নতুন সাজে সেজে উঠছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বৃহত্তম শৈব তীর্থ জল্পেশ মন্দির। জেলা পরিষদের আর্থিক সহযোগিতায় অত্যাধুনিক পর্যটক আবাস তৈরির কাজ শেষ। শুরু হয়েছে মন্দিরে যাতায়াতের রাস্তা সম্প্রসারণ। দক্ষিণ ভারতের মন্দিরের ধাঁচে মন্দিরে বসছে ‘সাউণ্ড সিস্টেম’। আলোকসজ্জা ছাড়াও রাস্তা ও তোরণ নির্মাণে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় পর্যটক মন্ত্রক। মন্দির কমিটির সম্পাদক গিরীন্দ্রনাথ দেব বলেন, “ওই সমস্ত প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে।” জল্পেশ মন্দিরকে ঘিরে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে শিব চতুর্দশী উৎসব। চলবে টানা এক মাস। উৎসব উপলক্ষে এ বারও দশ দিনের মেলার আয়োজন করেছে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ। মেলা ও উৎসবকে সামনে রেখে কোচবিহার রাজার তৈরি ১২৬ ফুট উঁচু এবং ১২০ ফুট চওড়া মন্দিরে নতুন রঙের পোচ পড়েছে। ঢেলে সাজানো হচ্ছে আলোক ব্যবস্থা। ভিড় সামাল দিতে তৈরি করা হচ্ছে বাঁশ ও কাঠের ব্যারিকেড। পর্যটক ও পূণ্যার্থীদের আকর্ষণ বাড়াতে এ বার বিভিন্ন পুরাণ থেকে জল্পেশ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরার ব্যবস্থা করেছেন কর্তৃপক্ষ। মন্দিরে ঢুকতে ওই সমস্ত তথ্য দেখা যাবে। |
ভিড়ের কারণে মন্দিরে ঢুকতে না-পারলে এখন থেকে পূণ্যার্থীরা বাইরে থেকে পুজোর স্তোত্র পাঠ শুনতে পাবেন। ওই আয়োজন করতে চারদিকে বসানো হচ্ছে সাউণ্ড সিস্টেম। পুজোর সময় সেখানে যেমন স্তোত্র বাজবে। অন্য সময় শোনা যাবে ভক্তিমূলক গান। মন্দির কমিটির কর্তারা জানান, মন্দির চত্বরে ভাবগম্ভীর পরিবেশ তৈরির জন্য ওই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জল্পেশে বেড়াতে গিয়ে এত দিন থাকার জায়গা না পেয়ে পর্যটক ও পূণ্যার্থীদের ফিরে যেতে হয়েছে। ওই সমস্যা মিটতে চলেছে। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহযোগিতায় পর্যটক আবাস তৈরির কাজ শেষ। এ জন্য খরচ হবে প্রায় ৪৮ লক্ষ টাকা। বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শেষ হলে পর্যটক আবাস চালু হয়ে যাবে। সেখানে ডর্মেটরি ছাড়াও রয়েছে ছয়টি ঘর। তার মধ্যে অন্তত তিনটি ঘর বাতানুকুল করার পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। পর্যটকদের বিনোদনের জন্য শিশু উদ্যান তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নতুন সাজে সাজতে চলেছে মন্দির সংলগ্ন জলাশয়গুলি। পরিস্রুত পানীয় জলের সমস্যা মিটছে জল্পেশে। শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আর্থিক সহায়তায় সেখানে ‘আয়রন ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’ বসছে। প্রকল্পের খরচ হয়েছে ১৩ লক্ষ টাকা। |