|
|
|
|
ছাত্র-মৃত্যুতে খুনের অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
মেচেদা থেকে কিশোরের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ‘অপহরণ করে খুনে’র অভিযোগ দায়ের করল তার পরিবার। শুক্রবার নন্দীগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ করেন মৃত কিশোর শেখ মইদুল ইসলামের বাবা মহম্মদপুর গ্রামের শেখ নুরুল ইসলাম। নির্দিষ্ট কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ না করে তদন্ত করে প্রকৃত দোষীকে শাস্তি দেওয়ার আবেদন করেছেন তিনি। অভিযোগ জানানোর সময়ে নুরুল ইসলামের সঙ্গে থানায় এসেছিলেন মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আতিয়ার রহমান-সহ একাধিক পঞ্চায়েত সদস্য এবং গ্রামবাসী। তাঁদেরও দাবি, এই খুনের ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে ব্যবস্থা নিতে হবে। ময়না-তদন্তের বিপোর্ট থেকে প্রাথমিক ভাবে পুলিশেরও উপলব্ধি, ওই কিশোরকে খুনই করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়্গপুর শাখার মেচেদা স্টেশনের কাছে সেতুর নীচে রেললাইনের ধার থেকে মহম্মদপুরের দশম শ্রেণির ছাত্র মইদুলের দেহ উদ্ধার হয়। বুধবার সন্ধ্যা থেকে তার খোঁজ মিলছিল না। দাদা শেখ মেহবুব আলমের কথায়, “ভাই বুধবার বিকেলে গ্রামের কাছেই চৌরঙ্গিবাজারে পড়তে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরোলেও সেখানে যায়নি। বরং কয়েক জন বন্ধুর সঙ্গে সে নন্দীগ্রাম বাজারে গিয়েছিল। সেখানে পরীক্ষার নোটস ফোটোকপি করে।” বাড়ির লোকের অভিযোগ, এর পর ওই বন্ধুদের সঙ্গেই মেচেদায় গিয়েছিল মইদুল।
মেহবুব আলম বলেন, “সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ অপরিচিত একটি নম্বর থেকে বাড়ির মোবাইলে ফোন আসে। ‘বন্ধুদের সঙ্গে মেচেদায় আছি। আগামীকাল সকালে বাড়ি যাব। বাড়ি গিয়ে সব বলব’ বলে ভাই ফোন কেটে দেয়।” বাড়ির লোকের দাবি, মইদুল এর আগে নন্দীগ্রাম বাজারের বাইরে কোনও দিন যায়নি। তার মেচেদায় যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ বাড়ে। মেহবুব আলম বলেন, “ফের কিছুক্ষণ পর ওই নম্বরে ফোন করি। একজন ফোনটি ধরে বলে সে লালু। কিন্তু আর কিছুই বলেনি। তার পরে আর ফোনে যোগাযোগ করাও যায়নি। লালু নামে ওর কোনও বন্ধুও ছিল বলে জানি না। আগে কখনও এই নাম শুনিওনি।” বুধবার রাতে নন্দীগ্রাম থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন মইদুলের পরিবারের লোক। শুক্রবার মেচেদা স্টেশনের কাছ থেকে দেহ উদ্ধার হয়। তমলুক জেলা হাসপাতালে গিয়ে দেহটি শনাক্ত করেন ওই কিশোরের পরিজনেরা। শুক্রবার নন্দীগ্রাম থানায় দায়ের হল খুনের মামলা। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাতে মইদুলের বাড়ির মোবাইলে যে নম্বর থেকে ফোন করা হয়েছিল, তার সূত্র ধরে তদন্ত শুরু হয়েছে। |
|
|
|
|
|