পাট্টা বিলি, গৃহনির্মাণে জোর মন্ত্রীর
জঙ্গলের অধিকার দাবিতে পদযাত্রায় আদিবাসী সংগঠন
ল-জঙ্গল-জমির অধিকার-সহ ৯ দফা দাবিতে জঙ্গলমহলের দশটি আদিবাসী সংগঠন যৌথ ভাবে পদাযাত্রার কর্মসূচি নিয়েছে। পদযাত্রা শুরু হবে পুরুলিয়া থেকে। বাঁকুড়া হয়ে শেষ হবে পশ্চিম মেদিনীপুরের নয়াগ্রামে। ২২ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি--তিন দিন ধরে চলবে পদযাত্রা।
জঙ্গলমহলের উন্নয়ন, বনাধিকার আইনের প্রয়োগ, বনবাসীদের হাতেই বনজ-সম্পদের সম্পূর্ণ মালিকানা এবং পরিচালনার অধিকার প্রদান সহ-৯ দফা দাবিতে পদযাত্রার ডাক দিয়েছে আদিবাসী বনবাসী অধিকার মঞ্চ, মেদিনীপুর লোধা-শবর কল্যাণ সমিতি, পশ্চিম মেদিনীপুর ভূমিজকল্যাণ সমিতি, বাঁকুড়ার আদিবাসী প্রতিবাদী মঞ্চ-সহ ১০টি সংগঠন। লোধা-শবর কল্যাণ সমিতির সম্পাদক বলাই নায়েক বলেন, “আদিবাসীরা সব দিনই বঞ্চনার শিকার। নতুন সরকার আশ্বাস দিলেও এখনও আমরা তার বাস্তব প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি না। তাই পদযাত্রা করে দাবি জানাতে সমস্ত আদিবাসীরা জোট বেঁধেছি।” তবে, যে-সব দাবি নিয়ে আদিবাসী-বনবাসীদের এই পদযাত্রা, তার কয়েকটি পূরণে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবারই মেদিনীপুরে এসেছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। জেলা প্রশাসন ও বন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে বৈঠক করেন মন্ত্রী। সেখানেই প্রশাসনিক কর্তাদের জানিয়ে দেন, জঙ্গলমহলে যে সমস্ত পাট্টা এখনও বিলি করা যায়নি, আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে সে-সব পাট্টা বিলির ব্যবস্থা করতে হবে। ওই সময়ের মধ্যেই রাজ্য সরকারের ‘আমার বাড়ি’ প্রকল্পের কাজও শেষ করার নির্দেশ দেন তিনি। বন দফতর ও প্রশাসনিক কর্তারা এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করার কথা জানান।
পশ্চিম মেদিনীপুরে বহু আদিবাসী ও সাধারণ মানুষ জঙ্গলেই রয়েছেন বংশপরম্পরায়। বনাধিকার আইন অনুযায়ী তাঁদের চিরাচরিত বসবাসের জমি পাট্টা হিসাবে ওই বনবাসীদেরই দিয়ে দেওয়ার কথা। পাট্টা পাওয়ার জন্য আবেদনও করেছিলেন অনেকেই। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার অন্যান্য ব্লকে অনেককেই জমির পাট্টা দেওয়া গেলেও নয়াগ্রাম, বেলপাহাড়ি, সাঁকরাইল, গোপীবল্লভপুরের মতো মাওবাদী-প্রভাবিত এলাকায় প্রায় সাড়ে ৭ হাজার আবেদনকারী এখনও পাট্টা পাননি। যাতে ৩১ মার্চের মধ্যে ওই সব আবেদনকারীকে পাট্টা দিয়ে দেওয়া যায় সে জন্য নির্দেশ দেন মন্ত্রী। নতুন করে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের ব্যাখ্যা, আগের অশান্ত পরিস্থিতির জন্যই নয়াগ্রাম, বেলপাহাড়ির মতো এলাকায় পাট্টা-বিলির আগে আবেদন খতিয়ে দেখার কাজ করা যায়নি। পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভাল হওয়ায় এবং মন্ত্রীর নির্দেশের পরে কাজে গতি আসবে বলেই আশ্বাস প্রশাসনিক কর্তাদের।
এ ছাড়াও ‘আমার বাড়ি’ প্রকল্পে জঙ্গলমহল এলাকার গরিব মানুষদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়ারও কথা। প্রতিটি বাড়ির জন্য ১ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার। বর্তমানে জেলা প্রশাসন ও বন দফতর মিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজার বাড়ি তৈরির জন্য অর্থ পেয়েছে। সেই টাকায় আদৌ কাজ হয়েছে কি না, কাজ করতে গিয়ে কোথাও সমস্যা হচ্ছে কি না সে নিয়েও বৃহস্পতিবারের বৈঠকে জানতে চান মন্ত্রী। ওই প্রকল্পের কাজও যাতে ৩১ মার্চের মধ্যে শেষ হয় তারও নির্দেশ দেন। বন দফতরের রূপনারায়ণ বিভাগের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “মন্ত্রীর নির্দেশে আমরা দ্রুত কাজগুলি শেষ করার চেষ্টা করছি।” ‘কম টাকা’র কথা বলে ঠিকাদারেরা কিছু ক্ষেত্রে বাড়ি তৈরি করতে চাইছে না বলেও মন্ত্রীকে জানান প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। বিষয়টি নিয়ে সরকার চিন্তাভাবনা করবে বলে মন্ত্রী আশ্বাস দেন।

সময় লিখে টিকিট এ বার ট্যাক্সিতেও

বাসের মতো ট্যাক্সিতেও টিকিট চালু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। সেই টিকিটে গাড়ির নম্বর লেখা থাকবে। থাকবে তারিখ আর সময় লেখার জায়গাও। কেউ ট্যাক্সিতে উঠলেই চালক সেই টিকিট পূরণ করে আরোহীর হাতে দিয়ে দেবেন। এতে কারও জিনিসপত্র হারিয়ে গেলে খুঁজে বার করা সহজ হবে বলে শুক্রবার মহাকরণে মন্তব্য করেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। পরিবহণ দফতরের এক কর্তা জানান, রাজ্য সরকার ট্যাক্সিতে প্রিন্টার-সহ ইলেকট্রনিক মিটার লাগানো বাধ্যতামূলক করলেও খুব কম ট্যাক্সি-মালিকই সেই নির্দেশ মেনেছেন। এর ফলে বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ রয়েই গিয়েছে। ওই পরিবহণকর্তার বক্তব্য, যাঁরা প্রিন্টার লাগিয়েছেন তাঁরাও অনেক সময় কাগজ নেই কিংবা যন্ত্র খারাপ বলে আরোহীকে ভাড়ার স্লিপ দিচ্ছেন না। সব ট্যাক্সিতে প্রিন্টার-সহ ইলেকট্রনিক মিটার না-লাগানো পর্যন্ত হাতে লেখা টিকিট দিতে হবে আরোহীকে। তা হলে ট্যাক্সিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে অফিসারেরা তা তদন্ত করে দেখতে পারবেন। আজ, শনিবার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে ট্যাক্সি-মালিক ও কমীদের সঙ্গে আলোচনায় এ কথা জানাবেন মদনবাবু। তাঁর দাবি, বাসে বিশেষ পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু করায় এবং নানা ভাবে নজরদারি বাড়ানোয় পরিবহণ নিগমগুলিতে দৈনিক ৫০ হাজার থেকে দু’লক্ষ টাকা আয় বেড়েছে।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.