আগাম নোটিস ছাড়াই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল দুর্গাপুরের শঙ্করপুরে কঠিন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রকল্পটি। পরে পুরসভার মধ্যস্থতায় প্রকল্পটি চালু হলেও বেশ কিছু কর্মীকে আর ফিরিয়ে নেওয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার তাঁরা মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখান। মহকুমাশাসক আয়েষা রানী এ জানান, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |
কেন্দ্রীয় জওহরলাল নেহেরু ন্যাশনাল আরবান রিনিউয়াল মিশন প্রকল্পে ২০১০ সালে ওই কঠিন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রটি গড়ে ওঠে। পুরসভা বর্জ্য সংগ্রহ করে তা গাড়ি করে পাঠিয়ে দেয় এই কেন্দ্রে। এর পরে তা বিজ্ঞানসম্মত ভাবে প্রক্রিয়াকরণ করে প্লাস্টিক, সার তৈরি করা হয়। কর্মীর সংখ্যা ১১৫ জন। ১ ফেব্রুয়ারি সকালে কর্মীরা ওই কেন্দ্রে গিয়ে দেখেন, নোটিস বোর্ডে লিখে দেওয়া হয়েছে, আর কোনও কর্মীকে কাজে নেওয়া হবে না।
কেন্দ্রের এক আধিকারিক দাবি করেন, সব কর্মীকে কাজ দেওয়ার মতো বর্জ্য পুরসভা পাঠাতে পারে না। ফলে সংস্থার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। এই অবস্থায় কর্মী ছাঁটাই করা ছাড়া উপায় নেই। সে কথা কর্মীদের তাঁরা বলেছেন। প্রতিবাদে কর্মীরা আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন। বাধ্য হয়ে তাঁরা কেন্দ্রটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত পুরসভার মধ্যস্থতায় দু’দিন পরে কেন্দ্রটি ফের চালু হয়। অভিযোগ, ৫৪ জন কর্মীকে আর কাজে ফিরিয়ে নেওয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার তাঁরাই মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভকারীদের পক্ষে জয়দেব বাউরি, রাজেশ বাউরি, ধর্মপদ ঘোষরা অভিযোগ করেন, তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা কেন্দ্রের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে নিজেদের লোকদের কাজে ঢোকানোর ব্যবস্থা করে নিয়েছেন। বঞ্চিত রয়ে গিয়েছেন ৫৪ জন। বাধ্য হয়ে তাঁরা সিটু নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সিটু-র দুর্গাপুর ২ পূর্ব জোনাল সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক পঙ্কজ রায় সরকারের দাবি, “ওদের কেউ কেন্দ্রটি যেখানে নির্মিত হয়েছে সেখানে চাষের কাজ করতেন। কেউ নির্মাণ কাজে যুক্ত ছিলেন। তৃণমূলের সমর্থক-কর্মীরা কাজ ফিরে পেলেও ওই ৫৪ জন কাজ পাচ্ছেন না।” তৃণমূলের জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি অপূর্ব মুখোপাধ্যায় বলেন, “এমন হওয়া উচিত নয়। খোঁজ নিয়ে দেখছি।” |