|
|
|
|
পিএলএস মাসখানেক পিছিয়ে যেতে পারে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ফেডারেশন-- ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে।
স্টেডিয়াম-- ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রর সঙ্গে এখনও আলোচনাতেই বসেনি আই এফ এ। জটও খোলেনি। জটিল পরিস্থিতি।
জেলার অনুমোদন-- এখনও দুটি জেলা নিয়ে সমস্যা আছে। ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হলেই ওই সমস্যা মিটে যাবে।
নিট ফল, ২৪ মার্চ প্রিমিয়ার লিগ সকার বা পি এল এস শুরু হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। শুক্রবার পরিস্থিতি যেখানে দাঁড়িয়ে তাতে টুর্নামেন্ট মাসখানেক পিছিয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, তাতে ফ্রাঞ্চাইজিদের যেমন আপত্তি নেই, তেমনই আপত্তি নেই আই এফ এ-র বিপণন সহযোগী সি এম জি কর্তাদেরও। কেউই অবশ্য এ ব্যাপারে সরকারি ভাবে মুখ খুলছেন না। আই এফ এ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, “সোম বা মঙ্গলবার ফ্রাঞ্চাইজিদের সঙ্গে আলোচনায় বসব। তার পর বলতে পারব কবে টুর্নামেন্ট হবে। যাঁরা ক্লাব কিনেছে তাদের সঙ্গে কথা না বলে কোনও তারিখ বলা ঠিক হবে না।”
বিপণন সহযোগীদের সঙ্গে আই এফ এ-র যা চুক্তি তাতে ফেডারেশনের অনুমতিপত্র, মাঠ এবং অনুমোদনের দায়িত্ব উৎপলবাবুদের। এজন্য আই এফ এ পাচ্ছে ৫০ লাখ টাকা। এর মধ্যে দশ লাখ ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছে রাজ্য সংস্থা। টুর্নামেন্টের লাভের কুড়ি শতাংশও পাচ্ছে আই এফ এ। কর্তারা চাইছেন, ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে টুর্নামেন্ট পিছিয়ে দিয়ে মাঠের ব্যাপারটি নিশ্চিত করতে। তাঁদের ধারণা সময় পেয়ে যাওয়ায় খুশি হবে ফ্রাঞ্চাইজিরাও।
পি এল এস পিছোলেও তা অবশ্যই শেষ করতে হবে ৬ জুনের মধ্যে। কারণ আইকন ফুটবলার ক্রেস্পো, কানাভারো, ফাউলারদের সঙ্গে চুক্তি আছে ওই দিন পর্যন্তই। ৮ জুন থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে ইউরো কাপ। সি এম জি সূত্রের খবর, ক্রেস্পো-সহ চার জন বিশ্বখ্যাত ফুটবলারই ওই সময় বিশ্বের বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে ধারাভাষ্যকার হিসাবে চুক্তি করে রেখেছেন। সি এম জি কর্তা ভাস্বর গোস্বামী আজই উড়ে যাচ্ছেন মুম্বইতে। পি এল এসের কাজে। সেখানে এই টুর্নামেন্ট নিয়ে প্রচণ্ড আগ্রহ রয়েছে। এ দিন ভাস্বর দাবি করলেন, “ফ্রাঞ্চাইজি এবং ফুটবলার আনার দায়িত্ব ছিল আমাদের। সেখানে কোনও সমস্যা নেই। বাকি দায়িত্ব আই এফ এ-র। কবে খেলা শুরু হবে সেটা নির্ভর করছে ওদের উপরই। আমরা আই এফ এ-র দিকেই তাকিয়ে আছি।”
কলকাতা লিগ শেষ হয়নি। সূচি নিয়ে গত তিন-চার দিন টালবাহানা চলছে। আই এফ এ শিল্ডের স্পনসর ঠিক হয়ে গেলেও কোন কোন টিম আসবে তা এখনও জানাতে পারেননি কর্তারা। আই এফ এ সচিব বললেন, “পি এল এসের পাশাপাশি কলকাতা লিগ এবং শিল্ড নিয়েও কাজ করতে হচ্ছে। একটু সময় তো লাগবেই।”
বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, আই এফ এ-র নিজের কোনও মাঠ নেই। লিগ ও শিল্ডের মাঠ পেতে ক্রীড়ামন্ত্রীরই দ্বারস্থ হতে হবে তাদের। সেজন্যই পি এল এসের মাঠ নিয়ে আপাতত ‘ধীরে চলো’ নীতি নিয়েছেন রাজ্য সংস্থার কর্তারা। |
|
|
|
|
|