গত বছরের প্রশ্ন ফাঁসের জেরে এ বছর দিনহাটার নিগমানন্দ সারস্বত বিদ্যাপীঠের মাধ্যমিক পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্র সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। নিগমনগরের ওই স্কুলে সবুজপল্লি হাইস্কুল, নিগমানন্দ শিক্ষা নিকেতন গার্লস স্কুল-সহ ৪টি স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্র করা হত। তা এবার বদল করে সাহেবগঞ্জ হাইস্কুলে করার নির্দেশ দিয়েছে পর্ষদ। ওই পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্র সরিয়ে দেবার ঘটনায় স্থানীয় পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, “শিক্ষক ও একাংশ সরকারি আধিকারিকের ভুলের জন্য পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্র সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত মানা যায় না। পরীক্ষার্থীদের প্রায় ১০ কিমি দূরে সাহেবগঞ্জ যেতে হবে। প্রত্যন্ত এলাকায় যাতায়াতের ভোগান্তি পোহাতে হবে।” এই পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্র তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে গত মঙ্গলবার এলাকার ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকেরা নিগমনগরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। বুধবার জেলা ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্বও নিগমনগরের পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্র সরানো যাবে না বলে সরব হয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সিদ্ধান্ত বদল না হলে দিনহাটায় শিক্ষা দফতর ঘেরাও, মহকুমা বন্ধের হুমকিও দিয়েছেন। চলতি বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। গোটা ঘটনার জেরে অস্বস্তি বেড়েছে শিক্ষা ও প্রশাসনিক মহলের কর্তাদের। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কোচবিহারের সদস্য সুজিত দাস বলেন, “এবার পর্ষদ নিগমনগরের ওই স্কুলের পরিবর্তে সাহেবগঞ্জ হাইস্কুলে পরীক্ষা কেন্দ্রে করা হচ্ছে। পরীক্ষার্থীরা কোথায় পরীক্ষা দেবেন তা অ্যাডমিট কার্ডে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে।” কোচবিহারের ডিআই(সেকেন্ডারি) মহাদেব শৈব্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি। গতবারের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনার জেরেই যে পরীক্ষার সেন্টার, পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্র বদল করা নিয়ে পর্ষদের তরফে কেউ কোনও মন্তব্য অবশ্য করেননি। নিগমানন্দ স্কুলের পরিচালন সমিতির সদস্য সুব্রত নাহা বলেন, “আমরা চাই পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্রটি থাকুক। পর্ষদের কাছে আর্জি জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, “পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্র সরানো কোনও যুক্তিতে মানা যায় না। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে দিনহাটা মহকুমাজুড়ে বনধ ডাকা হবে।” |