দুষ্কর্মে উদ্বেগ |
বুধবার কেরানিতলার গুলি-কাণ্ডে এখনও কেউ ধরা পড়েনি। এ দিকে একের পর এক অপরাধের ঘটনায়
‘নিরুপদ্রব’ তকমা ঘুচে উদ্বেগের শহর হয়ে উঠছে মেদিনীপুর। অসামাজিক কার্যকলাপ-বৃদ্ধি, বেআইনি
নির্মাণ,
হঠাৎ গজানো
ক্লাবের
দৌরাত্ম্য নিয়ে ক্ষুব্ধ মানুষজন। প্রশাসনের অস্তিত্ব নিয়েই মাঝেমধ্যে
সন্দেহ জাগছে তাঁদের মনে।
ক্ষমতাসীন
রাজনৈতিক দলের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন |
|
পুলিশ ব্যবস্থা নিক
মেদিনীপুর শান্ত শহর। ইদানীং দুষ্কৃতীদের দাপট বাড়ছে। শহরকে সুরক্ষিত রাখতে পুলিশ-প্রশাসনকে আরও তৎপর হতে হবে। রাতে বিভিন্ন এলাকায় সে ভাবে নজরদারিও থাকে না। রাস্তায় বেরোলেই ভয় হয়। তার উপর গুলি চালানোর ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে। সুদেষ্ণা দাস। বধূ |
|
|
অবৈধ নির্মাণ হচ্ছে কেন
শহরে গুলি চালানোর ঘটনায় উদ্বেগ তো বাড়বেই। আগে শহরে সমাজবিরোধীদের যাতায়াত তেমন ছিল না। ইদানীং বাড়ছে। পুলিশকে আরও তৎপর হতে হবে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ নির্মাণ, রাস্তার পাশে ক্লাবঘর গজিয়ে উঠছে। এ সবের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ জরুরি।
অশোক সাউ। ব্যবসায়ী |
|
|
পুলিশকে তৎপর হতে হবে
শহরের সুরক্ষার দিকে আরও নজর দিতে হবে। সর্বত্র পথবাতি লাগাতে হবে। এমন অনেক অলিগলি রয়েছে, যেখানে পথবাতি নেই। অসামাজিক কাজের জন্য এ সব এলাকাকেই বাছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ আরও তৎপর হলে তবেই শহরের বুকে এমন অনভিপ্রেত ঘটনা কমতে পারে।
অনিকেত পাল। ছাত্র |
|
|
সন্ধের পরে ভয় করে
সন্ধের পর রাস্তায় বেরোলেই কেমন ভয় করে। বিভিন্ন এলাকায় পর্যাপ্ত পথবাতিও নেই। অন্ধকারের সুযোগে দুষ্কৃতীরা চুরি-ছিনতাই চালাচ্ছে। পুলিশের উচিত রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি বাড়ানো। অসামাজিক কাজকর্ম বন্ধ করতে আরও তৎপর হওয়া।
পৌলমী দাস। ছাত্রী |
|
|
প্রশাসনকেই দেখতে হবে
শহরে দিনের বেলায় গুলি চলল। দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গেল। ভাবাই যায় না। এই প্রথম নয়, আগেও শহরে গুলি চলেছে। কেন শহরে সমাজবিরোধীদের উপদ্রব বাড়ছে, তা পুলিশ-প্রশাসনকেই দেখতে হবে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে শহরে অসামাজিক কাজকর্ম চলছে।
অর্পিতা কুণ্ডু। শিক্ষিকা |
|
|
চাই দ্রুত পদক্ষেপ
সদর শহর মেদিনীপুরে প্রতিদিন মানুষের যাতায়াত লেগেই থাকে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় আবার নতুন বসতি উঠছে। কিন্তু সে ভাবে পুলিশি নজরদারি নেই। এরই সুযোগ নিচ্ছে দুষ্কতীরা। কেরানিতলায় গুলি চালানোর ঘটনা উদ্বেগজনক। পুলিশের উচিত গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করা।
অনির্বাণ কর মহাপাত্র। শিক্ষক |
|