চৈতক মুখোপাধ্যায়ের দেহ উদ্ধারের পর দিনই এক নিখোঁজ কলেজ ছাত্রের অপমত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল বাঁকুড়ার কোতুলপুরে। নবীন হালদার (১৮) নামে কামারপুকুর কলেজের ইংরেজি অনার্সের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্র চৈতকের মতোই মঙ্গলবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন। শুক্রবার সকালে স্থানীয় সিহড় গ্রামের পুকুরে তাঁর দেহ ভাসতে দেখা যায়।
নবীন হালদার |
পরিবারের দাবি, নবীনকে খুন করে পুকুরে দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে। যদিও এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে। পুলিশের বক্তব্য, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট না মেলা পর্যন্ত নবীনের মৃত্যুর কারণ বোঝা সম্ভব নয়। এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, চৈতক-হত্যার সঙ্গে কোনও ভাবে সম্পর্ক আছে নবীনের মৃত্যুর। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার প্রণব কুমার অবশ্য বলেছেন, “এখনও পর্যন্ত দু’টি ঘটনার মধ্যে কোনও সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়নি।” চৈতক ও নবীনের মধ্যে আলাপ ছিল কি না, পুলিশ তা জানার চেষ্টা করছে।
এ দিকে চৈতকের মৃত্যুর ঘটনায় শ্রীমন্ত দাস, তাঁর ভাই অনুপ ও মা ঝনার্দেবীকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করার পর শুক্রবার পুলিশ শ্রীমন্তের আরও এক ভাই তাপস এবং দুই বন্ধু নবকুমার অধিকারী ও রবি মালসকে গ্রেফতার করে। এ ছাড়া, শ্রীমন্তর এক ‘বান্ধবী’কেও পুলিশ আটক করেছে। ওই মহিলা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্রীমন্তর খোঁজ নিতে কোতুলপুরে এসেছিলেন। |
শ্রীমন্ত ও নবকুমারকে ৪ দিন পুলিশি হেফাজতে এবং ঝর্নাদেবী ও অনুপকে ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিষ্ণুপুর আদালতের বিচারক। পুলিশ সূত্রের খবর, চৈতকের পিঠে একটি গভীর ক্ষত আছে। সেটি গুলির বলেই পুলিশের অনুমান। শ্রীমন্তর বাড়ি থেকে কম্পিউটারের কিছু হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তবে চৈতককে কেন খুন করা হল, তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। পুলিশ সুপার এ দিন বলেন, “খুনের পিছনে টাকাপয়সা সংক্রান্ত বিবাদও থাকতে পারে। সব সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছি।” |