|
|
|
|
জাতীয় যোগাসনে তৃতীয় দুর্গাপুরের ঝর্না ও অঞ্জন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
জাতীয় যোগাসন প্রতিযোগিতায় দুর্গাপুরের নাম উজ্জ্বল করলেন ঝর্না মিত্র এবং অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি কেরলে অনুষ্ঠিত ওই প্রতিযোগিতায় তাঁরা দু’জনেই নিজের নিজের বিভাগে তৃতীয় স্থান দখল করেন। বর্ধমান জেলা ফিজিক্যাল কালচার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা নির্মল সাহা বলেন, “দু’জনেই প্রতিভাবান। আশা করি, ভবিষ্যতে ওঁরা আরও ভালো ফল করবে।” |
|
নিজস্ব চিত্র |
১৯৮৬ সালে যোগাসন শুরু করেন ঝর্নাদেবী। তাঁর বাড়ি দুর্গাপুরের এ-জোন এলাকায়। প্রায়ই তাঁরা মাথা ব্যথা হত। দিন পনেরো অন্তর ছুটতে হত কলকাতার হাসপাতালে। যোগাসন শুরু করে উপকৃত হন। সেই শুরু। এর পরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছেন তিনি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ২০০২ ও ২০০৭ সালে জাতীয় যোগাসন প্রতিযোগিতা। সেখানে তিনি প্রথম হন। পূর্ব ভারত যোগাসন প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন ২০০৯ সালে। সম্প্রতি কেরলের কোচিতে অনুষ্ঠিত হল ৩০ তম জাতীয় যোগাসন প্রতিযোগিতা। ঝর্নাদেবী সেখানে তৃতীয় হন। তাঁর কথায়, “আমার এক মেয়ে বিবাহিত। আর এক মেয়ে স্নাতকোত্তরের ছাত্রী। আমাকে ‘ফিট’ দেখে ওরা এখন নিয়মিত যোগাসন করছে এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় যোগ-ও দেয়।
ভিড়িঙ্গির বাসিন্দা অঞ্জনবাবু কম বয়সে দৌড়বীর ছিলেন। শরীরে কাঠিন্য এসে যাচ্ছিল। এর পরে ১৯৯০ সাল নাগাদ যোগাসন শুরু করেন তিনি। উপকার পেয়ে জোরকদমে অনুশীলনও শুরু করে দেন। পরের বছর থেকে তিনি প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে শুরু করেন। রাজ্যস্তরে তিনি দ্বিতীয় এবং জাতীয় স্তরে তৃতীয় হন। ২০০৩ সালে জাতীয় যোগাসন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। এর পরে যোগাসনের সুফল প্রচার করতে বহু বার তিনি সাইকেল মিছিল করেছেন দেশের বিভিন্ন শহরে। গত কয়েক বছর ধরেই খুদেদের যোগাসন শেখানোর একটি প্রশিক্ষণ শিবির চালাচ্ছেন অঞ্জনবাবু।
দুই প্রতিযোগীই জানান, তাঁদের উত্থানের পিছনে ভূমিকা রয়েছে জেলা ফিজিক্যাল কালচার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা নির্মলবাবুর। নির্মলবাবু শুধু বলেন, “ওঁদের সাফল্য দুর্গাপুরে যোগাসনের প্রসার ঘটাতে সাহায্য করবে।” |
|
|
|
|
|