|
|
|
|
এখনও যানজটে জেরবার উলুবেড়িয়া, হল না বাইপাস |
হিলটন ঘোষ • কলকাতা |
দীর্ঘদিন ধরে যানজট সমস্যা রয়েছে উলুবেড়িয়া শহরে। আর তার জেরে প্রাণ ওষ্ঠাগত শহরের বাসিন্দাদের। শহরের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে ওড়িশা ট্রাঙ্ক রোড। ওই রাস্তায় দিনের পর দিন যান চলাচল বেড়ে চলেছে। তা ছাড়া রাস্তার পাশের এলাকা বেআইনি জবরদখলকারীদের দখলে রয়েছে। সব মিলিয়ে যানজট বেড়েছে শহরে। সবচেয়ে বেশি সমস্যা উলুবেড়িয়া স্টেশন রোড মোড়, সিনেমাতলা, গরুহাটা ও কোর্ট লাগোয়া এলাকায়। স্কুল ও অফিসে যাওয়ার সময়ে অবস্থা চরমে পৌঁছয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমসিম খেতে হয় পুলিশকে।
শহরের যানজটের সমস্যার সমাধানে পুরসভা একটি বিকল্প রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ওড়িশা ট্রাঙ্ক রোডের সমান্তরাল ভাবে বয়ে চলা মেদিনীপুর খালের পাশ দিয়ে ওই রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। দু’টি রাস্তায় শহরে ঢোকা ও বেরনোর আলাদা ব্যবস্থা করার কথা ছিল। এ ছাড়া শহরের মধ্যে অটো, ট্রেকার, ম্যাজিক গাড়ি চলার উপরেও নিয়ন্ত্রণ আনতে সচেষ্ট হয় পুরসভা। তবে বাসিন্দাদের অভিযোগ, শহরের মধ্যে রাস্তা জবরদখল করে ব্যবসা চালানোয় রাজনৈতিক নেতাদের প্রকাশ্যে মদত রয়েছে। যার জেরে বেআইনি জবরদখল তোলা সম্ভব হচ্ছে না। একই ভাবে যান চলাচলের ক্ষেত্রেও বিধি না মানার প্রবণতা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক নেতাদের হাত ধরেই। পুর-প্রশাসনের কর্মীরাও একই কথা জানিয়েছেন। |
|
নিজস্ব চিত্র। |
মেদিনীপুর খালের পাশ দিয়ে যে বাইপাস তৈরির পরিকল্পনা হয়েছিল তা এখন বিশবাঁও জলে। শহরের গঙ্গারামপুর থেকে জেটিঘাট পর্যন্ত চার কিলোমিটার রাস্তার দু’পাশেই বেআইনি জবরদখলকারীদের কবলে। পুর-প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন, বেআইনি জবরদখলকারীদের বেশিরভাগই বাংলাদেশ থেকে এসেছে। আর দখলদারদের দাবি, উপযুক্ত পুনর্বাসন না দিয়ে উচ্ছেদ করা যাবে না।
গঙ্গারামপুরে মেদিনীপুর খালের ওপরে সেতু তৈরির পরিকল্পনা করেছিল পুরসভা ও কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ। সেতু তৈরির খরচ ধরা হয়েছিল প্রায় এক কোটি টাকা। সে জন্য স্থানীয় সাংসদ সুলতান আহমেদ এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে ৩০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। দীর্ঘ দিন ধরে সে টাকা পড়ে থাকলেও পুরসভা কাজের কাজ কিছু করতে পারেনি। সে কারণে সাংসদ তহবিলের টাকা ফেরত যাওয়ার উপক্রম হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুরপ্রধান দেবদাস ঘোষ। তিনি বলেন, “বাইপাস রাস্তা তৈরি করতে আমরা আন্তরিক। বাইপাস রাস্তার দুই প্রান্তের দখলদারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হয়ে যাবে। কিন্তু এই সেতুর জন্য এক কোটি টাকার মধ্যে ৩০ লক্ষ টাকা পাওয়ায় আপাতত কাজ করা গেল না। পুরসভার তহবিল প্রায় শেষ। অনেক উন্নয়নের কাজ আটকে। আশা করছি মার্চের পর অবস্থার অনেকটা পরিবর্তন হবে।” |
|
|
|
|
|