|
|
|
|
জঙ্গিপুর-শিয়ালদহ প্রস্তাবিত ট্রেন এখনও থমকে আশ্বাসেই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
রেল বাজেটের পরে বছর ঘুরেছে। তবে বাজেটে প্রস্তাবিত জঙ্গিপুর-শিয়ালদহ ডিএমইউ ট্রেনটি চালু হয়নি। সামনের ১৪ মার্চ আরও একটি রেল বাজেট পেশ হবে। কিন্তু জঙ্গিপুরের সেই প্রস্তাবিত ট্রেন চালুর ব্যাপারে কোনও সাড়া-শব্দই নেই রেল কর্তৃপক্ষের।
দিন কয়েক আগে কৃষ্ণনগরে এসে ৬ জোড়া নতুন ট্রেনের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বাজেট পেশের এক বছর পরেও জঙ্গিপুরের ট্রেন চালুর ব্যাপারে কোনও উদ্যোগই করেনি তৃণমূলের দখলে থাকা রেলমন্ত্রক। গত বার রেল বাজেটে নতুন ট্রেনের আশ্বাস পেয়ে আশা দেখেছিলেন জঙ্গিপুর। তবে এখনও সেই আশ্বাসটুকুই ভরসা। মালদহের ডিআরএম রবীন্দ্র গুপ্তা বলেন, “মালদহ ডিভিশনে দু’টি নতুন ট্রেন চালু হবে বলে সম্প্রতি আমাকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। কিন্তু বাজেটে প্রস্তাবিত জঙ্গিপুর থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত কোনও ট্রেনের কথা বলা হয়নি। কাজেই সে ট্রেন চালুর ব্যাপারে আমি কিছুই বলতে পারব না।”
পূর্বরেল উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সদস্য শেখ ফুরকানও বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিতে। তিনি বলেন, “প্রস্তাবিত ট্রেনটি চালু করার ব্যাপারে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনিও স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি। জিয়াগঞ্জে নির্মীয়মাণ রেল সেতুর উপর দিয়ে ট্রেনটি শিয়ালদহ যাওয়ার কথা। তবে সেতুর নির্মাণ এখনও বিশ বাঁও জলে। জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত সমস্যায় সেতুর কাজই থমকে রয়েছে।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী সুব্রত সাহা বলেন, “প্রস্তাবিত ট্রেনটি চালুর দাবি করে আনেকেই আমাকে চিঠি দিয়েছেন। বাজেটে প্রস্তাব থাকলেও এখনও তা কেন চালু হল না তা আমি খোঁজ নিয়ে দেখব। জঙ্গিপুর থেকে শিয়ালদহ যাওয়ার বর্তমানে একটি রুট রয়েছে ব্যান্ডেল, নৈহাটি দিয়ে। তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেস ও কাটিহার এক্সপ্রেস ওই রাস্তা দিয়ে যায়। আমি এ ব্যাপারে রেল বাজেটের আগেই রেলমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।” সুতির বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস। জঙ্গিপুর থেকে নতুন ট্রেন চালু হলে এলাকার মানুষ ‘খুবই উপকৃত’ হবেন জানিয়ে বলছেন, “রেল বাজেটে যখন আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল তখন ট্রেনটি চালু করতে বাধা কোথায়?”
সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য দিব্যশঙ্কর শুকুল অবশ্য এর মধ্যে নতুনত্ব কিছু দেখছেন না। তিনি বলেন, “গত বাজেটের আশ্বাসের সঙ্গে বাস্তব ছবিটা মেলালে দেখবেন বেশির ভাগই মিথ্যে। এতে অবাক হওয়ার কী আছে?”
আর, জঙ্গিপুরের পুরনো বাসিন্দা, কাশীনাথ ভকত বলছেন, “কথা দিয়ে কথা না রাখাটাই যদি রাজনৈতিক নেতাদের আচরণ হয়, তবে মানুষ আস্থা রাখবে কার উপরে?” |
|
|
|
|
|