলেজগুলিতে ক্লাস হয়েছে রুটিন মেনেই।
কাজের দিনে কর্মবিরতি পালন করার জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন কাটার দাবি জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। এর নিন্দা করে ওয়েবকুটার সাধারণ সম্পাদক বলেন, “একটি সংগঠন নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে কর্মবিরতি পালন করেছে। অন্য একটি গণতান্ত্রিক সংগঠন যদি তার বিরোধিতা করে, তা হলে সেই সংগঠনের গণতান্ত্রিক মনোভাব নিয়েই তো প্রশ্ন জাগে।”
এ দিন বিকেলে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সর্বভারতীয় সংগঠন এআইফুকটো-র ডাকে কলেজ স্কোয়ার থেকে মেট্রো চ্যানেল পর্যন্ত মিছিল হয়। মিছিলে ছিলেন কর্মবিরতিতে যোগ দেওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ওয়েবকুটার বাম-বিরোধী অংশটি সেই মিছিলেও যোগ দেয়নি। কল্যাণময়বাবু বলেন, “কলেজ শেষ হওয়ার পরে বিকেল ৫টায় মিছিল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই মিছিল শুরু হয়। ক্লাস বিঘ্নিত করে তাতে যোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি।” একই কারণে এসইউসিআই প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠন ‘আবুটা’-ও ওই মিছিলে যোগ দেয়নি। |
|
|
|
|
|