|
|
|
|
ইডেন না পেয়ে মোহনবাগানে ঋদ্ধিরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
অসময়ের বৃষ্টিতে ইডেনের উইকেটে প্র্যাক্টিস করার সুযোগ ছিল না। ভেজা উইকেটের পাশাপাশি মাঠের অবস্থাও এত খারাপ যে, ফুটবল খেলতে ইডেনের জায়গায় মোহনবাগান মাঠকে শুক্রবার বেছে নিলেন বাংলার ক্রিকেটারদের গরিষ্ঠ অংশ। বৃষ্টির জন্য বৃহস্পতিবার মাঠে প্র্যাক্টিস করা যায়নি। এ দিন সকালেও প্র্যাক্টিসে গিয়ে ঋদ্ধিমান সাহারা দেখেন, ইন্ডোর ছাড়া প্র্যাক্টিস করার উপায় নেই। জিম আর টুকটাক ব্যাট নিয়ে নাড়াচাড়াই শুধু সম্ভব। এমনকী ফুটবল খেলে যে, নিজেদের হাল্কা রাখা যাবে, সেই উপায়ও নেই। শেষমেশ দিন্দা-ঋদ্ধিদের গন্তব্য দাঁড়াল মোহনবাগান মাঠ। লক্ষ্মী-সৌরাশিসদের মতো কেউ কেউ অবশ্য জিম করেই কাটালেন। |
|
ক্রিকেটের বদলে ফুটবল। মোহনবাগান মাঠে ঋদ্ধি ও দিন্দা।-নিজস্ব চিত্র |
তবে এ ভাবে দিনের পর দিন ঠিকঠাক প্র্যাক্টিস করতে না পেরে কিছুটা হতাশ ক্রিকেটাররা। এ দিন ঋদ্ধি যেমন বলে গেলেন, “কী করব! ইডেনে প্র্যাক্টিস করতে পারছি না, তাই মোহনবাগান মাঠে ফুটবল খেলতে যেতে হচ্ছে।” গুরুত্বপূর্ণ বিজয় হাজারে ট্রফির ঠিক আগে ইডেনে প্র্যাক্টিস করতে না পারায় বিরক্ত কোচ রামনও। জিমে কিছুক্ষণ কাটিয়ে বিরক্ত হয়েই মাঠ ছাড়েন। বোর্ডের টেকনিক্যাল কমিটির সভায় যোগ দিতে মুম্বই যে হওয়ায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এ দিন ছিলেন না।
ফুটবল খেলতে মোহনবাগান মাঠে যেতে হল কেন, এই প্রশ্ন স্বভাবতই উঠেছে। বলা হচ্ছে, মোহনবাগানে যা সম্ভব তা ইডেনে নয় কেন? বৃষ্টির চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে যদি মোহনবাগান মাঠ খেলার যোগ্য হয়ে উঠতে পারে, তা হলে ইডেন হবে না কেন? সিএবি-র যুগ্ম সচিব সুজন মুখোপাধ্যায় বলছেন, “কিউরেটর জানিয়েছেন দু’এক দিনের মধ্যে মাঠ তৈরি হয়ে যাবে।” কিন্তু আজ কেন মোহনবাগান মাঠে যেতে হল ঋদ্ধিদের? যুগ্ম সচিবের উত্তর, “ইডেনে তো ফুটবল হয় না।” তাঁকে বলা গেল যে, প্র্যাক্টিসে ফুটবল খেলা হালফিলে খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। ভারতীয় টিমও সেটা করে থাকে। এ বার সচিবের উত্তর, “মাঠ খারাপ হয়ে যেতে পারে ভেবেই হয়তো অনুমতি দেননি কিউরেটর।” কিউরেটর প্রবীর মুখোপাধ্যায় বলছেন, “ওরা ফুটবল খেলার অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু যা বৃষ্টি হয়েছে, মাঠের ক্ষতি হতে পারত। তাই অনুমতি দেওয়া হয়নি।” |
|
|
|
|
|