ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডে অভিযুক্ত তিন ‘ফেরার’ ডিরেক্টর আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানালেন। বৃহস্পতিবার আলিপুরের জেলা ও দায়রা আদালতে ওই আর্জি পেশ করা হয়। ২৯ ফেব্রুয়ারি তার শুনানি হবে। আলিপুরের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট এ দিনই আমরির আট কর্তাকে ১ মার্চ পর্যন্ত জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। চিকিৎসক মণি ছেত্রীর জামিনের মেয়াদ ওই তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। জামিন চেয়ে আমরির যে-সব কর্তা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন, তাঁদের আর্জি নিয়ে আজ, শুক্রবার রায় দেওয়া হবে।
আমরির ‘ফেরার’ তিন ডিরেক্টর রাহুল তোদি, আদিত্যবর্ধন অগ্রবাল এবং প্রীতি সুরেখার তরফে এ দিন জেলা ও দায়রা বিচারকের আদালতে আগাম জামিনের আর্জি পেশ করা হয়। তাঁদের আইনজীবী সেলিম রহমান জানান, পুলিশের কাছে আমরি মামলার ‘কেস ডায়েরি’ চেয়েছেন বিচারক। তাঁদের নামে হুলিয়া জারি হলেও আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় আদালত তার উপরে স্থগিতাদেশ জারি করেছে। ২০ ফেব্রুয়ারি এই বিষয়ে শুনানি হবে।
আলিপুরের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে এ দিন শ্রবণ তোদি, দয়ানন্দ অগ্রবাল, রাধেশ্যাম গোয়েনকা, মণীশ গোয়েনকা, প্রশান্ত গোয়েনকা, রবি তোদি, সঞ্জীব পাল এবং সত্যব্রত উপাধ্যায়ের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল। অন্তর্বর্তী জামিনে থাকা মণি ছেত্রীকে স্থায়ী জামিন দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়। তবে হাইকোর্টে কয়েক জনের জামিনের আর্জির শুনানি চলায় আলিপুর আদালতে তাঁদের জামিনের বিষয়ে সওয়াল হয়নি।
অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য, পুলিশ তাঁদের মক্কেলদের বিনা কারণে জেল-হাজতে রাখতে চাইছে। মাসখানেক ধরে তাঁদের জেরা করেননি তদন্তকারীরা। জেলবন্দি কয়েক জন আমরি-কর্তা যথাযথ চিকিৎসার অভাবে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলেও জানানো হয়। সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান, তদন্তের স্বার্থে যে-কোনও সময়েই জেলে গিয়ে অভিযুক্তদের জেরা করার প্রয়োজন দেখা দিতে পারে। তিনি বলেন, অসুস্থ কোনও বন্দিকে প্রয়োজনে চিকিৎসার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠিয়ে দেবেন জেল-কর্তৃপক্ষই। |