আচমকা ঝড়বৃষ্টিতে নতুন করে সমস্যায় পড়লেন হিঙ্গলগঞ্জের রমাপুর গ্রামের দুর্গতেরা। ত্রাণ হিসেবে তাঁরা যে পলিথিন পেয়েছিলেন, তার মধ্যে অনেকগুলিই উড়ে গিয়েছে। ভেঙে গিয়েছে তাঁদের আস্তানা। বৃষ্টিতে নতুন করে জলমগ্ন হয়েছে গ্রাম।
গত শুক্রবার ভরা কোটালের ধাক্কায় রায়মঙ্গলের নদীবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় রমাপুরের পশ্চিমপাড়া, আড়িপাড়া, মন্দিরঘাটা এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। কয়েকশো বিঘা জমির ফসল, মেছোভেড়ি নোনা জলের তলায় চলে যায়। ঘরে জল ঢুকে যাওয়ায় অন্তত ৫০০ মানুষ বাঁধের ধারে এবং উঁচু জায়গায় আশ্রয় নেন। সেই জল এখনও নামেনি। এত দিন তাঁরা প্রশাসনের দেওয়া পলিথিন টাঙিয়ে অস্থায়ী আস্তানা বানিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। কিন্তু বুধবার রাতের ঝড়বৃষ্টিতে সেই সব পলিথিনের অনেকগুলিই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিছু পলিথিন উড়ে গিয়েছে। এ পানীয় জলের তীব্র আকাল দেখা দিয়েছে ওই এলাকায়। ত্রাণ নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে দুর্গতদের।
দুর্গত গফুর গাজি এবং খগেন মণ্ডল বলেন, “জল ঢোকায় ঘর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তাই বাঁধের ধারে চলে এসেছি। ঝড়বৃষ্টিতে পলিথিনও উড়ে গিয়েছে। খোলা আকাশের নীচেই রাত কাটাতে হচ্ছে।” হরিপদ সর্দার নামে রমাপুরের আর এক বাসিন্দা বলেন, “খাবার মিলছে না। তাই সজনে ফুল এবং গাজর ফুটিয়ে পেট ভরাতে হচ্ছে।”
সংশ্লিষ্ট সাহেবখালি পঞ্চায়েতের প্রধান ভবানী মিস্ত্রি বলেন, “দ্রুত বাঁধ মেরামতির জন্য সব রকম চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু জল না নামলে সেই কাজ সম্ভব নয়। দুর্গতদের সাধ্যমতো ত্রাণের চেষ্টা করা হচ্ছে। আরও ত্রাণ এবং পলিথিনের জন্য মহকুমা প্রশাসনকে বলা হয়েছে।”
এ দিকে, বৃহস্পতিবার ভোরে ঝড়বৃষ্টির মধ্যে পড়ে হিঙ্গলগঞ্জের সর্দারপাড়ার কাছে ইমারতি সরঞ্জাম বোঝাই দু’টি বড় ভুটভুটি উল্টে যায়। হাসনাবাদ থেকে হিঙ্গলগঞ্জের পারঘুমটি আসছিল ভুটভুটিগুলি। সওয়ারিরা সাঁতরে পাড়ে ওঠেন। রাত পর্যন্ত একটি ভুটভুটি উদ্ধার করা গিয়েছে। সন্দেশখালি ধামাখালি ফেরিঘাটের একটি নৌকাও দড়ি ছিড়ে ভেসে যায়। |