|
|
|
|
আমাকে তাড়ানো হয়নি, উত্তপ্ত সিমন্সের দাবি |
সংবাদসংস্থা • ব্রিসবেন |
এক দিনের সিরিজে অনেকটা ঘুরে দাঁড়ালেও অস্ট্রেলিয়া সফরে বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না টিম ইন্ডিয়ার। এ দিন যার কেন্দ্রে বোর্ডের নির্দেশে খারিজ ভারতীয় দলের বোলিং কোচ এরিক সিমন্স। যিনি চলতি সফরের পরেই ভারতীয় শিবির ত্যাগ করবেন।
শুক্রবার ব্রিসবেনে সাংবাদিক সম্মেলনে মিডিয়ার সঙ্গে লেগে যায় সিমন্সের। বিশেষ করে ভারতীয় সাংবাদিকরা বাউন্সার ছোড়েন, পারফরম্যান্স নেই বলেই বোর্ড তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করল কি না। সিমন্স এই প্রসঙ্গে মেজাজ হারান এবং বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, মিডিয়ার একাংশের সঙ্গে তাঁর তকাতর্কিও হয়। সিমন্স দাবি করেন, তাঁকে মোটেও বোর্ড তাড়িয়ে দিচ্ছে না। বরং ২০১১ বিশ্বকাপের পরে তাঁর মেয়াদ দু’বার বাড়িয়েছিল বোর্ড। তৃতীয় বার মেয়াদ বৃদ্ধি প্রায় অসম্ভব বলে স্বাভাবিক নিয়মেই ভারতীয় দলের বোলিং কোচ থাকার মেয়াদ এই সফরের পরে তাঁর ফুরিয়ে যাচ্ছে। “আমার ভারতীয় দলের বোলিং কোচ থাকার বর্ধিত সময়কাল স্রেফ ফুরিয়ে গিয়েছে। তাই চলে যাচ্ছি। এর সঙ্গে পারফরম্যান্সের সম্পর্ক নেই,” বলেন সিমন্স।
উল্টে তিনি ইশান্ত শর্মাকে চলতি ত্রিদেশীয় সিরিজে ভারতীয় দলে না রাখায় ঘুরিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট পরিচালকদের সমালোচনা করেছেন। “আমার মনে হয়, ইশান্তকে এক দিনের সিরিজে দেখতে না পেয়ে অস্ট্রেলীয়রা খুশিই হয়েছে। টেস্ট সিরিজে ও-ই সবচেয়ে ভাল বল করেছে। সবচেয়ে বেশি বেগ দিয়েছে অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানদের। আমি নির্বাচক নই। কিন্তু আমি মনে করি ইশান্তের অবশ্যই ত্রিদেশীয় সিরিজেও থাকা উচিত ছিল।” ইশান্তকে ‘সবচেয়ে ভাগ্যহীন’ বোলার আখ্যা দিয়ে সিমন্স যোগ করেছেন, “টেস্ট সিরিজে ওর বলে প্রচুর খোঁচা উঠেছিল। যার কিছু উইকেটকিপার ধোনি আর স্লিপে লক্ষ্মণের মাঝ দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। কিছু ধোনির সামনে পড়েছে বা ওর মাথার উপর দিয়ে চলে গিয়েছে। ইশাম্ত দক্ষিণ আফ্রিকার মর্নি মর্কেলের মতো। দুর্দান্ত বল করেও বেশি উইকেট পায় না।”
জাহির থেকে বিনয় কুমার, শ্রীসন্থ থেকে উমেশ যাদব সব ভারতীয় বোলারদের নিয়েই নিজের পর্যবেক্ষণ এ দিন ব্যক্ত করেন সিমন্স। তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য তাঁর “অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজে ভারতীয় বোলারদের গড় গতি অস্ট্রেলীয়দের চেয়ে বেশি ছিল। হিলফেনহসরা হয়তো মাঝেমধ্যে দেড়শো কিলোমিটারে কিছু বল করেছে। ধারারাবাহিক গতি আমাদের বেশি ছিল।” |
|
|
|
|
|