|
|
|
|
জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশন চালু হবে এপ্রিলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
স্বর্ণজয়ন্তী গ্রাম স্বরোজগার যোজনা প্রকল্পটির ত্রুটি-বিচ্যুতি শুধরে নতুন প্রকল্প ‘জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশন’ চালু করার কথা ঘোষণা হয়েছে এক বছর আগে। তারপরেও কোথাও কোনও কাজ শুরু হয়নি। যদিও রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ এপ্রিল আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজ্যে প্রকল্পটি শুরু হবে জেলায় জেলায়। হুগলির ক্ষেত্রে ১৮টি ব্লকের মধ্যে আরামবাগ, হরিপাল, পাণ্ডুয়া ও ধনেখালিকে এ জন্য প্রাথমিক ভাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। হুগলির গ্রামোন্নয়ন দফতরের সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর অসীম বিশ্বাস জানান, প্রকল্পের চূড়ান্ত নির্দেশিকা এখনও আসেনি। তবে ‘মাস্টার ট্রেনার’ হিসাবে সংশ্লিষ্ট চারটি ব্লক-পিছু ৪-৫ জনের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে জানুয়ারি মাসে। চলতি মাসের মধ্যে পঞ্চায়েত স্তরেও কর্মশালা শেষ করে ফেলার কথা বলা হয়েছে। ব্লকগুলিতে সেই কর্মশালা শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
দরিদ্র ও সব দিক থেকে পিছিয়ে পড়া মানুষের আর্থিক উন্নয়ন-সহ সার্বিক উন্নয়নের লক্ষে ১৯৯৯ সালের ১ এপ্রিল চালু হয়েছিল স্বর্ণজয়ন্তী গ্রাম স্বরোজগার যোজনা। এই প্রকল্প বাতিল করে জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশন প্রকল্পটি চালু করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল কেন?
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দরিদ্র মানুষকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর আওতায় আনার ক্ষেত্রে ব্যাপক সাড়া মিললেও সেই অনুপাতে তাঁদের আয় বাড়েনি। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক পর্যালোচনা শেষে প্রকল্পের দুর্বলতা ও ত্রুটিগুলি চিহ্নিত করে। ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশন বা ‘ন্যাশনাল রুরাল লাইভলি মিশন’-এর (সংক্ষেপে, এনআরএলএম) খসড়া তৈরি করে। রাজ্যগুলিকে প্রকল্প রূপায়ণের জন্য প্রথম চিঠি পাঠানো হয় ২০১১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, স্বর্ণজয়ন্তী গ্রাম স্বরোজগার যোজনার যে সব ত্রুটি ও দুর্বলতা চিহ্নিত হয়েছে, তার অন্যতম হল গোষ্ঠীর সুবিধা ও উপযোগিতা নিয়ে পর্যাপ্ত সচেতনতা বৃদ্ধি করা যায়নি। গোষ্ঠীগুলির পরিকাঠামো তৈরিতে টাকা খরচের অপ্রতুলতা, ব্যাঙ্ক পরিষেবার ব্যবহার নিয়েও সমস্যা ছিল। ব্যাঙ্কের ভূমিকা কেবলমাত্র ঋণদান ও আদায়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছে। গরিব মানুষের সঙ্গে ব্যাঙ্কের সরাসরি যোগাযোগ গড়ে ওঠেনি। আরও কিছু কিছু কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। এ সব থেকে বেরোনোর উপায় খুঁজতেই জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশনের সূচনা। আগের প্রকল্পে পরিকাঠামোরও অভাব ছিল। নতুন প্রকল্পে কেন্দ্র, রাজ্য, জেলা এবং ব্লক মিশন থাকছে তত্ত্বাবধানে। |
|
|
|
|
|