|
|
|
|
ছাত্রের অপমৃত্যু ঘিরে নানা প্রশ্ন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
রেললাইনের ধার থেকে মিলল এক কিশোরের দেহ। বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়্গপুর শাখার মেচেদা স্টেশনের কাছে সেতুর নীচে দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার লোকজন। খবর পেয়ে রেল পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত কিশোরের নাম শেখ মইদুল ইসলাম (১৬)। বাড়ি নন্দীগ্রামের মহম্মদপুর গ্রামে। রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরের মাথায় ও বাঁ-চোখে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাঁর পরিবারের লোকের দাবি, মইদুলকে খুন করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্যও পুলিশকে অনুরোধ করেছেন তাঁরা।
পরিবারের লোক জানান, মহম্মদপুর শিবনারায়ণ শিক্ষায়তনের দশম শ্রেণির ছাত্র মইদুল বরাবর পড়াশোনায় ভাল। তার দাদা শেখ মেহবুব আলম বলেন, “বুধবার বিকেল ৪টে নাগাদ টিউশন পড়তে যাচ্ছি বলে বেরিয়েছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ মায়ের মোবাইলে ফোন করে জানায়, ‘চিন্তা করতে হবে না। আমি বন্ধুদের সঙ্গে আছি’। বলেই ফোন কেটে দেয়। কিছুক্ষণ পরে ওই নম্বরে ফোন করে জানতে পারি, ফোনটা মেচেদার। কিন্তু ভাইয়ের কাছে মোবাইল নেই। তাই পরে রাত ৮টা নাগাদ আরও এক বার ওই নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। তখন ফোন বন্ধ ছিল।” স্থানীয় চৌরঙ্গিবাজারে এক শিক্ষকের কাছে পড়তে যেত ওই ছাত্র। মইদুল সেখান থেকে মেচেদায় কী করে পৌঁছল তা নিয়ে সন্দেহ হয় বাড়ির লোকের। খোঁজখবর শুরু হয়। রাতে নন্দীগ্রাম থানায় নিখোঁজ ডায়েরি হয়। পরে এ দিন মেচেদা স্টেশনের কাছে এক কিশোরের দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন এলাকার লোক। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে তমলুক হাসপাতালে গিয়ে মইদুলের দেহ শনাক্ত করেন তার বাড়ির লোক। |
|
|
|
|
|