রাতের অন্ধকারে নির্মীয়মাণ ‘কমিউনিটি’ হল ভেঙে ফেলার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দুবরাজপুরের বনহরি গ্রামে। পুলিশ জানায়, ধৃতেরা হলেন লক্ষ্মীকান্ত দাস ও জহরলাল দাস। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধৃতেরা। তাঁদের দাবি, “আমাদের ফাঁসানো হয়েছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বনহরি গ্রামের দাসপাড়ায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের গা ঘেঁষে তৈরি হচ্ছিল ওই ‘কমিউনিটি’ হলটি। স্থানীয় লক্ষ্মীনারায়ণপুর পঞ্চায়েত ১ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকা এই ঘরটির জন্য বরাদ্দ করেছে। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত প্রায় ৬ ফুট গাঁথনির কাজ হয়ে গিয়েছিল। পাশাপাশি ওই ঘর ও সংলগ্ন এলাকাকে ঘিরে ফেলার জন্য সীমানা প্রাচীরের ভিত খোঁড়া হয়েছিল। দাসপাড়ার বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, মঙ্গলবার গভীর রাতে শব্দ শুনে বাইরে বেরিয়ে দেখেন ওই নির্মীয়মাণ কমিউনিটি হলের কাছাকাছি কয়েকটি বাড়ির লোকজন আরও কিছু লোকজনকে এনে ওই ঘরের দেওয়াল ভেঙে ফেলছেন। রাজকুমার দাস, জংলা দাস, সুখী দাসদের অভিযোগ, “বাধা দিতে গেলে ওরা ভয় দেখায়। তাই রাতে কথা বাড়াইনি। বৃহস্পতিবার সকালে সাত জনের নামে দুবরাজপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। প্রধানকেও জানানো হয়েছে।”
|
তাঁদের দাবি, “এত দিন পর্যন্ত জায়টা খালি পড়েছিল। কাছাকাছি দু’একটি বাড়ির বাসিন্দারা তা ব্যবহার করছিলেন। ঘিরে ফেলা হবে জেনে তাঁরা আপত্তি জানিয়েছিলেন। কিন্তু গ্রামের সকলে যেখানে একমত, সেখানে তাঁদের আপত্তি টেকেনি। সেই রাগে এই কাজ করেছেন।” লক্ষ্মীকান্ত দাসের পরিবার বাস করেন ঠিক ওই কমিউনিটি হলের পিছনে। তাঁর স্ত্রী গীতা দাস ও পুত্রবধূ রুমা দাস বলেন, “যেহেতু জায়টা আমাদের নয়, ফলে অসুবিধা হলেও আমরা কাজে বাধা দিইনি। ঘর ভাঙার সঙ্গে আমাদের বাড়ির কেউ জড়িত নয়। গ্রামের মধ্যে আমাদের পরিবার স্বচ্ছল হওয়ায়, আমাদের হেনস্থা করতে গ্রামের কিছু মানুষ মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।” জহরলাল দাসের স্ত্রী মিঠু দাস বলেন, “আমাদের বাড়িটা বেশ খানিটকা দূরে। ফলে ওই জায়গা ব্যবহার করার কোনও দরকার নেই। অকারণে আমার স্বামী কেন এই কাজ করে অসুবিধায় পড়বেন?” এ ব্যাপারে পঞ্চায়েত প্রধান মহম্মদ ইসমাইলও লিখিত ভাবে বিডিও, থানায় জানিয়েছেন। অবশ্য তাঁর অভিযোগে কারও নাম উল্লেখ ছিল না। প্রধান বলেন, “যেহেতু নিজের চোখে ঘটনাটি ঘটতে দেখিনি, তাই কারও নাম উল্লেখ করিনি। প্রকৃত অবরাধীদের খুঁজে বের করা পুলিশের কাজ।” পুলিশ জানায়, তদন্ত চলছে। |