প্রসার ভারতীর পরবর্তী কর্ণধার (সিইও) নিযুক্ত হচ্ছেন সংস্কৃতি সচিব জহর সরকার। আগামী সপ্তাহের গোড়ায় নতুন কার্যভার গ্রহণ করবেন ১৯৭৫ ব্যাচের পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের এই অফিসার।
স্বশাসিত এই জাতীয় সম্প্রচার চ্যানেলটির (দূরদর্শন এবং বেতার যার অধীনে) মাথায় কাকে নিয়োগ করা হবে, তা নির্ধারণ করা হয় একটি বিশেষ প্যানেলের মাধ্যমে, যার নেতৃত্বে থাকেন উপরাষ্ট্রপতি। সরকারি সূত্রের খবর, গত কাল উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি জহরবাবুর নাম প্রস্তাব করেছেন। সংস্কৃতি সচিবের পদ থেকে জহরবাবুর অবসর নেওয়ার কথা মার্চে।
প্রসার ভারতীতে এর আগের সিইও বি এস লালি-র জমানায় দুর্নীতির অভিযোগ তীব্র হয়ে ওঠে। ২০১০-এ তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। তার পর কার্যনির্বাহী সিইও হিসাবে নিযুক্ত হন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব রাজীব টাকরু। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ৩০০টিরও বেশি স্টেশন এবং ১৮০০টি সম্প্রচার কেন্দ্র সম্বলিত বৃহত্তম বৈদ্যুতিন মিডিয়া চ্যানেলটির প্রায় ১৪,০০০ পদ শূন্যই রয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, প্রয়োজন থাকলেও এই পদ পূরণের ব্যবস্থাই করা হয়নি। এ ছাড়া দুর্নীতি, টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ বার বারই তোলা হয়েছে। চ্যানেলের মানের অবনতির কথাও উঠেছে।
সরকারি সূত্রের খবর, জহরবাবুকে নিয়োগের প্রশ্নে সংস্কৃতি মন্ত্রকে তাঁর গত কয়েক বছরের কাজ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশতবর্ষকে জাতীয়, আন্তর্জাতিক স্তরে উদযাপনের ক্ষেত্রে তাঁর সক্রিয় উদ্যোগ ছিল। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবেকানন্দের চেয়ার গঠন করা থেকে সাংস্কৃতিক কূটনীতিতে সংস্কৃতি মন্ত্রক গত কয়েক বছর নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেছে। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পরে জহরবাবু বলেন, “প্রসার ভারতীতে অনেক কাজ করার রয়েছে। প্রথমে সব বুঝে নিতে হবে। সততা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।” |