|
|
|
|
কাঁথিতে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
ফের উত্তপ্ত কাঁথির শুনিয়া লাগোয়া অঞ্চল। বুধবার রাতে এক তৃণমূল নেতা ও তাঁর বাবার গুলিবিদ্ধ হওয়ার জেরে বৃহস্পতিবার আঁউরাই, আমতলিয়া ও কানাইদিঘি অঞ্চলে বাড়ি ভাঙচুর, অগ্নি-সংযোগের ঘটনা ঘটল। আক্রান্ত হল পুলিশও। মারিশদা থানার ওসি সঞ্জয় শ্রীবাস্তব-সহ ৯ জন পুলিশকর্মী আহত হন। সঞ্জয়বাবুর হাত ভাঙে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার রাত ১১টা নাগাদ আঁউরাই অঞ্চলের কুলঞ্জরা গ্রামে দেশপ্রাণ ব্লকের তৃণমূল নেতা দেবাশিস ভুঁইয়ার বাড়িতে তিন সশস্ত্র দুষ্কৃতী গুলি চালায়। তৃণমূল নেতার কোমর, ডান-পা ও হাতে গুলি লাগে। তাঁকে বাঁচাতে এসে বাবা সহদেববাবুও গুলিবিদ্ধ হন। রাতেই দু’জনকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দেবাশিসবাবুকে পরে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাতেই কাঁথির আইসি সুব্রত বারিক পুলিশ বাহিনী নিয়ে কুলঞ্জরা গ্রামে যান। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কুলঞ্জরা লাগোয়া গ্রামগুলিতে তৃণমূলের বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিল থেকেই এলাকার বাম নেতা-কর্মীদের বাড়ি ও দোকানপাটে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ চালানো হয় বলে অভিযোগ। কানাইদিঘি গ্রামে সিপিআইয়ের জেলা কমিটির দুই সদসের বাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রশান্ত পাত্রের অভিযোগ, “বিধানসভা ভোটের পরেই বামকর্মীরা তৃণমূলের অত্যাচারে ঘরছাড়া। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে তৃণমূল হামলা চালিয়েছে।” তাঁর দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন দেবাশিসবাবুরা। তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেনের অভিযোগ, “দেবাশিসকে সিপিএমের আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই গুলি করেছে। ওরা এলাকায় ফের সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চায়।” লুঠপাট-অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে ‘খড়ের গাদা পুড়িয়ে সিপিএমের নাটক’ বলেও কটাক্ষ করেন তৃণমূল নেতা। এসপি অশোক প্রসাদ জানান, তদন্ত চলছে। |
|
|
|
|
|