|
|
|
|
সম্মেলন বন্ধ, ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বুথ-কমিটির সম্মেলনের জন্য জোর প্রচার চলেছিল। মঞ্চও তৈরি হয়ে গিয়েছিল। আচমকাই দলের উপরতলার নির্দেশে সেই সম্মেলন হল না। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলেন তৃণমূলের একাংশ নেতা-কর্মী। শুক্রবার এই ঘটনা ঘটল মেদিনীপুর সদর ব্লকের জামকুণ্ডা বুথে। বিক্ষুব্ধেরা সরাসরি দলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়ের বিরুদ্ধে সম্মেলন বানচাল করার অভিযোগ তুলেছেন। |
|
দ্বন্দ্বের জেরে সম্মেলন হল না। বেকার হল আয়োজন। জামকুণ্ডায় তোলা নিজস্ব চিত্র। |
যদিও দলীয় নেতৃত্ব জানিয়েছেন, দলের অনুমতি না নিয়েই স্থানীয় কয়েক জন ওই সম্মেলন করছিলেন। তাই তা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলের সদর-ব্লক সভাপতি দিলীপ দে বলেন, “দলের অনুমতি না নিয়ে সম্মেলন করায় তা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” জেলা সভাপতি দীনেনবাবুরও বক্তব্য, “দলের অনুমতি ছাড়া কেউ কোনও সভা করতে পারবেন না, সেই নির্দেশ আগে থেকেই রয়েছে। অনুমতিহীন সম্মেলন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন ব্লক নেতৃত্বই।” যদিও স্থানীয় তৃণমূল কর্মী লিয়াকত আলি, আজাদ আলিদের অভিযোগ, “ব্লক সভাপতির অনুমতি নিয়েই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। না হলে কেই বা টাকা খরচ করে মঞ্চ তৈরি করত, প্রচার করত? জেলা সভাপতি দীনেন রায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে প্রশ্রয় দিতেই সম্মেলন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।”
জামকুণ্ডা এলাকাটি দীর্ঘ দিন ধরেই ছিল সিপিএমের ‘শক্তঘাঁটি’। লোকসভা নির্বাচনের পরে স্থানীয় অনেকেই অবশ্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের নিয়েই একটি বুথ-কমিটিও তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই সেই কমিটিতে প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়। তার জেরেই কমিটি ভেঙে দেওয়াও হয়। পরবর্তীকালে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি তৈরির উদ্যোগ শুরু হয়। তবে জেলা তৃণমূলের একটি-সূত্রের পর্যবেক্ষণ, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সিপিএমের লোকজন তৃণমূলে ঢুকে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চাইছেন। তাই তড়িঘড়ি করে কোনও সম্মেলন আয়োজন ঠিক হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। |
|
|
|
|
|