মেদিনীপুরে ফের বিক্ষোভের মুখে সুশান্ত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কথা ছিল, জামিনে মুক্তির পরে প্রথমবার মেদিনীপুরে আসায় দলের কর্মীরা তাঁকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা করবেন। কিন্তু গড়বেতার সিপিএম বিধায়ক সুশান্ত ঘোষকে বৃহস্পতিবার ফের বিক্ষোভের মুখেই পড়তে হল মেদিনীপুর আদালত চত্বরে। সঙ্গে পতাকা না থাকলেও বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, তাঁরা গড়বেতার তৃণমূল সমর্থক। ‘সুশান্ত ঘোষের ফাঁসি চাই’য়ের মতো স্লোগানও ওঠে। পুলিশকেই বিধায়কের যাতায়াতের পথ করে দিতে হয়।
|
|
বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর আদালতে সুশান্ত ঘোষ। |
দাসেরবাঁধ কঙ্কাল-কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্ট থেকে সুশান্তবাবু শর্তাধীনে জামিন পেয়েছেন। মেদিনীপুরের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা-দায়রা আদালতে বৃহস্পতিবার সেই মামলাতেই তিনি হাজিরা দিতে আসেন। জামিন পাওয়ার পর থেকে কলকাতাতেই রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। কলকাতা থেকে টানা গাড়িতে সকাল দশটা নাগাদ এ দিন সোজা আদালত চত্বরে পৌঁছন। সেখান থেকেই দুপুরে ফিরে যান কলকাতা।
সুশান্তবাবু ছাড়াও এই মামলায় জেলবন্দি ১৯ জনের মধ্যে ১৮ জনকেও (এক জন অসুস্থ) এ দিন আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। সুশান্তবাবুর জামিনের উদাহরণ টেনে বিচারক অভিজিৎ সোমের এজলাসে বন্দিদের প্রত্যেকেরই জামিনের আবেদন করা হয়। সব আবেদনই অবশ্য নাকচ করে দেন বিচারক। এ দিন মামলার চার্জগঠনও আর হয়নি। আগামী ৬ মার্চ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
|
|
সুশান্ত ঘোষের হাজিরার দিনে কোর্টে বিক্ষোভ |
আলিপুর জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার দিন সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব সুশান্তবাবুকে লাল গোলাপ দিয়ে বরণ করেছিলেন। মেদিনীপুর শহরের সিপিএম নেতা-কর্মীরাও এ দিন তেমন কিছু করার কথাই ভেবেছিলেন। কিন্তু একদা ‘লালদুর্গ’ মেদিনীপুরের ‘পরিবর্তিত’ রাজনৈতিক বাতাবরণ, আদালত চত্বরে বিক্ষোভের পরিস্থিতিতে ফুল-অভ্যর্থনার ভাবনা ফেলে গুটিকয় নেতা-কর্মী আদালতে এসে কুশল বিনিময় করে যান বিধায়কের সঙ্গে।
দুপুরে কলকাতা ফিরে যাওয়ার পথে বৃদ্ধা মা মৃন্ময়ীদেবীকে খড়্গপুর গ্রামীণের কৃষ্ণনগর এলাকা থেকে গাড়িতে তুলে নেন সুশান্তবাবু। অন্য একটি গাড়িতে করে সেখানে অপেক্ষা করছিলেন তাঁর মা।
সুপ্রিম কোর্টের শর্তে বেনাচাপড়ায় আদিবাড়িতে যাওয়ার উপায় নেই সুশান্তবাবুর। তাই জামিনে মুক্তির পরে মা-কে দেখতেও সেখানে যেতে পারেননি তিনি।
|
ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল |
|