নয়াদিল্লিতে ইজরায়েলি কূটনীতিকের গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ইরানের হাত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই বলে জানাল আমেরিকা।
মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নিউল্যান্ড বলেন, “ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তের ফলাফলের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। সেই সঙ্গে কয়েকটি দেশের সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছি। কিন্তু, তদন্তে যদি দেখা যায় যে এর মধ্যে ইরানের হাত আছে তা হলে আমরা মোটেই অবাক হব না।”
এ দিকে, ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জার্মানি ও আমেরিকা। গত কালই ইজরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবের কাছে অভিযোগ জানিয়ে বলেছে যে, বিশ্ব জুড়ে হিজবুল্লাকে দিয়ে ইজরায়েলিদের উপর হামলা চালাচ্ছে ইরান। আজ এক যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পানেত্তা এবং মার্কিন সফররত জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মেজিয়েরে বলেন, “বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধান বের করতে আমাদের সমস্ত রকমের চেষ্টা করতে হবে।”
শান্তিপূর্ণ সমাধানসূত্র খোঁজার পক্ষে সওয়াল করেছে ভারতও। আমেরিকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত নিরুপমা রাও বলেন, “যুদ্ধের কথায় কোনও সমাধানসূত্র মিলবে না। তাতে বিশ্ব জুড়ে শুধু হানাহানিই বাড়বে। খুঁজতে হবে শান্তির পথ।” বিভিন্ন মহল থেকে ইতিমধ্যেই কথা উঠেছে যে এখনও ইরানই ভারতকে সব চেয়ে বেশি তেল রফতানি করে এবং বিভিন্ন সময়ে চাপের মুখে পড়েও এই সরবরাহ বন্ধ হয়নি। তাই ভারত ইরানের বিরুদ্ধে যেতে পারবে না। সেই প্রসঙ্গে রাও বলেন, “ইরান থেকে তেল রফতানি এখন অনেক কমিয়ে দিয়েছে ভারত। মোট তেল আমদানির ১০ শতাংশ আসে ইরান থেকে। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশের মতোই ইরানও ভারতের বন্ধু।” পাশাপাশি, নিরুপমা অবশ্য বলেন, পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বার বার অন্যান্য দেশের সমালোচনার মুখে না পড়ে ইরানের উচিত আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে সহযোগিতা করা। দিল্লিতে সোমবারের বিস্ফোরণে আহত ইজরায়েলি মহিলা আজই দেশে ফিরে গিয়েছেন। ইতিমধ্যে, ব্যাঙ্ককে বিস্ফোরণের বিষয়ে দুই সন্দেহভাজনকে খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তাইল্যান্ডের পুলিশ। এদের মধ্যে এক জন বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ। |