অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল বাঁকুড়া শহরের চকবাজারে। বৃহস্পতিবার রাতে আগুনে ১৫টি দোকান পুড়ে গিয়েছে। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন গিয়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। দমকল জানিয়েছে, আগুন লাগার কারণ স্পষ্ট নয়। তবে পুলিশের অনুমান, শট্সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। তবে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
চকবাজার উন্নয়ন কমিটির সহ-সভাপতি কল্যাণ দে বলেন, “কী ভাবে আগুন লাগল আমাদের কাছেও স্পষ্ট নয়। সময় মতো আগুন না নেভান গেলে ভয়াবহ পরিস্থিতি হত। বাঁকুড়ার পুরপ্রধানের কাছে আমরা পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছি।” বাঁকুড়ার পুরপ্রধান শম্পা দরিপা বলেন, “পুনর্বাসন দেওয়ার জায়গা নেই। তবে আগুন লাগা এলাকা পরিষ্কার করা হচ্ছে।” তবে সব দিক খতিয়ে দেখে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। |
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আগুন লেগেছিল। চকবাজার এলাকার একটি দোকানের কর্মী অজিত দত্ত বলেন, “ভোর চারটে নাগাদ দোকান খুলতে গিয়ে দেখি, ১৫টি দোকানে আগুন জ্বলছে। চারপাশ ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে। দৌড়ে গিয়ে নুনগোলা রোডে পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিই। পুলিশ দমকল কেন্দ্রে খবর পাঠায়। কয়েক জন পুলিশ কর্মী আমার সঙ্গে চকবাজারে আসেন। কিছু ক্ষণের মধ্যে দমকল কর্মীরা এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন।” বাঁকুড়া দমকল কেন্দ্রের ওসি সুপ্রিয় মণ্ডল বলেন, “তিনটি ইঞ্জিন প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়। ওই এলাকায় অনেকগুলি দোকান ছিল। আগুন আরও ছড়িয়ে পড়লে বড় বিপদ হতে পারত।”
শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, চারপাশে পোড়া কাঠ, বাঁশ পড়ে রয়েছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে দোকানের জিনিসপত্র। ব্যবসায়ীরা কপাল চাপড়াচ্ছেন। মশলার ব্যবসায়ী দিলিপ দে বলেন, “অনেক টাকার মশলা দোকানে রাখা ছিল। সব শেষ হয়ে গিয়েছে। কী ভাবে এই ধাক্কা সামলাব, জানি না।” নিতাই দত্ত, কিষান দাসরা বলেন, “আমাদের একমাত্র সম্বল ছিল দোকান। এখন কী করে সংসার চালাব বা নতুন করে ব্যবসা শুরু করব, জানি না।” ব্যবসায়ীরা জানান, এর আগে ১৯৮৯ সালে চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। |