|
|
|
|
১০০ দিনের কাজ |
রমেশের সঙ্গে একান্ত বৈঠকের কর্মসূচি সুব্রতের |
সঞ্জয় সিংহ • কলকাতা |
শরিকি ‘তিক্ততা’র জেরে দিন ১৫ আগে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশের ডাকা জাতীয় সম্মেলন এড়িয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। কিন্তু ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ ঘটনা হচ্ছে, যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প নিয়ে জাতীয় সম্মেলনে গরহাজির ছিলেন সুব্রতবাবু, রাজ্যে সেই প্রকল্পেই ‘সাফল্য’ পেতে কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতা আদায়ে আজ, শনিবার রাতে রমেশের সঙ্গে ‘একান্ত বৈঠক’ করতে চান তিনি।
কেন্দ্রীয় সরকারের পানীয় জল ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং রাজ্য সরকারের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের যৌথ উদ্যোগে  আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল সরবরাহ নিয়ে আর্ন্তজাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে আজ, শনিবার রাতেই রমেশের কলকাতায় আসার কথা। তার পরেই নৈশভোজের অবসরে রমেশের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান সুব্রতবাবু। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ১০০ দিনের কাজে ‘সাফল্য’ আনতে কেন্দ্রের সহযোগিতা পেতেই মরিয়া রাজ্য সরকার। তাঁদের বৈঠকে বিষয়টি ‘অগ্রাধিকার’ পাবে বলে সুব্রতবাবু জানিয়েছেন। তবে তাঁর দাবি, “শরিকি তিক্ততা নয়। এই সম্মেলনের প্রস্তুতির কাজে ব্যস্ত থাকাতেই সেই সময়ে দিল্লি যেতে পারিনি। এ বার কথা হবে।”
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে সুব্রতবাবুর ‘একান্ত বৈঠক’ নিয়ে রাজ্য প্রশাসন ও শাসক শিবিরের একাংশের ব্যাখ্যা, সামনে পঞ্চায়েত ভোট। এই ভোটে ‘ইতিবাচক বিষয়’কেই হাতিয়ার করে বিরোধীদের মোকাবিলা করতে চান তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষ্যেই ১০০ দিনের কাজে ‘সাফল্য’ প্রয়োজন। অথচ এখনও সেই কাজে রাজ্য যথেষ্ট পিছিয়ে রয়েছে। যদিও সুব্রতবাবুর বক্তব্য, গ্রামের কর্মহীন দরিদ্র মানুষের কল্যাণে কেন্দ্রের ১০০ দিনের কাজের ‘সুনিশ্চিত’ প্রকল্পের গড় বামফ্রন্ট আমলে এ রাজ্যে ছিল ১৯ দিন। গত ৮ মাসে তাঁরা সেই ১৯ দিনকে বাড়িয়ে ২১ দিন পর্যন্ত করেছেন। কিন্তু তাঁর কথায়, “এই গড়কে অনেক বাড়াতে হবে। অন্তত ৫০% করতেই হবে।”
১০০ দিনের কাজের গড় বৃদ্ধির জন্য রাজ্য সরকার কতগুলি পরিকল্পনা নিয়েছে। সুব্রতবাবুর কথায়, “আমরা দেখছি, বাম জমানায় ‘পদ্ধতিগত ত্রুটি’র জন্য এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত কর্মীদের মজুরি দিতে অনেক সময় লাগছে। ফলে দিন-আনা দিন-খাওয়া মজুরেরা এই কর্মসূচিতে উৎসাহ হারিয়ে অন্য কাজ করে রোজগার করছেন। এর ফলে গ্রামীণ উন্নয়নের কাজও ব্যাহত হচ্ছে।” এই সমস্যা দূর করতে হলে এক লপ্তে কাজ চালু করতে হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, “টানা ৭ থেকে ১০ দিন কাজ করাতে হবে।” তার উপরে সর্বাধিক অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে জব কার্ডধারীদের দিনের দিনই মজুরি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। পঞ্চায়েতমন্ত্রীর বক্তব্য, সেই কারণে ‘বায়োমেট্রিক কার্ড’ ব্যবহার করে এই সমস্যা দূর করতে চাইছে রাজ্য। এই কার্ড তৈরির জন্য ইতিমধ্যেই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতাও দরকার জানিয়ে সুব্রতবাবু বলেন, “রমেশের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। কারণ, এটা ভারতে প্রথম পশ্চিমবঙ্গেই চালু হবে। এটা চালু হলে শ্রমদিবস তৈরির গড় অনেক বেড়ে যাবে বলে আমরা নিশ্চিত।” |
|
|
 |
|
|