|
|
|
|
বিদ্যুৎ না পেয়ে পথ অবরোধ, মারধর বিডিওকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
সেচের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার দাবিতে পথ অবরোধ করেছিলেন চাষিরা। অবরোধ তোলার পর চাষিদের একাংশের হাতেই প্রহৃত হলেন পটাশপুর ২-এর বিডিও ত্রিদিব সর। ঘটনাস্থলেই ছিলেন পটাশপুরের বিধায়ক জ্যোতির্ময় কর, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চন্দন সাউ, পটাশপুর থানার ওসি বিপ্লব হালদার-সহ প্রশাসনের কর্তারা। অভিযোগ, বিডিওকে চড়, ঘুঁষি মেরে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়। মাথায় চোট পান তিনি। সেই অবস্থাতায় তাঁকে লক্ষ করে ফের ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। তাঁকে উদ্ধার করে প্রশাসনিক ভবনে পৌঁছনো হলেও অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ভর্তি করা হয় এগরা মহকুমা হাসপাতালে। ওসি বলেন, “মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনায় যুক্ত কয়েক জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে কেউ গ্রেফতার হয়নি।” তবে ত্রিদিববাবুর কথায়, “চাষের ক্ষতি হচ্ছে বলে গ্রামবাসীরা উত্তেজিত ছিলেন। ওঁরা ভুল বুঝেছেন।” তাঁর দাবি, প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে পথ অবরোধ চললেও পুলিশ যথেষ্ট সহানুভূতি দেখিয়েছিল। অবরোধ উঠে যাওয়ার মুহূর্তে চাষিরা আক্রমণ করেন। পটাশপুর-২ ব্লকের পঁচেট ও খাঁড় পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন গ্রামে গত কয়েক দিন ধরে ব্যাপক লোডশেডিং চলছে। বিদ্যুৎ থাকলেও লো-ভোল্টেজের জন্য বোরো চাষে পাম্প চালানো যাচ্ছে না। তার জেরেই বৃহস্পতিবার সকালে এগরা-বাজকুল রোডের পঁচেট মোড় অবরোধ করেন শ’তিনেক চাষি। মহকুমার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরুদ্ধ থাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পরে ঘটনাস্থলে যান পটাশপুরের বিধায়ক, বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, পটাশপুর থানার ওসি-সহ পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা। বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হলে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা। আর তার পরেই ঘটে বিডিও-কে আক্রমণের ঘটনা।
|
|
|
|
|
|