টুকরো খবর
খোরপোষ চাওয়ায় স্ত্রীকে খুন, নালিশ
নিজস্ব চিত্র।
দিন পনেরো ধরে নিখোঁজ জরিনা বিবির দেহ মিলল রানিনগরের রামনগর গ্রামে। বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে মাঠে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় দেহটি পাওয়া যায়। শুক্রবার জরিনার স্বামী সরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে জরিনার বাবা সইদুল ইসলাম মেয়েকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়েছিল। ঘটনার তদন্তে এ দিন গ্রামে আসেন জেলার পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, “ভালোবেসে বিয়ে করলেও কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার পরে স্বামী এবং পরিবার ওই মহিলাকে ঘরে তুলতে নারাজ ছিলেন। তাই বছর দুয়েক ধরে বাবার কাছেই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন তিনি। ওই মহিলার বাবা স্বামী সরিফুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই পরিবারের আপত্তি সত্ত্বেও বছর তিনেক আগে বিয়ে করে জরিনা ও সরিফুলের। তারপর মেয়ের জন্মের পর জরিনার সঙ্গে বিচ্ছিন্ন করে সরিফুল ও তার পরিবার। জরিনার বাবা বলেন, “মেয়ের জন্মের পরে ওরা সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয়। অনেকবার বলার পর জরিনা আদালতে খোরপোষের মামলা করে। এতেই ওদের ক্ষোভ। মামলা এড়াতে ওরা আমার মেয়েতে গোপনে খুন করেছে।” পুলিশ ময়নাতদন্তের আগে মৃত্যু নিয়ে কিছু বলতে নারাজ। জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে তবে অভিযুক্তেরা পলাতক।

বাগডাঙায় তদন্তে এসপি
নিজের মুখের ছবির সঙ্গে অন্য একটি বিবস্ত্র নারী শরীরের ছবি দেখে আত্মঘাতী মহিলা জেসমিনা বিবির গ্রাম বাগডাঙাতে নিজেই তদন্ত করতে গেলেন মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর। সেখানে অভিযুক্তদের বাড়ি বাড়ি যান তিনি। তবে সকলেই পলাতক। কাউকেই গ্রেফতার করা যায়নি। পুলিশ অবশ্য বাগডাঙার পাশের গ্রাম মধুরকুলের একটি কম্পিউটার সেন্টারে গিয়ে সেখান থেকে একটি কম্পিউটারের সিপিইউ আটক করেছে। বৃহস্পতিবার জেসমিনা বিবি আত্মহত্যা করেন। ওই গ্রামেই তাঁদের একটি মুদির দোকান রয়েছে। অভিযোগ, ওই দোকানেই তাঁকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিল গ্রামের কয়েক জন যুবক। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, তিনি তাতে অসম্মত হলে ওই যুবকেরা তাঁর মুখের ছবি তুলিয়ে কম্পিউটাকে তার সঙ্গে অন্য একটি বিবস্ত্র শরীরের ছবি যোগ করে জেসমিনা বিবিকে দেখায়। জেসমিনা বিবির স্বামী বাবলু শেখের অভিযোগ, “ওই যুবকেরা চেয়েছিল ওই ছবি দেখিয়ে জেসমিনাকে ভয় পাইয়ে দিতে। যাতে জেসমিনা তাদের কথা শুনে চলে। কিন্তু জেসমিনা নিজের মর্যাদা বজায় রাখতে আত্মহত্যা করেছে।” ওই যুবকেরা তার পর থেকেই গ্রাম ছেড়ে পলাতক। তাদের বাড়ির লোকজনও বেশিরভাগ পালিয়ে গিয়েছেন। এই দিন পুলিশ সুপার জেসমিনার বাড়িতে ঢুকে বাবলু শেখের মা মাজেদা বেওয়ার সঙ্গে কথা বলেন। তারপরে জেসমিনার বাচ্চা দু’টির খোঁজ করেন। তবে জেসমিনার দুই সন্তানই এখন বিলাসপুরে তাঁর বাপের বাড়িতে রয়েছে। পুলিশ সুপার বলেন, “এই ঘটনা আগে কেন পুলিশকে জানাননি? আগে পুলিশকে জানালে এই সমস্যা হত না।”

ভুয়ো বোমাতঙ্কে দুর্ভোগ যাত্রীদের
ফের বোমাতঙ্ক লালগোলা প্যাসেঞ্জারে! ওই ট্রেনের কামরায় ‘বিস্ফোরক’ রাখা আছে বলে পূর্বরেলের লালগোলা-শিয়ালদহ শাখার কৃষ্ণপুর হল্ট স্টেশনে শুক্রবার সকালে উড়ো ফোনে দু’বার হুমকি দেওয়া হয়। ওই ফোন পেয়ে ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে রেখে রেল পুলিশ ও লালগোলা থানার পুলিশ যৌথ ভাবে ট্রেনে তল্লাশি চালায়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ট্রেনে কোনও বোমা পাওয়া যায়নি। এদিকে ওই ঘটনার জেরে রানাঘাটগামী ডিএমইউ লালগোলা প্যাসেঞ্জার ওই স্টেশনে ১ ঘন্টা ২৫ মিনিট আটকে থাকে। এদিকে ওই ট্রেনটি বিকেল ৫টা নাগাদ রানাঘাট স্টেশনে পৌঁছানোর পরে ট্রেনে আরও এক দফা তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু সন্দেহজনক কিছু মেলেনি। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “স্টেশনে ফোন করে ট্রেনে বোমা রাখার কথা জানানো হয়। খবর পেয়ে রেল পুলিশের সঙ্গে লালগোলা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্রেনে তল্লাশি চালায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনও বোমা পাওয়া যায়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে।”

সিরাজুল আত্মঘাতী, বলছে পুলিশ
গতকাল হাত-পা বাঁধা, ঝুলন্ত অবস্থায় সাগরদিঘিতে উদ্ধার হওয়া সিরাজুল ইসলাম (১৪) কে খুন করা হয়নি। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যাই করেছে ওই কিশোর। শুক্রবার জঙ্গিপুর হাসপাতালের পুলিশ মর্গে ময়নাতদন্তের পর এ কথা জানা যায়। পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “ওই কিশোরের বাড়ির লোকেদের বিবৃতি অনুযায়ী হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ঝুলন্ত মৃতদেহ পাওয়া যায়। স্বাভাবিকভাবেই খুনের সন্দেহ হয়। এখন ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যাচ্ছে আত্মহত্যা। সম্ভবত মৃতদেহ উদ্ধারের পর স্থানীয় কেউ হাত-পা বাঁধার ঘটনা তৈরি করেছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে তদন্ত করেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।” বুধবার থেকে নিখোঁজ ছিল সিরাজুল। বৃহস্পতিবার তার দেহ পাওয়া যায় বাড়ি থেকে ৭০০ মিটার দূরের এক পেট্রোল পাম্পে। তার বাবা খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু ময়নাতদন্তের পর ওই অভিযোগ আর টিকছে না। পুলিশ জানিয়েছে, পারিবারিক কোনও ঘটনার জেরেই আত্মহত্যা করেছে ওই কিশোর, যা তার পরিবারের লোকজন গোপন করছে পুলিশের কাছে।

স্কুলে চুরিতে পথ অবরোধ
স্কুলে চুরির অভিযোগে পথ অবরোধ করলেন ছাত্রছাত্রী ও এলাকার বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার রাতে বড়ঞার কুলি সাধারণ উচ্চ বিদ্যালয়ে দুটি কম্পিউটার চুরি হয়েছে। স্কুলের রাতের পাহারাদারের কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলে শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে প্রায় আধ ঘণ্টা কান্দি-সাঁইথিয়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় ওই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। অবরোধের জেরে বেশ কিছুক্ষণ যানজটও হয়। পরে পুলিশ এসে অবরোধ তুলে দেয়। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ওই স্কুলের ১১ টা ঘর ও পাঁচটি আলমারির তালা ভেঙে দুটি কম্পিউটার ও একটি ঘণ্টা নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ স্কুলের রাতের পাহারাদার অধিকাংশ দিনই থাকেন না। এলাকার বাসিন্দারা দাবি তোলেন প্রহরী যেন নিয়মিত তার কাজ করেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ নূরউদ্দিন বলেন, “নৈশ প্রহরী ব্যক্তিগত কাজে কলকাতা গিয়েছেন। ফিরলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অস্বাভাবিক মৃত্যু মহিলার
অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে ফতেমা বিবি (৪৯) নামে এক মহিলার। বৃহস্পতিবার সকালে রঘুনাথগঞ্জের রাজপুত তেঘরী গ্রামে কীটনাশক খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই মহিলা। জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও এ দিন রাতেই মারা যান তিনি।

মৃতদেহ উদ্ধার
নিখোঁজ এক কিশোরির মৃতদেহ মিলল বৃহস্পতিবার ফরাক্কার খোসালপুর ফিডার ক্যানেল থেকে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ ছিলেন সিরানা খাতুন (১৮) নামে ওই কিশোরি। বাড়ি ফরাক্কার আমতলা গ্রামে। শুক্রবার ময়নাতদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে সিরানার।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.