|
|
|
|
বিস্ময় ঘাটালে |
স্ট্যাম্প-কাণ্ডে নালিশ প্রত্যাহার শুভেন্দুবাবুর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
তাঁর অজ্ঞাতসারে রাবার স্ট্যাম্প তৈরি করে ব্যবহার-সংক্রান্ত অভিযোগে থানায় ডায়েরি করেও অভিযোগ প্রত্যাহার করলেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ তথা যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী।
সাংসদের নামে রাবার স্ট্যাম্প তৈরি করে ঘাটাল শহরে একটি ‘চক্র’ সক্রিয় হয়েছেএই খবর জানাজানি হতেই গত ৫ ফেব্রুয়ারি শুভেন্দুবাবুর আপ্ত-সহায়ক হিমাংশু মান্না ঘাটাল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন এবং ‘দোষী ব্যক্তিদের’ চিহ্নিত করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও অনুরোধ করেন। এ নিয়ে ঘাটাল শহর-সহ মহকুমা জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। অভিযোগ পেয়ে ঘাটাল থানার পুলিশও নড়েচড়ে বসে। দলীয় ভাবেও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব তদন্ত শুরু করে। তদন্তে ঘটনায় জড়িত ব্যক্তি এবং সংশ্লিষ্ট একটি দোকান মালিককে চিহ্নিতও করে পুলিশ। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই বৃহস্পতিবার সকালে সাংসদের আপ্ত-সহায়ক অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নিয়ে পুলিশকে আর না এগোতে অনুরোধ করেছেন। এর ফলেও ফের শোরগোল পড়েছে ঘাটালে। সাংসদের নিজের বক্তব্য, “ছোটখাটো বিষয়। বলার কী আছে!” আর আপ্ত-সহায়ক হিমাংশুবাবুর মন্তব্য, “বিষয়টি নিয়ে দলীয়স্তরে খোঁজ নিয়েছিলাম। জানতে পারি কোনও বদ উদ্দেশ্যে ওই রাবার স্ট্যাম্প তৈরি হয়নি। তাই পুলিশ যাতে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয়, সেই অনুরোধ করেছি।” এর পরেও কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, সাংসদের নামে কেন ওই স্ট্যাম্প তৈরি করা হয়েছিল। বদ উদ্দেশ্যের ব্যাপার-স্যাপার না-থাকলে সাংসদের নির্দেশে কেনই বা তাঁর আপ্ত-সহায়ক থানায় অভিযোগ করেছিলেন! হিমাংশুবাবু বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি। তবে পুলিশ ও তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের ঘাটাল ব্লকের সাধারণ সম্পাদক বিকাশ কর-সহ দলেরই একাধিক সদস্য ঘাটাল শহরের একটি দোকান থেকে ওই স্ট্যাম্প তৈরি করিয়েছিলেন। বিকাশ বাবুর দাবি, “আমি সাংসদের আপ্ত-সহায়কের নির্দেশেই ওই রাবার স্ট্যাম্প তৈরি করিয়েছিলাম। কিন্তু আপ্ত-সহায়কের সঙ্গে দেখা না হওয়ায় তাঁকে ওই স্ট্যাম্প দিতে পারিনি।” যোগাযোগ-ব্যবস্থার এই উন্নতির যুগে টেলিফোনেই বা কেন বিকাশবাবুরা আপ্ত-সহায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করে নেননিসেটাও অবশ্য প্রশ্নই। এমনকী এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও প্রকাশ্যে আসে ঘাটালে। স্ট্যাম্প-কাণ্ডে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সরব হয় তৃণমূলেরই একাংশ। দলকে ব্যবহার করে স্বার্থসিদ্ধির অভিযোগ পর্যন্ত উঠেছিল স্থানীয় একাংশ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সাংসদের আপ্ত-সহায়কের চিঠিতে মামলা বন্ধ হওয়ায় তৃণমূলেরই সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের একাংশ ‘হতাশ’।
|
|
|
|
|
|