টুকরো খবর |
ম্যানেজারকে ঘিরে বিক্ষোভ রামপুরহাটে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
ছবি: সব্যসাচী ইসলাম |
প্রয়োজনীয় সিমেন্টের জোগান নেই। যার জন্য রেলের একটি স্লিপার তৈরির কারখানা সাময়িক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে শুক্রবার নোটিস দেওয়া হয়। পাঁচ মাসের ব্যবধানে এই নিয়ে দু’বার কারখানা সাময়িক বন্ধ রাখল কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে এ দিন বেসরকারি এই কারখানার ম্যানেজারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকেরা। ম্যানেজার সতীশচন্দ্র সিংহ বলেন, “এই মুহূর্তে কোম্পানির কাছে উৎপাদিত স্লিপার সাপ্লাই দেওয়ার জন্য রেলের কোনও অর্ডার নেই। এ ছাড়া, রেলের তরফ থেকে স্লিপার তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সিমেন্টের যোগানও বন্ধ। বাধ্য হয়ে কারখানা সাময়িক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।” সোমবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে সতীশবাবু জানিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তের কথা রামপুরহাট মহকুমা সহশ্রম মহাধ্যক্ষ, মহকুমাশাসক, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এবং দুই শ্রমিক সংগঠন-সহ অন্যান্য বিভাগীয় দফতরে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন। সিটু প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনের নেতা সিরাজুল ইসলাম, আইএনটিটিইউসি প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনের নেতা দেবজিৎ মাহান্ত বলেন, “মাঝে মধ্যে সাময়িক বন্ধের নোটিস দেওয়া হচ্ছে। মাঝে ২৩ দিন কারখানা বন্ধ ছিল। অস্থায়ী শ্রমিকেরা কাজ ছেড়ে দিয়েছেন। স্থায়ী শ্রমিকেরা কোম্পানির খামখেয়ালি সিদ্ধান্তে সমস্যায় পড়েছেন।” ম্যানেজার বলেন, “ডিসেম্বর মাসের অর্ডার পাওয়ার আশায় তিন সিফটের বদলে এক সিফটে কারখানা চালু রাখা হয়েছিল। বর্তমানে সে কাজও চালু রাখা যাবে না।”
|
বিদ্যুৎ নেই, বন্ধ টেলি-পরিষেবা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়ূরেশ্বর |
বছর দেড়েক আগে টাকা জমা দিয়েও বিদ্যুৎ সংযোগ মেলেনি। তাই ময়ূরেশ্বর থানার লোকপাড়া এলাকায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল বিএসএনএলের মোবাইল পরিষেবা। ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন গ্রাহকেরা। জেলা টেলিকম দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দু’য়েক আগে ময়ূরেশ্বরের লোকপাড়ায় বিএসএনএলের একটি টাওয়ার বসানো হয়। সেই সময় জেনারেটর দিয়ে টাওয়ারটি চালু করা হয়। ভাল পরিষেবা মিলবে এই আশায় স্থানীয় মানুষেরা বিএসএনএলের সংযোগ নেন। কিন্তু মাস খানেক ধরে ওই মোবাইলের পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। লোকপাড়া গ্রামের পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, রসুনপুরের সৌমিত্র মণ্ডলরা বলেন, “প্রয়োজনের সময়ে টাওয়ার না থাকায় ফোন ব্যবহার করতে পারছি না। কথা বলতে বলতে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে অন্য কোম্পানির সংযোগ নিতে হয়েছে।” জেলা টেলিকম দফতরের সাঁইথিয়া বিভাগের ইঞ্জিনিয়র মাধবচন্দ্র পাল বলেন, “সত্যিই গ্রাহকদের সমস্যা হচ্ছে। আমরা বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য বছর দেড়েক আগে ময়ূরেশ্বর গ্রুপ ইলেকট্রিক সাপ্লাই অফিসে টাকা জমা দিয়েছি। তার টেনে ট্রান্সফর্মার বসানো হয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগ মিলছে না।” ময়ূরেশ্বর গ্রুপ ইলেকট্রিক সাপ্লাইয়ের স্টেশন ম্যানেজার তথা অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র গঙ্গাধর মালি বলেন, “কাগজপত্র না দেখে কেন ওই টাওয়ারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি বলতে পারছি না। যদি টেলিকম কর্তৃপক্ষ কাগজপত্র নিয়ে যোগাযোগ করে, তা হলেও ব্যবস্থা নেব।”
|
সাতটি ক্রাশার ও খাদান বন্ধ করার নির্দেশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে না পারায় রামপুরহাট থানার সাতটি ক্রাশার ও খাদান বন্ধ করার নির্দেশ দিল প্রশাসন। শুক্রবার রামপুরহাটের ভারপ্রাপ্ত মহকুমাশাসক মহম্মদ ইব্রাহিম এ কথা জানান। তিনি বলেন, “ক্রাশার ও খাদানের মালিকদের অনুমতি পত্র-সহ প্রয়োজনীয় তথ্য প্রশাসনের কাছে জমা করতে বলা হয়েছিল। ২২২টি সংস্থা আমাদের কাছে তাদের কাগজ জমা দেয়। জেলা প্রশাসন তা যাচাই করছে। রামপুরহাট থানা এলাকার ১৩টি ক্রাশার ও খাদানের রিপোর্ট এসেছে। তার মধ্যে ৬টি ক্রাশার ও খাদান বন্ধ করার নির্দেশ এসেছে।” তিনি জানান, যে ক্রাশারগুলিতে এখনও ধুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য জল ছড়ানো হচ্ছে না, তাদের বিরুদ্ধেও প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নেবে। এ দিন মহকুমা শাসকের দফতরে পাথর শিল্পাঞ্চলের সমস্যা নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। বীরভূম জেলা আদিবাসী গাঁওতা ও ক্রাশার-খাদান মালিকরা ওই বৈঠকে ছিলেন। ছিলেন স্থানীয় বিডিও ও পুলিশ আধিকারিকও। পরে মহকুমা শাসক বলেন, “পাথর শিল্পাঞ্চলে মাঝে মধ্যেই শ্রমিক ও মালিক পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছে। রাস্তা অবরোধের মতো আন্দোলন হচ্ছে। এ জন্য এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। তাই উভয় পক্ষকে ডেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সমস্যা থাকলে প্রশাসন তা মীমাংসা করার চেষ্টা করবে। কিন্তু তাদের আইন ভঙ্গ প্রশাসন বরদাস্ত করবে না।” গাঁওতা নেতা রবিন সরেন বলেন, “কোনও খাদান বা ক্রাশার প্রশাসনের নির্দেশ মেনে কাজ না করলে আমরা প্রশাসনের নজরে আনব। নিজেরা বন্ধ করতে যাব না।” মালিক পক্ষের তরফে সাহিদ শেখ, সুভাষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দূষণ ঠেকাতে ক্রাশারগুলিকে জল ছিটাতে বলব। প্রশাসনকে আমরা সাহায্য করব।”
|
শিশু ‘নিগ্রহে’ যুবককে মার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
দুই শিশুকে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগে পড়শি এক যুবককে মারধর করলেন বাসিন্দাদের একাংশ। বৃহস্পতিবার রাতে বোলপুর শহরের জামবুনি মাদ্রাসা পাড়ার ঘটনা। শেখ লালু নামের বছর বাইশের ওই যুবককে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই রাতেই ওই যুবকের বিরুদ্ধে ওই দুই শিশুর মা বোলপুর থানায় ধর্ষণ করার অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “দুই ভাই-বোনকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পেয়েছি। ওই দুই শিশুর শুক্রবার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশের পাহারায় বর্ধমান হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।” দুই শিশুর মায়ের অভিযোগ, “রবিবার সন্ধ্যায় চকলেট দেওয়ার নাম করে ওই যুবক আমার সাত বছরের ছেলেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করে। ওই দিন ছেলে আমাদের জানায়নি। পরের দিন আমার সাড়ে তিন বছরের মেয়ের উপরেও ওই যুবক অত্যাচার চালায়। তখনই জানতে পারি। এর পরে ওই যুবকের মা ঘটনার কথা লোকজনকে না বলার জন্য আমাদের শাসানি দেয়। তখন পড়শিদের জানাই।” বাসিন্দাদের একাংশ এরপরেই লালুকে মারধর করে। পরিবারের লোকজন পরে তাকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমানে স্থানান্তর করা হয়। ওই যুবকের বাবা মজন শেখের দাবি, “মিথ্যা অভিযোগে আমার ছেলেকে মারধর করা হয়েছে। সে নির্দোষ। মাথায় ও চোখে তার গুরুতর আঘাত রয়েছে।”
|
সংস্কারের দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
কাঁচা নর্দমা। এমনিতেই জল নিকাশের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় দুর্গন্ধ ছড়ায়। বর্ষাকালে সেই নর্দমা উপচে জল বাড়ির মধ্যে ঢুকেও পড়ে। অথচ মাত্র ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যের ওই নিকাশী নালাটি সংস্কার করলেই সমস্যা মেটে। কিন্তু দুবরাজপুর ব্লকের মেটেলাগ্রামের বাউড়ি পাড়া সংলগ্ন এলাকার মানুষের অভিযোগ বহু বার স্থানীয় গোহালিয়াড়া পঞ্চায়েতকে জানিয়েও সেই সমস্যা মেটেনি। স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষ্মীকান্ত বাউড়ি, প্রদীপ কুনুইদের দাবি, “১০০ মিটার কাঁচা নর্দমাটি পাকা করলে সমস্যা মিটে যায়। এই সংসদের নির্বাচিত সদস্য এবং প্রধানকে বহুবার কাজটির বিষয়ে বলাও হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা হল না।” যদিও ওই পঞ্চায়েতের প্রধান, তৃণমূলের দিলীপ মাল বলেন, “বর্তমান আর্থিক বছরে ওই কাজ ধরা নেই। আর স্থানীয় বাসিন্দারা ওই কাজের জন্য সেভাবে আমাকে কিছু বলেননি। তবে বাসিন্দারা চাইলে নালাটি সংস্কারের বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।”
|
বোমায় জখম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মাড়গ্রাম |
বোমা ফেটে জখম হল এক কিশোর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে মাড়গ্রামের দিঘুলি গ্রামের কিশোর বিভাষ মণ্ডল মাঠে গিয়েছিল। মাঠে পড়ে থাকা একটি বোমাকে সে বল ভেবে খেলতে যায়। হঠাৎ বোমা ফেটে তার ডান হাতের দু’টি আঙুল উড়ে যায়। কালুহা হাইস্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র বিভাষকে রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। চিকিৎসক সৌরভ মাজি জানান, ওই কিশোরের হাতের অন্য আঙুলের অবস্থাও খারাপ।
|
দুর্নীতির অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মাড়গ্রাম |
পুকুর সংস্কার না করে প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল রামপুরহাট ২ পঞ্চায়েত সমিতির হাসন ২ পঞ্চায়েতের প্রধান, নির্মাণ সহায়ক, নির্বাহী সহায়ক, এক পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। মাড়গ্রাম থানার রামদাসপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হান্নান এবং জুলফিকার আলি সম্প্রতি বিডিও, জেলাশাসক, মহকুমাশাসক, একশো দিন কাজের প্রকল্পে জেলা নোডাল অফিসারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, “গ্রামের পচাগরা নামে যে পুকুর সংস্কার করা হয়েছে বলে দাবি, সেই পুকুরের অংশীদার আমরা। বাস্তবে কাজ না করে ভুয়ো মাস্টাররোল দেখিয়ে ৯০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন তাঁরা।” রামপুরহাট ২ ব্লকের বিডিও সোমা সাউ বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। প্রধানকে তাঁর মতামত জানাতে বলেছি।” হাসন ২ পঞ্চায়েতের প্রধান আব্দুর রাফে বলেন, “বিডিওকে সমস্ত কিছু লিখিত ভাবে জানিয়েছি।” ওই প্রকল্পের নোডাল অফিসার সুপ্রিয় অধিকারী অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
|
বেহুঁশ যুবক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
বারহারোয়াগামী বর্ধমান-বারহারোয়া প্যাসেঞ্জার থেকে শুক্রবার সকালে এক বেহুঁশ যুবককে উদ্ধার করল রেল পুলিশ। ওই যুবক রামপুরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবকের পকেটে বর্ধমান থেকে সাঁইথিয়া যাওয়ার টিকিট পাওয়া গিয়েছে। আর কিছু ছিল না। হাসাপাতালের চিকিৎসক আনন্দ মণ্ডল বলেন, “তাঁকে মাদক মেশানো খাবার খাওয়ানো হয়েছে।”
|
পথ দুর্ঘটনা |
একটি ট্রাক ও বাসের ধাক্কায় ২০-২৫ জন যাত্রী জখম হয়েছেন। শুক্রবার সাড়ে ১১টা নাগাদ সিউড়ির আবদারপুরে, মোরগ্রাম-রানিগঞ্জ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। জখম যাত্রীদের মধ্যে ১১ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। |
|