|
|
|
|
ফের ভাঙা হবে এগারোশো ভোটারের বুথ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ভোটদান গণতন্ত্রে নাগরিকের মস্ত বড় অধিকার। প্রত্যেক ভোটার যাতে প্রতিটি বুথে নির্বিঘ্নে এবং দ্রুত ভোটদান করতে পারেন, সে জন্য ১১০০-র বেশি ভোটার রয়েছে, এমন বুথ ভেঙে দু’টি বুথ তৈরির নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আবার বুথ করতে হবে ভোটারদের বাসস্থানের কাছেই। কমিশনের নির্দেশ কার্যকরী করতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন পদক্ষেপ শুরু করল। বৃহস্পতিবার এই বিষয়টি জানাতে কালেক্টরেটের মিটিংহলে সর্বদল বৈঠক হল। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এর পর মহকুমা ও ব্লকস্তরেও একই রকম বৈঠক করে বুথ ভাঙার কাজ শুরু হবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। জেলা নির্বাচন দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক পার্থ চক্রবর্তী বলেন, “নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ কার্যকর করতে সব ধরনের পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”
পশ্চিম মেদিনীপুরে এখন ভোটার-সংখ্যা ৩৭ লক্ষ ৭৩ হাজার ৯০৮ জন। বুথের সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ১৪৮টি। আগে বেশি ভোটারযুক্ত বুথগুলি ভেঙে সেই বুথ-চত্বরেই অগস্যুলারি বুথ করা হত। নির্বাচন কমিশন ভোটে একশো শতাংশ ভোটারেরই অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চাইছে। সে জন্য বুথে দ্রুত ভোটদানের পরিবেশও সুনিশ্চিত করতে চাওয়া হচ্ছে। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে যাতে তাঁদের ক্লান্ত হতে না হয়, সে লক্ষ্যেই বেশি ভোটারের বুথ ভেঙে দু’টি করার এই সিদ্ধান্ত। প্রশাসনের হিসাব, জেলায় ১১০০-র বেশি ভোটারের বুথ ১১৫০টি। এই বুথগুলিও ভাঙার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। তবে, স্কুল, শিশু শিক্ষাকেন্দ্র, মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র, আইসিডিএস কেন্দ্রের মতো সরকারি ও আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানেই বুথ করা হয়। নতুন বুথ করতে সব ক্ষেত্রে এই সুযোগ মিলবে কি না, সে নিয়ে কিছুটা সংশয় রয়েছে প্রশাসনের অন্দরে। জেলায় জোর কদমে সচিত্র পরিচয়পত্র তৈরির কাজও চলছে। ইতিমধ্যে জেলায় ৯৯.১৪ শতাংশ ভোটারের কাছেই সচিত্র পরিচয়পত্র পৌঁছেছে। যাতে একশো শতাংশ ভোটারের কাছেই সচিত্র পরিচয়পত্র থাকে, সে জন্য আজ, ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত বিশেষ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। |
|
|
|
|
|