পাঁচ-পাঁচ বার জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল। রাজারহাটের বেদিক ভিলেজে আড়াই বছর আগেকার হাঙ্গামার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত গফ্ফর আলি মোল্লাকে বৃহস্পতিবার জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রায় আড়াই বছর জেল-হাজতে থাকার পরে জামিন পেল সে। ওই ঘটনা নিয়ে বারাসত আদালতে বিচার চলছে। গফ্ফরের বিরুদ্ধে গুলি চালানো ও খুনের অভিযোগ রয়েছে। ২০০৯ সালের ২৩ অগস্ট বেদিক ভিলেজের লাগোয়া মাঠে একটি ফুটবল ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের বাসিন্দা আমিরুল মোল্লা। সেখানেই গণ্ডগোলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। ওই ঘটনায় গফ্ফরেরা সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে আক্রমণ করে গুলি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ। অভিযুক্তেরা বেদিক ভিলেজে আশ্রয় নিলে সেখানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ওই ভিলেজ থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। গফ্ফর ছাড়াও ভিলেজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজকিশোর মোদী, ম্যানেজার বিপ্লব বিশ্বাস, কালোবাবু-সহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে খুন, অস্ত্র আইনের পাঁচটি ধারায় অভিযোগ আনা হয়। গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। চার্জশিটও পেশ করে রাজারহাট থানার পুলিশ। তার পর থেকে জেলেই ছিল গফ্ফর। হাইকোর্টে গফ্ফরের আইনজীবী এ দিন বলেন, বিচার শুরু হলেও গত ছ’মাসে মাত্র পাঁচ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। শেষ সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে ৩০ জানুয়ারি। ফের সাক্ষ্য নেওয়ার কথা ১২ মার্চ। দীর্ঘমেয়াদি এই বিচারে এক জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে রাখা যায় না। সরকারি কৌঁসুলি অপূর্ব দত্ত জামিনের বিরোধিতা করলেও আটক রাখার তেমন কোনও জোরালো যুক্তি দেখাতে পারেননি। বিচারপতি অসীম রায় ও বিচারপতি তরুণ গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, কোনও অভিযুক্তকেই অনির্দিষ্ট কাল আটকে রাখা যায় না। এই যুক্তিতেই এ দিন জামিন মেলে গফ্ফরের। |