|
৮০ ফুট মূর্তি
দেখলাম বুদ্ধগয়ায় |
|
পুজোয় কোথায় বেড়ালেন, মরুভূমি না তুষারদেশ?
ধানবাদের সিএমআরআই কলোনি থেকে লিখছেন মহুয়া ঘোষ। |
চোখের সামনে বিশালাকার বুদ্ধ মূর্তি। ঝলমল করছে আকাশ। সুন্দর শান্ত পরিবেশ। শ্রীলঙ্কা থেকে আসা একটি দল সেখানে প্রার্থনায় রত। দুপুর ১২টা নাগাদ বুদ্ধগয়ায় পৌঁছেছি। হোটেলে জিনিসপত্র রেখেই বেরিয়ে পড়েছি। সাদা বিশাল বুদ্ধ মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে আছি। প্রায় ২৫ মিটার অর্থাৎ ৮০ ফুট উঁচু। এখান থেকে বেরিয়ে ডাই জোকিয়ো মন্দির, ভুটান মন্দির, থাইল্যান্ড মন্দির, নেপাল মন্দির দেখে সোজা মন্দিরে পৌঁছলাম। সব মন্দিরেই বুদ্ধদেবের মূর্তি শোভা পাচ্ছে। প্রধান মন্দিরের ঠিক পিছনে মহাবোধি বৃক্ষ। এর নীচেই সিদ্ধিলাভ করেছিলেন বুদ্ধদেব। এক পাশে বোধি সরোবর। পুকুরে মাছের ভিড়। দর্শনার্থীরা তাদের খাবার দেন। |
পরের দিন সকালে বেরিয়ে পড়লাম রাজগীর ও নালন্দার উদ্দেশ্যে। রাজগীর প্রায় ৮৫ কিলোমিটার পথ। সেখান থেকে নালন্দা আরও ১৫ কিলোমিটার। প্রথমে সোজা নালন্দা চলে গেলাম। ইতিহাসের পাতায় দেখা সেই প্রধান স্তুপটির ছবি একেবারে চোখের সামনে। এটি সারিপুত্রের সমাধি। প্রবাদ, বুদ্ধদেব যখন এই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন দু’জন তাঁর কাছে দীক্ষা নেন। তাঁদেরই এক জন সারিপুত্র।
চার দিকে অনেক ছোট বড় সমাধি। দেখতে দেখতে মন চলে যাচ্ছিল অতীতে। দশ হাজার ছাত্র, দু’হাজার শিক্ষক। ন’তলা উঁচু লাইব্রেরি। ছাত্রদের প্রত্যেকের নিজের নিজের ঘর। কোরিয়া, জাপান, চিন, তিব্বত-সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে গবেষক ও ছাত্ররা আসতেন। আর এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ছিল অসাধারণ এক স্থাপত্যকীর্তির নমুনা।
মিউজিয়াম ঘুরে সরকারি ভোজনালয়ে দুপুরের খাওয়া সেরে বেরিয়ে পড়লাম রাজগীরের দিকে। আধঘণ্টায় পৌঁছে গেলাম। রোপওয়েতে চেয়ারে বসে ঝুলতে ঝুলতে সোজা এক পাহাড়ের মাথায়। রোমাঞ্চকর সেই যাত্রাপথের বর্ণনা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। ঘণ্টা খানেক পাহাড়ে কাটিয়ে রোপওয়েতে চেপেই নেমে এলাম। দেখে নিলাম গরম জলের কুণ্ডটি। পরের দিন সকালে বেরলাম বাকি মন্দিরগুলি দেখতে। একের পর এক বর্মা মন্দির, তিব্বত মন্দর, বাংলাদেশ বুদ্ধ মন্দির, চাইনিজ মন্দির, ভিয়েতনাম মন্দির দেখে শেষে মিউজিয়াম দেখলাম। পৃথিবীর বহু দেশ এখানে মন্দির গড়েছে।
ফিরে এলাম। কিন্তু এতদিন পরেও মন যেন পড়ে আছে অতীতের সেই গৌরবেই। মনটা যেন হারিয়েই ফেলেছি ইতিহাসের পাতায়।
|
(সঙ্গের ছবিটি লেখকের পাঠানো)
|
নিজেই লিখুন আনন্দবাজারে। অনধিক ৫০০ শব্দে।
খামে ‘পুজো এক্সপ্রেস’ লিখে পাঠিয়ে দিন: আনন্দবাজার পত্রিকা, এ ১০, ডক্টরস কলোনি,
সিটি সেন্টার, দুর্গাপুর - ৭১৩২১৬।
অবশ্যই সঙ্গে দেবেন ছবি
(নিজেদের বাদে)।
ছবি মেল করতে চাইলে
durgapuredit@abp.in
(লেখা নির্বাচনে সম্পাদকীয়
বিভাগের বিবেচনাই চূড়ান্ত) |
|