ডাকঘর
পর্যটনে অবহেলা
পর্যটন শিল্পের উন্নতির জন্য বিশ্ব জুড়েই চলছে নানান উদ্যোগ। টি টি এফ অর্থাৎ ট্রাভেল, টুরিজিম, ফেয়ার প্রকল্পের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে নিত্য নতুন বিষয়। অথচ টি টি এফ- এর দৃষ্টিকোন থেকে গুরুত্বপূর্ণ মুর্শিদাবাদ শহর (লালবাগ) আজও অবহেলা ও বঞ্চনার শিকার হয়ে সেই তিমিরেই পড়ে রয়েছে। চকবাজার ত্রিপোলিয়া নহবত গেটের পঞ্চাশ মিটার উত্তরে ও পিচ রাস্তার পূর্ব দিকের মসজিদটি আসলে নবাব মুর্শিদকুলি খাঁর বেগম নৌসেরি বানুর সমাধি মসজিদ। নির্মাণকাল আনুমানিক ১৭১৩ সাল। মুর্শিদকুলির মতোই সিঁড়ির নীচে বেগম নৌসেরি বানুর সমাধি রয়েছে। তিন শতাব্দী প্রাচীন ওই সমাধির সংস্কার হয়নি কয়েক দশক ধরে। ত্রিপোলিয়া নহবত গেটের দক্ষিণ দিকে দু’টি পিচ রাস্তার উপরে দুটি এবং পূর্ব দিকে কাটরা মসজিদ যাওয়ার রাস্তার উপর একটি মিলে মোট তিনটি তোরণই নবাব সুজাউদ্দিনের আমলে তৈরি। শেষ কবে সংস্কার হয়েছে কেউ জানে না। জরাজীর্ণ ওই তোরণ তিনটি অবিলম্বে সংস্কার করা না হলে পযর্টক বহুল ওই শহরে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। নবাব সরফরাজের তৈরি ফৌতি, বা ফুটি মসজিদ চকবাজার বাজার থেকে এক কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। ১৭৪০ সালে নবাবের মৃত্যুর পর ওই মসজিদের আর সংস্কার হয়নি। সরফরাজ মুর্শিদাবাদের একমাত্র নবাব যিনি যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যু বরণ করেছেন। নাগিনাবাদে তাঁর সমাধি করুণ দশায় রয়েছে। তাঁর সমাধির কুড়ি মিটার উত্তরে তাঁর মায়ের তৈরি বেগম মসজিদ সংস্কার ও প্রচারের অভাবে বিলীন হওয়ার পথে। মির জাফরের পত্নী মুন্নি বেগমের প্রধান খোজা এতোয়ার আলি খাঁ ১৭৭৯ সালে কদমশরিফ তৈরি করেন। কাটরা মসজিদ থেকে দেড় কিলোমিটার দক্ষিণে পিচ রাস্তার পাশে ইমামবাড়া, মসজিদ, বাঁধানো পুকুর ও অসাধারণ এক নহবত গেট বর্তমানে জরাজীর্ণ। দ্রুত সংস্কার দরকার। অবহেলার সংখ্যা আর বাড়াতে চাই না। চাই কেবল বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে সংস্কার। নইলে সুপ্রাচীন ওই ঐতিহ্যশালী স্থাপত্য হারিয়ে গিয়ে গুরুত্বহীন হয় পড়বে ঐতিহাসিক মুর্শিদাবাদের পর্যটন শিল্প।
ডবল লাইনের দাবি
সামনেই রেল বাজেট। রেলমন্ত্রী এই রাজ্যের বিধায়ক। ফলে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার মতো জঙ্গিপুর মহকুমার মানুষেরও রেল বাজেট নিয়ে বাড়তি প্রত্যাশা থাকে। কিন্তু কোনও বারই প্রত্যাশা পূরণ হয় না। মালদহ, বা উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেন গুলি ফরাক্কার কাছে পাকুড়-মুরারই দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। ফলে এ জেলার মানুষ উপকার পায় না। ফরাক্কা থেকে বহরমপুর হয়ে সালার পর্যন্ত প্রায় ১৫৫ কিলোমিটার রেলপথে আজও ডবল লাইন হল না। হল না বৈদ্যুতিকীকরণও। লালগোলা স্টেশন থেকে রেলের মালদহ বিভাগের সুজনিপাড়া স্টেশনের দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। ওই পথটুকু রেললাইন পেতে দু’টি বিভাগের সংযোগ সাধন করলে জঙ্গিপুর মহকুমার বিস্তৃত এলাকার মানুষ উপকৃত হবে।
নদিয়ার রাইটার্স নিয়ে ভাবুন
কালেক্টরি মোড়ে অবস্থিত প্রশাসনিক ভবন নদিয়ার রাইটার্স বলে খ্যাত। ওই কালেক্টরি মোড়ে কোনও পে-ইউরিন্যাল নেই। তিনটি বাসস্টপ থাকলেও কোনও বাসই নির্দিষ্ট স্টপে থামে না। বাস স্টপগুলিও হকারদের দখলে। রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীদের বাসে ওঠানামা করতে হয়। পিছনের বাস না পৌঁছন পর্যন্ত আগের বাস ছাড়ে না। ফলে দু’টি বাসের মধ্যে রেষারেষি শুরু হয়। তার ফলে দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। পাশেই রয়েছে পরিবহণ দফতর। পরিবহণ দফতরের জানালা দিয়ে ওই ঘটনার সবটাই দেখা যায়। এসপি বাংলোর বিপরীত দিক দিয়ে যে রাস্তাটি এস পি অফিসের দিকে গিয়েছে সেই রাস্তার মুখে বর্ষায় প্রায় হাঁটু সমান জল জমে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। অথচ ঠিক তার পাশেই এসপি অফিসে যাওয়ার জন্য কোর্ট পোস্ট অফিস ও অফিসার্স ক্লাবের মধ্যে দিয়ে একটি উঁচু রাস্তা রয়েছে। সেই রাস্তাটি জবরদখল হয়ে পড়ে রয়েছে। জবরদখল মুক্ত করে ওই রাস্তাটি চালু করা হলে সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়ে যাবে। তবে বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে?



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.