রোগী ও তাঁর পরিবারকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে একটি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাটি ঘটে বাঁকুড়া শহরের মাচানতলা এলাকায় পদ্মারপুকুর লেনের একটি নার্সিংহোমে। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বাঁকুড়া থানায় লিখিত ভাবে সব জানিয়েছেন ওই রোগী।
পুলিশ ও রোগীর পরিবার সূত্রের খবর, পেটে ব্যথা নিয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয় ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের বেলিয়াপুর থানা এলাকার বাসিন্দা বিঙ্কু মাহাতোকে। এ দিন তিনি জানান, বাঁকুড়ায় তাঁর আত্মীয় আছেন। তিনিই এখানে এসে চিকিৎসা করাতে বলেছিলেন। বিঙ্কুবাবুর দাবি, ভর্তি হওয়ার সময় নার্সিংহোমের চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, দিন দশেকের মধ্যেই তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। সব মিলিয়ে হাজার দশেক টাকা খরচ পড়বে। তাঁর অভিযোগ, “ভর্তি হওয়ার পর থেকেই ভালভাবে আমার চিকিৎসা হয়নি। ইতিমধ্যেই ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তাই এখান থেকে ছুটি নিয়ে অন্য কোথাও চিকিৎসা শুরু করার কথা ভাবনাচিন্তা করি। কিন্তু নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটি চাইতে গেলে ওঁরা আরও ৬ হাজার টাকা দাবি করেন।”
পুলিশের কাছে লিখিত বয়ানে বিঙ্কুবাবুর পরিবার দাবি করেছে, দাবিমতো টাকা না দিতে চাওয়ায় তাঁর প্রেসক্রিপশন কেড়ে নেওয়া হয়। পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার ভয়ও দেখানো হয়। তাঁর মাকে নার্সিংহোমের চিকিৎসক ও কর্মীরা ‘অপদস্থ’ করেছেন বলেও রিঙ্কুবাবুর অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ যায় নার্সিংহোমে। রোগীর পরিবার ও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসে পুলিশ। এ দিন বিকেলে অবশ্য বিঙ্কুবাবুকে ছেড়ে দেওয়া হয়। হেনস্থার অভিযোগ ‘মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ওই নার্সিংহোমের কর্ণধার আবির বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, “ওই রোগীর যক্ষ্মা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চিকিৎসার জন্যই ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। রোগীর পরিবার অপদস্থ করার যে অভিযোগ তুলছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে স্থানীয় কিছু বাসিন্দার প্ররোচনায় রোগীর বাড়ির লোকেরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন।” |