স্বাস্থ্যবিমা-কারীদের হয়রানি রুখতে এ বার অভিযুক্ত সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে রাজ্য। সে ক্ষেত্রে ওই বিমা সংস্থা বা তাদের নিযুক্ত তৃতীয় পক্ষ এজেন্সি (থার্ড পার্টি এজেন্সি/ টিপিএ)-র এ রাজ্যে ব্যবসা করার উপরেই নিয়ন্ত্রণ জারি হতে পারে বলে বুধবার এক সভায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ক্রেতা সুরক্ষামন্ত্রী সাধন পাণ্ডে।
এ দিন মন্ত্রীর সঙ্গে বিমা সংস্থা, টিপিএ, চিকিৎসক সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আই এম এ) ও স্বাস্থ্যবিমায় অনিয়মে ভুক্তভোগী কিছু গ্রাহককে নিয়ে ওই সভা হয়। বস্তুত, স্বাস্থ্যবিমায় জড়িত সব পক্ষকে সচেতন করাই সভার উদ্দেশ্য জানিয়ে সাধনবাবু বলেন, “এ নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে। গ্রাহকের স্বার্থ বিপন্ন হলে সরকার ব্যবস্থা নেবে। অসুস্থ মানুষকে শোষণ করা চলবে না।”
টিপিএগুলির একতরফা ভাবে বিমার প্রাপ্য টাকা কমানোর অভিযোগও তোলেন তিনি। যেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচার বা চিকিৎসা খরচের হিসাব দিলেও, পরে হোমিওপ্যাথ, আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের দিয়ে সেই খরচগুলিরই আনুমানিক হিসাব তৈরি করিয়ে বিমাকারীর প্রাপ্য কমাচ্ছে তারা। সাধনবাবু বলেন, “এটা চলতে পারে না। রাজ্যের সায় নিয়েই বিমা সংস্থা ব্যবসা করে। মানুষকে হয়রান করে ব্যবসা চালানোর অনুমতি দেব না।”
এই অভিযোগ মেনেছেন এক সরকারি বিমা সংস্থার প্রতিনিধি সুধীর ভট্টাচার্যও। তাঁর প্রস্তাব, গ্রাহকদের সচেতন করতে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর ও বিমা সংস্থাগুলি যৌথ ভাবে প্রচার পুস্তিকা তৈরি করুক। আইএমএ-র রাজ্য সম্পাদক শান্তনু সেনের অভিযোগ, বিমা সংস্থাগুলি একতরফা ভাবে হাসপাতাল চিহ্নিত করে গ্রাহকদের স্বাধীনতা কেড়ে নিচ্ছে। চিকিৎসা কেন্দ্রগুলির সঙ্গে এমন ভাবে তারা চুক্তি করছে, যাতে খরচ কমাতে নিম্নমানের চিকিৎসা সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়। এতে রোগীর বিপদের আশঙ্কাও বাড়ছে।
সভায় হাজির চিকিৎসকদেরও অভিযোগ, বিমা সংস্থাগুলি ‘বিমা করিয়ে টাকা নাও, কিন্তু বিমাকারীকে টাকা দিও না’ এই নীতিতে চলে। সংস্থাগুলির তুঘলকি আচরণে তাঁদের জীবিকা মার খাচ্ছে বলে অভিযোগ এজেন্টদেরও। |