|
|
|
|
তাণ্ডবে অভিযুক্তরা অধরাই |
তৃণমূল নেতাকে গুলি, গ্রেফতার ২ সিপিএম কর্মী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের কুলঞ্জরা গ্রামে বুধবার রাতে ব্লক তৃণমূল কার্যকরী সভাপতি দেবাশিস ভুঁইয়া ও তাঁর বাবা সহদেববাবুকে গুলি করার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কাঁথি থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে পাশের কানাইদিঘি গ্রামের দুই সিপিএম কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। তবে, ওই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার দিনভর আশপাশের গ্রামে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে তাণ্ডব চালানোর যে অভিযোগ উঠেছে বা পুলিশ-কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হননি। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, দু’দিনের ঘটনা মিলিয়ে কাঁথি ও মারিশদা থানায় একাধিক মামলা রুজু হয়েছে। তৃণমূলের তরফে দায়ের করা অভিযোগে আবার নাম রয়েছে সেই সিপিআই নেতা হংসপদ জানারও, যাঁর বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল বৃহস্পতিবার! অন্য উল্লেখযোগ্য অভিযুক্ত সিপিএমের আশিস দাস, যিনি পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ ও র্যাফের টহলও চলছে।
ধৃত দুই বামকর্মী সুনীল মণ্ডল ও দেবদুলাল মণ্ডলকে শুক্রবার কাঁথি আদালতে হাজির করা হলে বিচারক ধৃতদের জামিনের আবেদন নাকচ করেন। দেবদুলালকে ৫ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে ও সুনীলকে ১৪ দিনের জন্য জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। শুক্রবারও দলীয় নেতা দেবাশিসবাবুকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে এবং দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কুলঞ্জরা, ছনবেড়িয়া গ্রামে মিছিল করা হয় বলে জানিয়েছেন দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেন। অন্য দিকে, সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রশান্ত পাত্রের অভিযোগ, “বৃহস্পতিবার গভীর রাতেও তৃণমূলের সশস্ত্র বাহিনী উমাপতিবাড়ে বাম-সমর্থক ১১টি পরিবারের ঘরবাড়িতে লুঠপাট চালিয়েছে। বাড়ির পুরুষ-সদস্যরা তৃণমূলের সন্ত্রাসে দীর্ঘ দিনই ঘরছাড়া। মহিলাদের বের করে দিয়ে লুঠপাট চালানো হয়েছে।”
মারিশদা থানায় জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে দাবি সিপিএম নেতার। যদিও মামুদ হোসেন এই অভিযোগও অস্বীকার করেছেন। |
|
|
|
|
|