ব্রিগেড সমাবেশে যাবেন দলের কর্মী-সমর্থকেরা।
আর সেই জন্যই পোস্টার দিয়ে যাত্রীদের ট্রেনে আসন সংরক্ষণ না করার ‘আবেদন’ জানিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছে সিপিএম। দলের আদ্রা লোকাল কমিটি এই ‘আবেদন’ জানিয়েছে। রেলের বক্তব্য, কেউ এ ভাবে যাত্রীদের টিকিট না কাটার জন্য আবেদন করতে পারেন না। সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, যাত্রীদের অসুবিধার কথা মাথায় রেখেই এই আগাম আবেদন করা হয়েছে।
রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি দলের ব্রিগেড সমাবেশ। তাই শনিবার চক্রধরপুর-বোকারো-হাওড়া প্যাসেঞ্জারের যাত্রীরা যেন ‘রিজার্ভেশন টিকিট না কাটেন’ এমনই আবেদন জানিয়ে পুরুলিয়ার আদ্রা স্টেশনের কম্পিউটার চালিত টিকিট সংরক্ষণ কাউন্টারের পাশে হাতে লেখা পোস্টার দেওয়া হয়েছে। নিত্যযাত্রীদের একাংশের বক্তব্য, পোস্টারের বয়ানেই ইঙ্গিত রয়েছে, সমাবেশে যাওয়ার জন্য ওই ট্রেনের সংরক্ষিত কামরাতেও সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। |
যদি সিপিএম কর্মীরা সংরক্ষিত কামরায় ওঠেন, তাঁরা কি টিকিট কাটবেন?
সিপিএমের আদ্রা লোকাল কমিটির সম্পাদক নরেন মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁরা (নেতৃত্ব) টিকিট কেটেই যাবেন। কিন্তু কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক টিকিট কাটবেন কি না, তা ‘দায়িত্ব নিয়ে’ বলা সম্ভব নয়। নরেনবাবু বলেন “দায়িত্বশীল দল হিসেবেই আগাম পোস্টার দিয়ে যাত্রীদের কাছে ওই আবেদন করেছি।” ওই দিন বৈধ যাত্রীরা কোনও সমস্যায় পড়বেন না বলেও দাবি এই সিপিএম নেতার।
ঝাড়খণ্ডের একাংশ এবং পুরুলিয়া-বাঁকুড়ার যাত্রীদের কলকাতা যাওয়ার অন্যতম ট্রেন চক্রধরপুর-বোকারো-হাওড়া প্যাসেঞ্জার। ট্রেনটিতে সপ্তাহান্তে ভিড়ও হয়।
ইতিমধ্যেই শনিবারের ওই ট্রেনে আসন সংরক্ষণ করে ফেলা কিছু যাত্রী বলেছেন, “এর আগেও কলকাতায় বড় সমাবেশের যাওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলের কর্মীরা টিকিট না কেটেই কামরায় উঠে বসতেন। বৈধ যাত্রীদের দাঁড়িয়ে যেতে হয়েছে। এ বারও যাই আশ্বাস থাক, বাস্তবে হয়তো আমাদের সারা রাত দাঁড়িয়েই যেতে হবে।”
আদ্রার ডিআরএম অমিতকুমার হালদার বলেন, “এ ভাবে ট্রেনে আসন সংরক্ষণ না করার জন্য কেউ আবেদন করতে পারে না। শনিবার বৈধ যাত্রীদের যাতে সমস্যায় না পড়তে হয়, তার ব্যবস্থা করা হবে।” |